নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:

নতুন বিল্ডিং  নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:

নতুন বিল্ডিং  নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:
....................................................................................
১। যে কোন বিল্ডিং-এর নকশা তৈরি করার পূর্বেই স্ট্রাকচারাল নকশার বিধিগুলোর অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক স্ট্রাকচারাল নকশা না হলে ভূমিকম্পরোধক বিল্ডিং হবে না।
.
২। বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণক্ষমতা নির্ভুলভাবে নির্ণয়পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
.
৩। বিল্ডিং নির্মাণের সময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) তদারকি রাখতে হবে যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে।
.
৪। সঠিক অনুপাতে গুনগতমানের সিমেন্ট, রড, বালির ব্যবহার হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। কংক্রিটের চাপ বহন ক্ষমতা কোনো অবস্থাতেই ৩০০০ পিএসআই-এর নিচে নামানো যাবেনা । তার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে নির্মানাধীন সাইটে দায়িত্বে নিয়োজিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কিউব অথবা সিলিন্ডার টেস্ট করতে হবে। কংক্রিটের মিক্সাচারে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ঢালাইর পরে পানির ব্যবহার করে কংক্রিটের কিউরিং করতে হবে।
.
৫। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রড পরীক্ষাপুর্বক ব্যবহার করতে হবে। রডের বহন ক্ষমতা ৬০ হাজার পিএসআই-এর কাছাকাছি থাকতে হবে। স্ক্র্যাপ বা গার্বেজ থেকে প্রস্তুতকৃত রড ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে ।
.
৬। বিল্ডিং-এর প্ল্যান ও এলিভেশান দুই দিকই সামাঞ্জ্য থাকতে হবে।
.
৭। নির্ধারিত ডিজাইনের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ করবেন না। বিল্ডিং কোড অনুসারে এক্সপানশান ফাঁক রাখতে হবে।
.
৮। বেশি পরিমান সরু ও উঁচু বিল্ডিং-এর পাশ হঠাৎ করে কমাবেন না। যদি কমাতে হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইনামিক বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
৯। বিল্ডিং-এর উচ্চতা যদি ভবনের প্রস্থের ৪ (চার) গুণের অধিক হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইমানশন বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১০। সেটব্যাক বা হঠাৎ করে বিল্ডিং-এর পাশের মাপঝোপ কমানো যাবেনা। যদি কমাতেই হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক বিশ্লেষণ করে সাইট অ্যাফেক্ট জেনে ডিজাইন করতে হবে।
.
১১। জটিল কাঠামোগত প্লানের জন্য অবশ্যই ত্রিমাত্রিক ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১২। শেয়ার ওয়াল বা কংক্রিটের দেয়াল সঠিক স্থানে বসিয়ে ভূমিকম্পরোধ শক্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

১৩। সাপ্রতিক সময়ে যে হারে বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে, তা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হলেই ধ্বসে যাবে। সুতরাং বিম, কলাম ও স্ল্যাব বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরি করতে হবে।
.
১৪। দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারকে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে বিল্ডিং-এর প্ল্যান/ ডিজাইন করে ভূমিকম্প রোধক বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে।
.
১৫। নিচের তলা পার্কিং-এর জন্য খালি রাখতে হলে, ঐ তলার পিলারগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করতে হবে। প্রয়োজনমতো কংক্রিটের দেওয়াল দিয়ে পিলারগুলোতে বেষ্টনীবদ্ধ করতে হবে।
.
১৬। বিল্ডিং-এর বিমের থেকে পিলারের শক্তি বেশি করে ডিজাইন করতে হবে। কমপক্ষে ২০% বেশি করতে হবে।
.
১৭। মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ফাউন্ডেশন প্রকৌশলগতভাবে যাচাই বাছাই করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১৮। ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়ালগুলো ভূমিকম্পের জন্য আদৌ নিরাপদ নয়। তাই এই দেয়ালগুলো ছিদ্রযুক্ত ইটের ভিতরে চিকন রড দিয়ে আড়াআড়ি ও লম্বালম্বিভাবে তৈরি করে লিন্টেলের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে। সবদিকে লিন্টেল দিতে হবে। বিশেষ করে দরজা বা জানালার খোলা জায়গায় চিকন রড দিয়ে ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়াল যুক্ত করতে হবে।
.
১৯। মনে রাখতে হবে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণে ভূমিকম্প-প্রতিরোধক নিয়মাবলি প্রয়োগ করলে, শুধুমাত্র ২-৩% নির্মাণ খরচ বৃদ্ধি পায়।

