ম্যাটেরিয়ালস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ম্যাটেরিয়ালস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

প্রচলিত ইটের বিকল্প কনক্রিট ব্লক Concrete Block

প্রচলিত ইটের বিকল্প কনক্রিট  ব্লক Concrete Block

বিভিন্ন ধরনের কনক্রিট এর ব্লক ব্যাবহার করা হয়ে থাকে, এগুলোর যেমন সাইজে ভিন্নতা তেমনি থাকে প্রপার্টিস এর। বিভিন্ন ধরনের কনক্রিট ব্লক এর প্রপার্টি,সুবিধা আলোচনা করা হলো।

০১.Concrete Hollow Block
=================≠=====
কনক্রিট হলো ব্লক Concrete Hollow Block বিভিন্ন ধরণের ভারবাহী বা অ-ভার বাহী দেয়াল নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়। বড় সাইজের এ কনক্রিট ব্লক ব্যবহারের ফলে সংযোগ সংখ্যা কমবে এবং মর্টার এর ব্যবহার কম হবে। হলো ব্লক ভাল অন্তরক হিসাবে কাজ করে এবং শব্দ, তাপ ও আদ্রতা প্রতিরোধক। ২০% সিমেন্ট এবং ৮০% বালি মিশিয়ে এই ব্লক তৈরী করা হয়।
.
কনক্রীট হলো ব্লক মূলত বিল্ডিং এর দেয়াল তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সমসাময়িককালে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে এ ধরনের পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। কনক্রীট ওয়াল ব্লক সমূহ চিরাচরিত ব্যবহার্য ইটের তুলনায় অনেক বেশী সাশ্রয়ী এবং এটি অনেক বেশি শ্রম, শক্তি ও সময় বাঁচায়।

সাইজ: ২৪০ মি.মি. x ১১৫ মি.মি. x ৯০ মি.মি.
ওজন: ৩.৯ কেজি

#সুবিধা:
=======
১.শব্দ, অগ্নি ও তাপ নিরোধক।
২.ইলেকট্রিক্যাল পাইপ বসানোর জন্য দেয়াল কাটা লাগে না।
৩.ইটের ন্যায় অধিক পানি শোষণ করে না।
৪.এই ব্লক গাঁথুনীর কাজে ব্যবহারের আগে ইটের মতো পানিতে ভেজাতে হয় না।
৫.কনক্রীটের ব্লকে নোনা ধরে না, ঘামে না, ড্যাম্প হয় না, ফাঁঙ্গাস পড়ে না বলে এটি দীর্ঘস্থায়ী।
৬.কনক্রীটের ব্লকে ইটের তুলনায় কম পুরুত্বের প্লাস্টারিং ব্যবহার করা হয়।
৭.বাড়ির ব্যক্তিগত ওজন ও নির্মাণ খরচ দুই-ই কমাবে।
৮.পরিবেশবান্ধব এবং ভূমিকম্প সহনশীল।
৯.কৃষি জমি ও বনজ সম্পদরে অপচয় রোধ।কোন জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট  করে না ।সারা বছর ব্যাপী উৎপাদন করা সম্ভব।শব্দ শোষন ক্ষমতা বেশিঅগ্নি ও তাপ নিরোদক অধকি র্কাযক্ষম।স্থায়ত্বিকাল ও কাঠামোগত ভারসাম্য বেশ ভাল।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বান্ধব কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়, নিচে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো

