Home » » বিল্ডিং এর কলাম ঢালাই করার পূর্বে এবং পরে যে সকল কাজ করণীয়।

বিল্ডিং এর কলাম ঢালাই করার পূর্বে এবং পরে যে সকল কাজ করণীয়।

লাখ টাকা খরচ কোরে স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করছেন, কিন্তু কাজ করার পূর্বে কি কি বিষয় লক্ষ রাখা উচিৎ তা কি জানেন ????
বিল্ডিং এর কলাম ঢালাই করার পূর্বে এবং পরে যে সকল কাজ করণীয়।
আগে বলে রাখি আমার বাংলা টাইপিং ভাল নয়। তাই কোন প্রকার ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করি সববাই ভাল আছেন। টেকটিউনসএ এটা আমার ৭ নাম্বার টিউন।
টাইটেল দেখেইত মনে হয় বুঝে গেছেন যে কি নিয়ে আলোচনা কররা হবে।তাহলে বেশি কথা না বললে কাজের কথায় আসি।
আজ আমি আপনাদের সাথে সে ব্যাপার টা নিয়ে আলোচনা করবো তা একটু ভিন্ন রকম।
আপনি লাখ টাকা খরচ কোরে স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করছেন কিন্তু কিছু দিন পরে দেখতেছেন আপনার মাথার উপরে
যে ছাদ টা আছে তার বিতর থেকে পানি পড়ছে। এতো কষ্টের টাকা দিয়ে যখন বাড়ি টা তৈরি করলেন আর ৫ বছর
না যেতে এই অবস্থা। তখন হয় তো আপনার কাছে ভালো লাগবে না।
তখন আপনার মনে হবে যে আপনি যে ইঞ্জিনিয়ার এর মাধ্যমে কাজ টা করিছেন সে হয় তো কিছু ভুল করসে, এই রকম
অনেক কিছু আপানর মনে আসতে পারে।
তাই এই সব কাজ করার সময় নিজে থেকে কাজ গুলা দেখে নিবেন এবং বুঝে নিবেন।
# আপনি যদি আপনার বাড়ি তৈরি/ডিজাইন করার জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করেন/করার চিন্তা কোরে থাকেন তা হলে
তাকে নিয়োগ এর পূর্বে সে কাজ পারে কিনা এই সব ব্যাপার জেনে সুনে তার পরে তাকে কাজ করানোর জন্য নিবেন।
আপনার স্বপ্নের বাড়ির কলাম ঢালাই করার পূর্বে যে বেপার গুলা আপনাকে লক্ষ রাখতে হবেঃ
আমি ডালাই এর পূর্বে কি কি কাজ করা লাগবে সেই ব্যাপার গুলা একটি ভিডিও এর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করসি।
ভিডিও লিংকঃ বিল্ডিং এর কলাম ঢালাই করার পূর্বে এবং পরে যে সকল কাজ করণীয়। (বাংলা ভিডিও টিউটরিয়াল) ২০১৫
বিল্ডিং এর কলাম ঢালাই এর ক্ষেত্রে দেখা কলাম সম্পূর্ণ ঢালাই না করে ৫' করে ঢালাই করা হয়।
কেন করা হয় তার কি প্রয়োজনীয়তা আপনাদের কাছে তুলে ধরা হল।
কলাম এর পাশে ক্লিয়ার কভার হয় সাধারণত ১.৫" আর এই কভারিং যদি ঠিক ভাবে না রাখা হয়
তাহলে কলামের রডে মরিচা আক্রমন করতে পারে যা কলামের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আর এই ক্লিয়ার কভার তখনই ঠিক ভাবে রাখা সম্ভব যকন কলামকে ছোটপরিসরে
অর্থাৎ ৫' করে ঢালাই করা হবে। এছাড়াও কলামের উলস্ব মাপ ঠিক রাকার জন্য ৫' করে ঢালাই করা হয়,,,,
বিল্ডিং এর বেইজ ডিজাইন করার আগে
অবশ্যই বিল্ডিং এ আগত লোড সম্পর্কে অবগত হতে হয়।
যেসব লোডগুলো অবশ্যই হিসাব করা উচিত,
সেগুলো নিয়েই আজকের আলোচনাঃ
১। ডেড লোডঃ কাঠামোর উপর স্থায়ীভাবে চাপানো লোডই হলো ডেড লোড।
যেমন- ছাদ, বীম, দেয়াল, কলাম, স্থায়ী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
কাঠামো, মালামালের আকার-আকৃতির মাধ্যমে এ লোডের হিসাব করা হয়।
২। লাইভ লোডঃ কাঠামোর উপর অস্থায়ীভাবে চাপানো লোডই হলো সচল লোড। যেমন- লোকজন, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
সঠিকভাবে এ লোডের হিসাব করা কঠিন।
তাই বিল্ডিং কোড অনুযায়ী এসব লোড হিসাব করা হয়।
৩। উইন্ড লোডঃ কাঠামোর বাইরের পৃষ্ঠে ঝড়, বাতাস ইত্যাদির কারনে
উদ্ভুত লোডই, উইন্ড লোড।
কাঠামোর যেদিকে বাতাস লাগে, সেদিকে ভিত্তির উপর চাপ কমে যায়
এবং অপরদিকে চাপ বেড়ে যায়।
এ লোডও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী হিসাব করা হয়।
৪। মাটির চাপঃ কাঠামোর উপর মাটি কর্তৃক প্রদত্ত চাপকেই মাটির চাপ বলে।
র‌্যানকিনের সূত্র অনুযায়ী এ চাপ হিসাব করা হয়।
৫। পানির চাপঃ যখন কোন ভিত্তি পানি তলের নিচে অবস্থিত থাকে,
তখন পানি ঐ ভিত্তিকে আনুভূমিক ও উর্দ্ধমুখী চাপ প্রয়োগ করে।
এটাই পানির চাপ।
৬। ভূকম্পন লোডঃ ভূ-কম্পন জনিত কারনে সৃষ্ট বল
সাধারনত ভিত্তিতে উলম্ব নিচের দিকে বা
মোচড়ানোভাবে যে কোন দিকে কাজ করে।
ভূ-কম্পন বল বাংলাদেশের জন্য খুবই হুমকি সরূপ।
তাই এটিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত।
৭। তুষার লোডঃ শীত প্রধান দেশে সমতল পৃষ্ঠে বা ছাদে প্রচন্ড বরফ পড়ে।
তাই এসব দেশে এই লোডেরও হিসাব করা হয়।
জানি না টিউন টি আপনাদের কাছে কেমন লাগবে ? যদি ভালো লাগে আমকে জানাবেন।
আর কোন ভুল থাকলে সেটি দরিয়ে দিবেন।
কেমন লাগলো জানাবেন
কোনো সমস্যা হলে জানাবেন অবশ্যিই
সবাইকে ধন্যবাদ !

Popular Posts