সাইট ইঞ্জিনিয়ার দের প্রয়োজনীয় কিছু স্ট্রাকচারাল ধারনা

সাইট ইঞ্জিনিয়ার দের প্রয়োজনীয়  কিছু স্ট্রাকচারাল ধারনা


একজন Site ইঞ্জিনিয়ারকে অনেক স্ট্রাকচারাল বিষয়ে ধারনা রাখতে হয়।  তেমনই  স্ট্রাকচারাল কিছু বিষয় শেয়ার করা হলো। কোন ইনফরমেশন
সম্পর্কে মতামত থাকলে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।

▶️ Shear Key in Column:
=======================
ডিজাইনে মূলত দুটো কারণে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট এ (বিশেষ করে কলামে) Shear Key রাখা হয়
☑ কলামের Shear Resistance Capacity বৃদ্ধির জন্য।
☑ কলামের Adjacent Segment এর মধ্যে Displacement ঝুকি কমানোর জন্য।

✅Shear Key সচরাচর 2” থেকে 4” গভীরতার রাখা হয়, এটা রাখলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পরবর্তী ঢালাই এর পূর্বে গর্তটি যেন ভালভাবে #পরিষ্কার করা হয়।

✅ সবচেয়ে ভাল হবে ঢালাইয়ের পরের দিন যদি গর্তটি পলিথিন দিয়ে ডেকে দেওয়া যায়, যাতে তা সহজেই তুলে ফেলা যায়।

▶️ Column Casting Height:
=========================
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কন্ট্রাক্টরগন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য Full Height Column কাস্টিং করে ফেলেন, যা মোটেও উচিত নয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দুই বা ততোধিক লিফটে কলাম কাস্টিং করতে হবে, তা না করলে যা হতে পারে
✅ সেগ্রিগেশন, লেইটেন্স কিংবা ব্লিডিং এর ফলে সৃষ্ট ভয়েড বা হানিকম্ব কলামকে ভঙ্গুর ও দুর্বল করে ফেলতে পারে।
✅ Vertical ডিসপ্লেসমেন্ট (শল আউট) কিংবা Shutter ফেল করার সম্ভাবনা থাকে।
✅ ক্লিয়ার কভারের তারতম্যের কারণে Crack সহ নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

✅ একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আপনি কখনোই ভার্টিকাল ১.৫ মিটার বা ৫ ফুটের অধিক Column বা Wall Casting Allow করবেন না।

▶️ Lapping & Spacer:
====================
 Lapping এর ক্ষেত্রে যা লক্ষ্য রাখতে হবে

✅ Generally কম্পেশন জোনে Lapping 24D থেকে 44D এবং টেনশনে 30D থেকে 50D হয়ে থাকে।
বি.দ্র: এখানে হুক ছাড়া এবং হুক সহ মাপের কথা বলা হয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন কনসালটেন্টগন ল্যাপের ক্ষেত্রে বিভিন Code ফলো করেন, তবে ইন্ডিয়ান কনসালটেন্টদের মতে উভয় জোনের জন্য 50D দেওয়া যেতে পারে।

✅ খেয়াল রাখতে হবে কলাম কিংবা বিমের এক জায়গায় যেন 50% এর বেশি রডে ল্যাপ না পড়ে।