২.Compressed Stabilized Earth Block (CSEB)
========================================
ড্রেজিং সয়েলের সাথে ১০% সিমেন্ট মিশিয়ে চাপ প্রয়োগের (compression) মাধ্যমে Compressed Stabilized Earth Block (CSEB) তৈরি করা হয়।
.
#সুবিধা:
=========
কৃষি জমরি উপরভিাগরে মাটি ব্যবহার রোধ করণ।বনজ সম্পদ ব্যবহার রোধ।র্কাবন নর্গিমন হ্রাস করণ।নদ নদীর নাব্যতা রর্ক্ষাথে ড্রজেং সয়েলের সয়েলের ব্যবহার।পরিবেশ সুরক্ষা।দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় র্কমসংস্থানরে সুযোগ তৈরি করা।
.
৩.Compressed stabilized Earth Block (with jute fiber):
============================≠======≠=========
নদীর ড্রেজড সয়েলের সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট, বালি মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে ব্লক তৈরী করা হয়। এই ব্লকের অন্যান্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দেখা য়ায় যে, পরিবহন ও অন্যান্য কারণে এর শার্প কর্ণারগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয় যা প্লাস্টার বিহীন দেয়াল তৈরীর উপযোগিতা হারায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এর সাথে কিছু পরিমাণপাটের আঁশব্যবহার করা হয়। ফলে দেখা যায় যে প্রাপ্ত ব্লকের  শার্প কর্ণারগুলোর ক্ষয়হ্রাস পেয়েছে এবং এই ধরণের CSEB, destructive test -এ সম্পূর্ণভাবে চুর্ন বিচূর্ণ না হয়ে পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় থাকে যা ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে সহায়ক।
.
সুবিধা :
======
পাটের আঁশ ব্যবহার করে ইটরে গুনাগুন সুরক্ষা।বিশেষ করে ইটরে র্কনার গুলোতে ভাঙ্গন রোধ করা।
.
৪.Interlocking Block:
=================
নদীর ড্রেজড সয়েলের সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে ইন্টারলকিং ব্লক তৈরি করা হয়। Alternate Interlocking Mechanism থাকার ফলে এই ব্লক দিয়ে কোন প্রকার মর্টার ছাড়াই ভারবাহী দেয়ালের গাঁথুনি করা সম্ভব। ইন্টারলকিং ব্লক নির্মিত দেয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর উলম্ব ছিদ্র বরাবর রড ব্যবহার পূর্বক মর্টার কাস্টিং করে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় আনুভূমিক বীম কাস্টিং করে একে Interlocking Blockহিসেবে ডিজাইন করা যায়।
.
সুবিধা:
=======
নির্মাণ  উপকরণরে সাশ্রয়কোন প্রকার র্মটার বহিীন নির্মাণ ।স্বল্প সময়ে নির্মাণ ।স্বল্প ব্যায় এ নিমাণ।         
.
 ৫.থার্মাল ব্লক:
==========
বাংলাদেশে গতানুগতিক তৈরী ইটের বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ইট তৈরিতে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি বহুল ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর পরিমাণ জ্বালানী প্রয়োজন হয় যা দেশের বনজ সম্পদ এবং কৃষি জমি হ্রাসের অন্যতম কারণ। অপরদিকে সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরি ইট ব্যয়বহুল ও ওজনে ভারী। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে এইচ বি আর আই এর গবেষণাগারে সিমেন্ট তৈরি ব্লকের মাঝে হালকা ওজনের পলিস্টাইরিন শীট ব্যবহার করে হালকা ও ব্যয় সাশ্রয়ী ইট তৈরি করা হচ্ছে।
.
সুবধিাসমূহঃ
==========
ওজনে হালকা ফলে ভূমকিম্পে সহনীয় ।তাপ নিরোধক হওয়ায় গ্রীস্মকালে  ও শীতকালে আরাম দায়ক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।শব্দ নিরধক গুনাগুন সম্পন্ন।পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব।

.
৬.ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল:
====≠=========≠===========
পলিস্টাইরিন শিটের দুই দিকে ফেরো সিমেন্ট প্রযুক্তি ((wire mesh এবং মর্টার ) ব্যবহার করে ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল (sandwich panel) তৈরি করা হয়। এই প্যানেল বিল্ডিং এর দেয়ালের পাশাপাশি ছাদেও ব্যবহার করা যায়। এর কাঠামো মেকানিকেল পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বলে তা অধিকতর সুষম, শব্দ ও তাপরোধী, ভারবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন। Sandwich Panel এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এই প্যানেল দিয়ে অল্প সময়ে প্রি-ফেব্রিকেটেড গৃহ নির্মাণ করা সম্ভব।
.
#সুবিধা :
=======
অধিকতর সুষম.শব্দ ও তাপরোধী.ভারবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন.অল্প সময়ে প্রি-ফেব্রিকেটেড গৃহ নির্মান করা সম্ভব।