✅ কলামের ল্যাপিং জোন: L/2 বা Middle Portion এর মধ্যে ল্যাপ দিতে হবে, L/4 এর ভিতরে সর্বাধিক Stress উৎপন্ন হয় বলে এই Zone পরিহার করা উচিত।

✅ বিমের টপ বারের ল্যাপিং: Middle Third Span বা মধ্য তৃতীয়াংশে এর মধ্যে থাকবে, কারণ এই Zone এ Negative Moment থাকেনা।

✅ বিমের বটম বারের ল্যাপিং: One Third Span বা এক তৃতীয়াংশে বা L/3 এর মধ্যে থাকতে হবে, কারণ এই Zone Positive Moment থাকেনা।

✅ Spacer Bar এর ডায়া হবে 25mm [For Beam], 12mm [For Slab] এবং Spacing হবে সর্বাধিক 30” c/c। বিমের ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে Main Bar এবং Extra Bar এর মধ্যে গ্যাপ যেন ১” এর বেশি না হয়।

▶️ Beam Column Joint:
====================
প্রায় সব কনসালটেন্ট suggest করেন বিমের রডকে কলামের Vertical রডের ভিতর দিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রকৃতপক্ষে বিম ও কলামের Clear cover একই থাকে বলে তা মানা সম্ভব হয়না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিমের এক পার্শ্বের রডকে কলামের বাহিরে এবং অন্যপাশ ভিতরে দিয়ে নেওয়া হয়।

✅ বিম কলাম জয়েন্টে অবশ্যই যা করনীয়
☑ জয়েন্টের এই অংশটুকুতে কলামে কমপক্ষে দুটি Stirrup দিতে হবে।
☑ বিমের প্রথম স্টিরাপ কলাম ফেস থেকে অর্ধেক Spacing দূরুত্ব বা ২” পর থেকে শুরু করতে হবে।
☑ এই অংশের Casting অবশ্যই কলামের কংক্রিটের ডিজাইন স্ট্রেন্থ অনুযায়ী করতে হবে, কলামের কাস্টিং যে গ্রেডের তা মেইনটেন্ট করতে হবে এবং অন্যান্য অংশে ছাদের কংক্রিটের গ্রেড অনুযায়ী হবে, না হলে এই অংশ দুর্বল হবে।

বি.দ্র: যদিও অনেকে বিমের রডকে কলামের ভিতর দিয়ে নেওয়ার জন্য কলাম স্ট্রিপের কাছাকাছির স্টিরাপগুলো কিছুটা সরু রেখে মাঝের অংশে প্রশস্ত করে বিমের রড বাধার কথা বলেন যা প্রকৃতপক্ষে ডিজাইন সম্মত নয়, কারণ লোড ট্রান্সফারের জন্য বিম/কলাম/ছাদের রড straight হওয়া বাঞ্ছনীয় ।

▶️ Construction Joint:
====================
 বিভিন্ন কারণে আমাদেরকে ছাদ কিংবা বিমে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট রাখতে হয়, দেখা যায় অনেক সময়ই আমরা বিমের Edge  বরাবর ছাদের কাস্টিং শেষ করে দেই কিংবা কলামের Face বা গা ঘেষে বিমের casting শেষ করে রড রেখে দেই যা মোটেও উচিত নয়।

✅ কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট রাখার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
☑ ইহা অবশ্যই 2L/3 বা Middle third of span বা মধ্য তৃতীয়াংশ স্প্যান দুরুত্বের মধ্যে রাখতে হবে কারণ এই জোনে Shear Stress কম থাকে, কখনোই L/3 দুরুত্বের মধ্যে রাখা উচিত নয়।
☑ বিম বা ছাদের Construction জয়েন্ট Slope এ না রেখে Straight বা খাড়া রাখা বাঞ্ছনীয়, তবে Shear Key এর জন্য Grove রাখা উত্তম।
☑ অবশ্যই রডের ক্লিয়ার কভার এবং ল্যাপিং দৈর্ঘ্য নিশ্চিত করতে হবে।
☑ এই অংশে পানি লিকেজের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে বলে Vibrating & Water Proofing Admixture ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

▶️ Hooks & Stirrup:
====================
 ভূমিকম্প বান্ধব ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে হুকের বিকল্প নেই, স্টিরাপ বা Tie Ring তৈরির বেলায় এবং বিমের রডের L Bend বা মাটামের ক্ষেত্রে Development Length নিশ্চিত করতে হবে।

✅ লক্ষ্য রাখতে হবে

☑ বিম বা কলামের স্টিরাপে অবশ্যই 135 degree এ্যাংগেলে হুক দিতে হবে, হুকের দৈর্ঘ্য হবে 3D-6D [D means dia of Rebar], তবে ২" কম হতে পারবে না।
☑ বিমের রডের 90 Degree মাটাম বা L Bend এর দৈর্ঘ্য হবে 12D [where D means Dia of bar].

▶️ Groove Cutting in Column:
===========================
অনেক জায়গায় দেখা যায় Door Frame ফিটিংস এর জন্য কলামের এক পার্শ্ব কিংবা উভয় পার্শ্বেই গ্রুফ কেটে চৌকাঠ লাগানো হয় যা কম্প্রেশন মেম্বার কলামের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
✅ পরামর্শ এ ক্ষেত্রে আপনি দুইভাবে ফ্রেম লাগাতে পারেন;
☑ কলামের সাথে একটি পূর্ণ ইটের গাঁথুনি (কোবলা) দিয়ে লাগাতে পারেন।
☑ ফ্রেমকে কলামের সাথে ক্লাম্পের সাহায্যে ড্রিল করে আটকাতে পারেন। তবে আপনাকে প্রথমটাই সাজেস্ট করবো কারণ পরবর্তীতে ফ্রেমের টানে প্লাস্টার ফেটে ক্লাম্প বের হয়ে আসতে পারে।

প্রচলিত ইটের বিকল্প কনক্রিট ব্লক Concrete Block

প্রচলিত ইটের বিকল্প কনক্রিট  ব্লক Concrete Block

বিভিন্ন ধরনের কনক্রিট এর ব্লক ব্যাবহার করা হয়ে থাকে, এগুলোর যেমন সাইজে ভিন্নতা তেমনি থাকে প্রপার্টিস এর। বিভিন্ন ধরনের কনক্রিট ব্লক এর প্রপার্টি,সুবিধা আলোচনা করা হলো।

০১.Concrete Hollow Block
=================≠=====
কনক্রিট হলো ব্লক Concrete Hollow Block বিভিন্ন ধরণের ভারবাহী বা অ-ভার বাহী দেয়াল নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়। বড় সাইজের এ কনক্রিট ব্লক ব্যবহারের ফলে সংযোগ সংখ্যা কমবে এবং মর্টার এর ব্যবহার কম হবে। হলো ব্লক ভাল অন্তরক হিসাবে কাজ করে এবং শব্দ, তাপ ও আদ্রতা প্রতিরোধক। ২০% সিমেন্ট এবং ৮০% বালি মিশিয়ে এই ব্লক তৈরী করা হয়।
.
কনক্রীট হলো ব্লক মূলত বিল্ডিং এর দেয়াল তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সমসাময়িককালে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে এ ধরনের পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। কনক্রীট ওয়াল ব্লক সমূহ চিরাচরিত ব্যবহার্য ইটের তুলনায় অনেক বেশী সাশ্রয়ী এবং এটি অনেক বেশি শ্রম, শক্তি ও সময় বাঁচায়।