রড সম্পর্কে কিছু কথা

রড সম্পর্কে কিছু কথা


আপনার বাড়ী দাড়িয়ে থাকবে রডের কাঠামোর উপর । তাই ভালো রড বেচে নিতে ভুলবেন না ।এখন প্রশ্ন হচ্চে যে রড কিনছেন সেটা যে ভালো তা বুঝবেন কি করে ? ভালো রডের কিছু বৈশিষ্ট থাকে , সেগুলো সাধারন রডে থাকে না , বৈশিষ্টগুলো নিচে দেওয়া হল -

টেকসই আর মজবুত ঃ
রডে ইল্ড স্ট্রেংথ (yield strength) নামে একটা বৈশিষ্ট থাকে ।এটা হচ্চে রডের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ।যে রডে ইল্ড স্ট্রেংথ (yield strength) যত বেশি সে রড বাড়ী নির্মানের জন্য তত ভালো ।বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে ভালো রডে ৫০০ M.P.A (৭২,০০০ P.S.I ) ইল্ড স্ট্রেংথ থাকে ।
ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাড়িকে রক্ষা করার ব্যাপারে ও রড সাহায্য করে । যে রড কিনছেন সেটা আর্থকোয়েক রেজিস্ট্যান্ট কিনা তা আগে থেকে জেনে নেয়া ভালো ।

ভালো ঝা্লাই উপযোগিতা ঃ
সাধারন রডে ঝালই করার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ।এদের মধ্যে
একটা হচ্চে এমব্রিটল টেন্ডেন্সি বা রড ভঙ্গু্র হয়ে যাবার প্রবনতা । সাধারন রড ঝালাইয়ের পর ঠান্ডা হবার সময় বেকে যেতে পারে । এতে নির্মান কাজের অসুবিধা হয় । রড কিনার সময় অবশ্যই এমন রড বেছে নিবেন যেটাতে এই সমস্যা গুলো নেই ।
এমন রড বেচে নিন যেটাতে কার্বন কনটেন্ট কম আছে, এ ধরনের রড সাইজে বাট ওয়েল্ড বা ল্যাপ ওয়েল্ড করা যায় , যাতে আপনার নির্মানে সময় বাচবে ।

ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
ভালো রড থার্মো-মেকানিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্রসেস এ তৈরি করা হয় ।এ কারনে রডে ক্ষতিকারক টরসোনাল রেসিডিঊয়াল স্ট্রেস (torsional Residual stress)  থাকে না । এ ধরনের রডে ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে ।

ডাক্টিলিটি ঃ
আপনার বাড়ী নির্মানে যে কংক্ক্রিট ব্যবহার হবে সেটাকে দীর্ঘদিন মজবুত রাখার জন্য আপনার ডাক্টাইল রড প্রয়োজন,ভালো ও ডাক্টাইল রড কংক্ক্রিটে ফাটল ধরতে দেয় না ।আধুনিক কোয়েনচিং আ্যান্ড ট্যাম্পারিং প্রসেস অনুসারে তেরি করা রডে ডাক্টিলিটি বেশি থাকে ।রড কেনার সময় আপনি এটা ও জেনে নিতে পারেন যে রডের কার্বন কনটেন্ট কতখানি , কারন কম কার্বন কনটেন্ট এর রডে বেশি ডাক্টাইল হয় ।

ধারাবাহিকতাঃ
আপনি একেবারে অনেক গুলো রড কিনবেন ,তাই এই সময় খেয়াল রাখা উচিত যে সবগুলো রড ই সমমানের কি না । ভালো রড উৎপাদনের সময় প্রতিবার কোয়েংচিং অ্যান্ড টেম্পারিং (Quenching & Tampering ) প্রসেস একই ভাবে অনুসরন করা হয় ।ফলে রডের উপাদানে ও পরিবর্তন হয় না ।তাই ভালো রডে মানের তারতম্য থাকে না ।

সম্পুর্ন সোজা ঃ

কনস্টাকশন সাইটে রড সোজা করা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং পরিশ্রমের কাজ । তাই কেনার সময় খৈয়াল রাখতে হবে রড সোজা আছে কি না ।