সাইজ: ২৪০ মি.মি. x ১১৫ মি.মি. x ৯০ মি.মি.
ওজন: ৩.৯ কেজি

#সুবিধা:
=======
১.শব্দ, অগ্নি ও তাপ নিরোধক।
২.ইলেকট্রিক্যাল পাইপ বসানোর জন্য দেয়াল কাটা লাগে না।
৩.ইটের ন্যায় অধিক পানি শোষণ করে না।
৪.এই ব্লক গাঁথুনীর কাজে ব্যবহারের আগে ইটের মতো পানিতে ভেজাতে হয় না।
৫.কনক্রীটের ব্লকে নোনা ধরে না, ঘামে না, ড্যাম্প হয় না, ফাঁঙ্গাস পড়ে না বলে এটি দীর্ঘস্থায়ী।
৬.কনক্রীটের ব্লকে ইটের তুলনায় কম পুরুত্বের প্লাস্টারিং ব্যবহার করা হয়।
৭.বাড়ির ব্যক্তিগত ওজন ও নির্মাণ খরচ দুই-ই কমাবে।
৮.পরিবেশবান্ধব এবং ভূমিকম্প সহনশীল।
৯.কৃষি জমি ও বনজ সম্পদরে অপচয় রোধ।কোন জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট  করে না ।সারা বছর ব্যাপী উৎপাদন করা সম্ভব।শব্দ শোষন ক্ষমতা বেশিঅগ্নি ও তাপ নিরোদক অধকি র্কাযক্ষম।স্থায়ত্বিকাল ও কাঠামোগত ভারসাম্য বেশ ভাল।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বান্ধব কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়, নিচে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো

২.Compressed Stabilized Earth Block (CSEB)
========================================
ড্রেজিং সয়েলের সাথে ১০% সিমেন্ট মিশিয়ে চাপ প্রয়োগের (compression) মাধ্যমে Compressed Stabilized Earth Block (CSEB) তৈরি করা হয়।
.
#সুবিধা:
=========
কৃষি জমরি উপরভিাগরে মাটি ব্যবহার রোধ করণ।বনজ সম্পদ ব্যবহার রোধ।র্কাবন নর্গিমন হ্রাস করণ।নদ নদীর নাব্যতা রর্ক্ষাথে ড্রজেং সয়েলের সয়েলের ব্যবহার।পরিবেশ সুরক্ষা।দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় র্কমসংস্থানরে সুযোগ তৈরি করা।
.
৩.Compressed stabilized Earth Block (with jute fiber):
============================≠======≠=========
নদীর ড্রেজড সয়েলের সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট, বালি মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে ব্লক তৈরী করা হয়। এই ব্লকের অন্যান্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দেখা য়ায় যে, পরিবহন ও অন্যান্য কারণে এর শার্প কর্ণারগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয় যা প্লাস্টার বিহীন দেয়াল তৈরীর উপযোগিতা হারায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এর সাথে কিছু পরিমাণপাটের আঁশব্যবহার করা হয়। ফলে দেখা যায় যে প্রাপ্ত ব্লকের  শার্প কর্ণারগুলোর ক্ষয়হ্রাস পেয়েছে এবং এই ধরণের CSEB, destructive test -এ সম্পূর্ণভাবে চুর্ন বিচূর্ণ না হয়ে পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় থাকে যা ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে সহায়ক।
.
সুবিধা :
======
পাটের আঁশ ব্যবহার করে ইটরে গুনাগুন সুরক্ষা।বিশেষ করে ইটরে র্কনার গুলোতে ভাঙ্গন রোধ করা।
.
৪.Interlocking Block:
=================
নদীর ড্রেজড সয়েলের সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে ইন্টারলকিং ব্লক তৈরি করা হয়। Alternate Interlocking Mechanism থাকার ফলে এই ব্লক দিয়ে কোন প্রকার মর্টার ছাড়াই ভারবাহী দেয়ালের গাঁথুনি করা সম্ভব। ইন্টারলকিং ব্লক নির্মিত দেয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর উলম্ব ছিদ্র বরাবর রড ব্যবহার পূর্বক মর্টার কাস্টিং করে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় আনুভূমিক বীম কাস্টিং করে একে Interlocking Blockহিসেবে ডিজাইন করা যায়।
.
সুবিধা:
=======
নির্মাণ  উপকরণরে সাশ্রয়কোন প্রকার র্মটার বহিীন নির্মাণ ।স্বল্প সময়ে নির্মাণ ।স্বল্প ব্যায় এ নিমাণ।         
.
 ৫.থার্মাল ব্লক:
==========
বাংলাদেশে গতানুগতিক তৈরী ইটের বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ইট তৈরিতে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি বহুল ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর পরিমাণ জ্বালানী প্রয়োজন হয় যা দেশের বনজ সম্পদ এবং কৃষি জমি হ্রাসের অন্যতম কারণ। অপরদিকে সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরি ইট ব্যয়বহুল ও ওজনে ভারী। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে এইচ বি আর আই এর গবেষণাগারে সিমেন্ট তৈরি ব্লকের মাঝে হালকা ওজনের পলিস্টাইরিন শীট ব্যবহার করে হালকা ও ব্যয় সাশ্রয়ী ইট তৈরি করা হচ্ছে।
.
সুবধিাসমূহঃ
==========
ওজনে হালকা ফলে ভূমকিম্পে সহনীয় ।তাপ নিরোধক হওয়ায় গ্রীস্মকালে  ও শীতকালে আরাম দায়ক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।শব্দ নিরধক গুনাগুন সম্পন্ন।পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব।

.
৬.ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল:
====≠=========≠===========
পলিস্টাইরিন শিটের দুই দিকে ফেরো সিমেন্ট প্রযুক্তি ((wire mesh এবং মর্টার ) ব্যবহার করে ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল (sandwich panel) তৈরি করা হয়। এই প্যানেল বিল্ডিং এর দেয়ালের পাশাপাশি ছাদেও ব্যবহার করা যায়। এর কাঠামো মেকানিকেল পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বলে তা অধিকতর সুষম, শব্দ ও তাপরোধী, ভারবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন। Sandwich Panel এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এই প্যানেল দিয়ে অল্প সময়ে প্রি-ফেব্রিকেটেড গৃহ নির্মাণ করা সম্ভব।
.
#সুবিধা :
=======
অধিকতর সুষম.শব্দ ও তাপরোধী.ভারবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন.অল্প সময়ে প্রি-ফেব্রিকেটেড গৃহ নির্মান করা সম্ভব।


একটি প্রজেক্ট এর গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের হিসাব

একটি প্রজেক্ট এর গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের হিসাব
গ্রেড বীমঃ-
ফুটিং এর পিলার এর উপর ভুমির সমান্তরাল করে যে বীম ঢালাই করা হয় তাকে গ্রেড বীম বলে।
গ্রেড বীমের উপর সুপার স্ট্রাকচার দেওয়াল নির্মান করা হয়। সাধারন ভাবে বলা যায়, সুপার স্ট্রাকচার দেওয়ালের নিচে যে বীম থাকে সেই বীম-ই গ্রেড বীম।

চিত্রে অনুসারে ,

একটি রুমের আকার=(২৫X২০) ফুট

[ এখানে,দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট এবং প্রস্থ ২০ ফুট ]

গ্রেড বীমের সাইজ= (১৮X১৬) ইঞ্ছি

[প্রস্থ=১৬/১২=১.৩৩ ফুট এবং উচ্চতা=১৮/১২= ১.৫ ফুট ]

এখানে, রুমের যে দৈর্ঘ্য দেওয়া আছে তা কলামদ্বয়ের মধ্যবর্তী
দুরুত্ব ।
বুঝতে সমস্যা হলে #প্ল্যান এর চিত্র দেখেন প্রথম কমেন্ট এ ( আশাকরি বুঝবেন )

গ্রেড বীমের দৈর্ঘ্য বের করার নিয়ম:
-----------------------------------------------------