সাশ্রয়ঃ

আপনার বেচে নেওয়া রডে যদি ইল্ড স্টেংথ ,ডাক্টিলিটি ,আর ঝালাই ক্ষমতা বেশি থাকে , তাহলে নির্মানের সময় আপনার খরচ কমে আসবে , শ্রমিকদের সময় বাচবে ,পরিশ্রম কম হবে ।

টাইলস এর সাইজ, প্রকারভেদ ও ব্রান্ডসমূহ, টাইলসের কার্য পদ্ধতি,পূর্ব ও পরবর্তী করণীয়সমূহ।

টাইলস এর সাইজ, প্রকারভেদ ও ব্রান্ডসমূহ, টাইলসের কার্য পদ্ধতি,পূর্ব ও পরবর্তী করণীয়সমূহ।



ফ্লোর ফিনিশিং হিসেবে টাইলস আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় 👌, টাইলস ছাড়াও অন্যান্য ফ্লোর ফিনিশিংগুলো হচ্ছে;
▪️Cement Sand Plaster Flooring [Neat Finishing], ▪️Mosic Flooring▪️Vinyl Flooring▪️Quartzite▪️Slate▪️Terrazzo▪️Sandstone/ Kotta Stone Flooring।
এ ছাড়া বর্তমানে Epoxy Paint Flooring এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে, বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে।

আর টাইলস হিসেবে সবার প্রথম পছন্দ Homogeneous/ Porcelain Tiles, তবে Marble কিংবা Granite ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা খুব ব্যয়বহুল। Ceramic Tiles সাধারনত ব্যবহৃত হয় Wall Tiles হিসেবে ব্যবহার হয়, এ ছাড়াও গ্রাউন্ড ফ্লোরে Parking Tiles ও রাস্তায় Paving Tiles ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

✅ Tiles size:-
বাজারে বিভিন্ন সাইজের টাইলস পাওয়া যায়, তন্মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সাইজগুলো হলো;
Floor Tiles: ১২"x১২", ১৬"x১৬", ২০"x২০", ২৪"x২৪", ৩২"x৩২", ২৪"x৪৮" ইত্যাদি।
Wall Tiles: ৮"x১২", ১০"x১৩", ১০"x১৬", ১২"x১৮", ১২"x২০", ১২"x২৪", ১২"x৪৮" ইত্যাদি।
তবে Marble/ Granite চাইলে আপনার পছন্দের মাপ অনুযায়ী নিতে পারবেন।

✅ Brand of Tiles:-
বাজারে চায়না, মালয়েশিয়া কিংবা স্পেনসহ বহু নামী দামী কোম্পানী ও ব্রান্ডের টাইলস পাওয়া যায়, তবে দেশী টাইলসের মধ্যে ▪️RAK ▪️DBL▪️AKIJ▪️MIR▪️Fu-Wang▪️China-Bangla (CBC)▪️Great Wall▪️Star Ceramic▪️Mirpur Ceramic▪️X Monica ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
-----------------------------------------------------------------------------
Tiles কাজের পূর্বে করনীয়:-
✅ Checking:-
প্রথমেই চেক করে নিতে হবে Sanitary, Electric, Gas line Wearing, TV/ Internet Line, Door Frame ইত্যাদির কাজ শেষ হয়েছে কিনা কিংবা কোন সমস্যা রয়েছে কিনা?

✅ Cleaning:-
এরপর বাসুলা ⛏ [Axe] দিয়ে #চিপিং করে ফ্লোর থেকে সকল আগলা/ লুজ ময়লা তুলে ফেলে Wire Brush ও ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বিশেষ করে স্কার্টিং/ ওয়াল টাইল লাগানোর পূর্বে দেওয়াল থেকে শ্যাওলা বা লুজ মর্টার ফেলে দিয়ে পানি সহকারে তারের ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

✅ Watering Spraying:-
টাইলের কাজ শুরুর একদিন পূর্বে ফ্লোর কিংবা ওয়ালকে পর্যাপ্ত #ভিজিয়ে নিতে হবে যেন তা মর্টারের পানিকে শুষে নিতে না পারে। তবে Wall কে হালকা কিছুটা শুষ্ক রাখতে হবে, না হলে লাগানোর সময় টাইলস ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
-----------------------------------------------------------------------------
কার্যপদ্ধতি:-
✅ Leveling:-
√ Stair/ Lift এর ফ্লোর থেকে লেভেল পাইপ/ লেভেল মেশিনের সাহায্যে Unit/ Flat এর রুমগুলোতে লেভেল মার্ক করে নিতে হবে, তারপর কোন রুমে কতটুকু মর্টার লাগবে তা চেক করে নিয়ে সব রুমের জন্য একটা টপ লেভেল ফিক্সড করে নিতে হবে যেন ঐ নির্দিষ্ট লেভেল থেকে সব জায়গাতে টাইলসের টপ পর্যন্ত একই #মাপ পাওয়া যায়।
√ Wall Tiles এর ক্ষেত্রে ওয়াল এর টপ থেকে মেপে নিয়ে লেভেলিং এবং উলম্ব শল করে নিচ থেকে কাজ শুরু করতে হবে, শর্টপিচ লাগলে তা নিচেই দিতে হবে।
√ Door Seal দিয়ে থাকলে Individual Flat wise লেভেল নিতে পারেন, তবে Toilet এর লেভেল রুম থেকে আলাদা হবে, দরজার পাল্লার নিচে যেন কমপক্ষে ১/২” ফাঁকা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

✅ Mortar:-
Tiles তিন ভাবে লাগানো যায়;
√ Tiles Adhesive: বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির রেডিমেইড এ্যাডহেসিভ পাওয়া যায়, বাহিরের কান্ট্রিগুলোতে সাধারনত এই এ্যাডহেসিভ দিয়েই টাইলস লাগানো হয়।
√ Cement Concrete: আমাদের দেশে সাধারনত এই পদ্ধতিতে টাইল লাগানো হয়না, এই পদ্ধতিতে বিদ্যমান ফ্লোরের উপর হালকা পূরুত্বের সিমেন্ট কংক্রিটের মসলার [ড্রাই টাইপের] উপর টাইলস বসানো হয়।
√ Cement Sand Mortar: যা আমরা সবচেয়ে বেশি করে থাকি, মসলা মূলত হওয়া দরকার প্লাস্টারের মত, তবে আমাদের দেশের মিস্ত্রিরা নরম মর্টার দিয় কাজ করতে অভ্যস্ত না বিধায় মসলাকে কিছুটা ড্রাই রাখে [#দোরসা টাইপ]। Wall Tiles এর জন্য অবশ্য মসলা পেষ্ট হওয়া বাধ্যতামূলক [প্লাস্টারের মত]।

✅ Mixing Ratio:-
√ Floor Tiles 1:4 থেকে 1:3
√ Wall Tiles 1:3/ থেকে 1:2

✅ Mortar Laying:-
√ মর্টার যেভাবেই বানানো হোকনা কেন, খেয়াল রাখতে হবে ড্রাই সিমেন্ট স্যান্ড মর্টারের সব জায়গাতে যেন #পানি পৌঁছাতে পারে। মসলা লেইং এর পূ্র্বে ফ্লোরের উপর এবং লেভেল অনুযায়ী মসলা ড্রেসিং এর পর মসলার উপর সিমেন্টের তরল গ্রাউটিং ঢেলে দিতে হবে [যতটুকু এরিয়াতে মর্টার ফেলা হবে], তার উপর টাইলস বসাতে হবে।

√ ওয়াল টাইলসের জন্য মসলাকে প্লাস্টারের প্রস্তুত করে টাইলসের পিছনে লেপে দিয়ে ওয়ালের সাথে আটকাতে হবে, বিশেষ বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে টাইলসের পিছনে যেন ফাঁকা না থাকে। ফাঁকা আছে কিনা বুঝার জন্য টাইলসের উপর হালকা #আঘাত করুন, ভয়েড থাকলে বুঝতে পারবেন।

√ মর্টারের থিকনেস সাধারণত ৩/৪” থেকে ১” হয়ে থাকে, তবে লেভেল/স্লোপ কিংবা বড় আকারের টাইলসের জন্য সেটা ১.৫” ও হতে পারে, তবে ফ্লোরে বেশি পুরুত্বের ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট স্টোন কাস্টিং করে নেওয়াই উত্তম।