১. দৈর্ঘের দিকে গ্রেড বীম আছে ২টা=২x ২৫ ফুট= ৫০ ফুট

২. প্রস্থের দিকে গ্রেড বীম আছে ২টা =২x২০ ফুট = ৪০ফুট

অতএব,গ্রেডবীমের মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে=৪০+৫০=৯০ফুট

কাজের পরিমাণ
-------------------------------

কাজের পরিমাণ =দৈর্ঘ্যxপ্রস্থxউচ্চতা
=৯০X ১.৩৩ X ১.৫ ঘনফুট =১৭৫.৫ ঘনফুট

গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের পরিমাণ=১৭৫.৫ ঘনফুট = ওয়েট ভলিউম

সাধারণত, লুজ/ড্রাই ভলিউম = ১.৫ × ওয়েট ভলিউম।
সুতরাং এখানে
লুজ/ড্রাই ভলিউম = ১.৫ × ১৭৫.৫ ঘনফুট = ২৬৩.২৫ ঘনফুট

সুতরাং সিমেন্ট, বালি , ও খোয়ার পরিমান
--------------------------------------------------------------
ধরি ,
সিমেন্ট, বালি , ও খোয়ার অনুপাত =১ঃ১.৫ঃ৩

সিমেন্ট =২৬৩.২৫ * (১/৫.৫)= ৪৭.৮৬ ঘনফুট =৩৮.২৯= ৩৯ ব্যাগ
বালু = ২৬৩.২৫ * (১.৫/৫.৫)= ৭১.৭৯ ঘনফুট
খোয়া =২৬৩.২৫ * (৩/৫.৫)= ১৪৩.৫৮ ঘনফুট =২০১০ টি ইট


কলাম কিকার কি ?

কলাম কিকার কি ?
Column kicker

কলাম কিকার কি   ?
---------------------------------------------

#কিকারঃ ফুটিং,স্ল্যাব ও বিমের উপর একটি কলাম রেডি করার পূর্বে তার নিচে স্বল্প উচ্চতার যে কলামটি ঢালাই করা হয়,তাকে কিকার বলে।

>> মূলত কলাম এর পজিশন,এলাইনমেন্ট,ফর্মওয়ার্ক ঠিক রাখার জন্য কিকার তৈরি করা হয়।
>> কাঠ/স্টিলের সাটারের সাথে ফর্মওয়ার্ক তৈরী করা হয়।

>> কিকারের উচ্চতা 3"-4" হয়।তবে স্টিল সাটার ব্যবহার করলে 6"-9" পর্যন্ত উচ্চতার কিকার তৈরী করা যায়।

>> সাটার লাগানের পূর্বে কলামের মূল রড,টাই ও ভিতরের সকল ময়লা স্টিল ব্রাস ও ফোর্স ওয়াটার দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

>> কিকার তৈরীর স্থানে কোন অবস্থাতেই পানি থাকবে না।

>> কলামের পজিসন ও এলাইনমেন্ট ঠিক রাখার জন্য পূর্ববর্তি ছাদ/বিমের কাষ্টিং এর পূর্বেই যদি কলামের মূল রডগুলোকে ভার্টিক্যাল রেখে পর্যাপ্ত পরিমানে টাই পরিয়ে নেয়া যায়,তবে clear cover সঠিক রাখতে সুবিধা হবে।

>> সাটার পরিস্কার করে সাটারটি 2:1 Ratio ফলো করে ডিজেল:লুব্রিক্যান্ট অয়েল মিশ্রণ দিয়ে মুছে নিতে হবে।এই প্রলেপটি যেনো পুরু না হয়।কারন,তাতে কংক্রিটের গুণগত মাণ নষ্ট হতে পারে।

>> সাটারের সাইটগুলোকে লিকপ্রূফ করতে জুট টেপ ও ফোম ব্যবহার করা হয়।এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন, এর Axis ঘুরে না যায়।

>> সাটার স্থাপন হয়ে গেলে Project/Site Engineer দ্বারা অবশ্যই অবশ্যই চেক করতে হবে যেঃ সাটারটি সুদৃঢ় ও ক্লিয়ার কভার ঠিক আছে কি না।

>> সাটার ঠিক রাখার জন্য GI তার & CC Block ব্যবহার করা হয়।

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?
==============================

কংক্রিট এর মধ্য ধারাবাহিকতা বা সমসত্ত্বতা যাচাই এর জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় যে, কংক্রিট এর কার্যউপযোগীতা কতটুকু। স্ল্যাম্প এর পরিমান অবশ্যই নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকবে।

স্ল্যাম্প পরীক্ষায় ব্যবহুত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
স্ল্যাম্প কৌণ (উপরের ব্যাস ১০০ মি:মি: x নিচের ব্যাস ২০০ মি:মি: x উচ্চতা ৩০০ মি:মি: )

ছোট কুর্ণী
গুলি-মুখ রড ( ৬০০ মি:মি: লম্বা x ১৬ মি:মি: সাইজ)

স্কেল
স্ল্যাম্প প্লেট (৫০০ মি:মি: x ৫০০মি:মি:)

স্ল্যাম্প পরীক্ষার ধাপগুলি:
১. কৌণটি পরিস্কার করতে হবে। পানি দিয়ে ভালভাবে মুছে স্ল্যাম্প প্লেট এর উপর রাখতে হবে। স্ল্যাম্প প্লেট অবশ্যই পরিস্কার, শক্ত , সমতল এবং অ-শোষণীয় হতে হবে।

২. পরীক্ষার জন্য প্রয়োনীয় পরিমান কংক্রিট নিতে হবে (যেই কংক্রিট পরীক্ষা করতে হবে তা থেকে)

৩. পাদানির উপর শক্তভাবে দাড়াতে হবে এবং তিন ভাগের একভাগ কংক্রিট দিয়ে ভরাট করতে হবে। ২৫ বার রড দিয়ে ভালভাবে গুতা দিতে হবে। গুতা সবসময় একই ভাবে দিতে হবে এবং তা হতে হবে বাইরের দিক থেকে মাঝার দিকে।

৪. আবার দ্বিতীয় ভাগ ভরাট করতে হবে এবং ৩ নং ধাপের মত করে রড দিয়ে গুতা দিতে হবে। বে খেয়ার রাখতে হবে যে এবার রড প্রথম ভাগের উপর পর্যন্ত যাবে, এর নিচে না।

৫. এবার বাকি অংশ ভরাট করতে হবে উবু-উবু করে এবং আগের মত রড দিয়ে গুতা দিতে হবে। তবে খেয়ার রাখতে হবে যে এবার রড দ্বিতীয় ভাগের উপর পর্যন্ত যাবে, এর নিচে না। উবু অংশ ফেলে দিয়ে মাথা কৌণ এর সমান করে দিতে হবে।

৬. গড়ানো পদ্ধতিতে রড দিয়ে উপরিতল সমান করতে হবে। স্ল্যাম্প প্লেট এর উপর কোন ময়লা থাকলে তা পরিস্কার করতে হবে। হাতল চাপদিয়ে ধরে পাদানি থেকে নেমে পড়তে হবে।

৭. সাবধানে কৌণটি সোজা উপরে ওঠাতে হবে যাতে করে এর ভেতরের কংক্রিট নড়ে না যায়।

৮. কৌণটি উল্টে ফেলে কংক্রিট এর পাথে রাখতে হবে। রডটি কৌণ এর উপ কংক্রিট এর দিকে মুখ করে বসাতে হবে।

৯. কংক্রিটটির সর্বোচ্চ তলা থেকে রড এর তলা পর্যন্ত মাপ নিতে হবে। কয়েকটি মাপের গড় নিতে হবে। এই গড় মাপটিই স্ল্যাম্প