✅ Tiles Laying:-
√ প্রথমে রুমের চার কর্নারে চারটি পায়া [Temporary Pier] করে নিতে হবে, এবার পায়াগুলোর লেভেলের সাথে মিল রেখে যে কোন এক সাইড থেকে টাইস লাগিয়ে আসতে হবে, শর্টপিচ লাগলে সেটা প্রান্তের দিকে লাগাতে হবে। সবচেয়ে ভাল হবে যদি রুমের তিনদিকেই এক সারি টাইল বসিয়ে সে অনুযায়ী মাঝের টাইলগুলো বসানো যায়। খেয়াল রাখতে হবে প্রতি টাইলসের মাঝে যেন ২/৩ মিলির বেশি #গ্যাপ না থাকে এবং টাইলের কর্নারগুলো একই লেভেলে থাকে।

√ Wall Tiles এর বেলায় প্রথমে উলম্বভাবে শল ও লেভেলিং করে নিচে এক লাইন টাইলস বসিয়ে নিতে হবে, এবার পায়ার সাথে মিল রেখে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টাইসগুলো যেন Horizontal ভাবে লেভেলে থাকে, কর্নারের টাইলকে ভি-কাটিং [#চোস] করে লাগাতে হবে। কাজ শেষে টাইলসগুলোকে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে।

√ সিরামিক টাইলসকে অবশ্যই কাজের পূর্বে পর্যাপ্ত ভিজিয়ে নিতে হবে।

✅ Curing:-
কিউরিং এর ক্ষেত্রে ভাল হবে যদি ফ্লোরকে পানিতে ডুবিয়ে কিউরিং করা যায়, কারণ টাইলস পানি অপ্রবেশ্য বিধায় সহজে শোষন করে না, সে ক্ষেত্রে জয়েন্টগুলোতে এমনভাবে পানি মারতে হবে যেন তা ভিতরে পৌঁছে।

✅ Pudding:-
কিউরিং পিরিয়ড শেষ হলে তা শুকানোর পর জয়েন্টগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে টাইলসের কালারের সাথে মিল রেখে পুডিং করে দিতে হবে এবং পুডিং করার পর তাও #কিউরিং করতে হবে। পুডিং কে ভালভাবে চেপে লাগাতে হবে যেন ভিতরে ঢুকতে পারে।

✅ Cleaning:-
সব শেষে রুমের রং এর কাজ শেষ হলে Flat এ উঠার দুই এক দিন পুর্বে Hessian Cloth, Vixol দিয়ে ফ্লোরকে ধুয়ে পরিষ্কার করে তালা মেরে দিতে হবে, এবার আপনার কাজ শেষ।
................................................................................................
কিছু সতর্কতা:-
✅ গ্রাউটিং:-
যদি আপনি ড্রাই মর্টার ব্যবহার করেন তবে খেয়াল রাখবেন মসলাকে ড্রেসিং করার পর এর উপর যে তরল #গ্রাউটিং দেওয়া হয় তা যেন মর্টারের সর্বত্র প্রবেশ করতে পারে। মসলার উপরের গ্রাউটিং নিচে পৌঁছানোর জন্য ড্রাই মর্টারগুলোকে কিছুটা গর্ত/ কেটে দিন, তবে লক্ষ্য রাখবেন ভিতরে যেন #ভয়েড না থাকে।

✅ টাইলস সারফেস লেভেলিং:-
√ টাইলের উচুনিচু চেক করার জন্য চার টাইলসের জয়েন্টে হাত দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন কোন টাইলস উচু কিংবা নিচু রয়েছে কিনা?

√ জয়েন্টে Up/Down বুঝার জন্য একটি টাইলসকে যে কোন জয়েন্টে খাড়াভাবে ধরুন, দেখুন তা দুই পাশ্বের দুটো টাইলের সাথে মিলে যাচ্ছে কিনা, কিংবা একটির সাথে মিললে অন্যটি থেকে ফাঁকা থাকে কিনা?

√ টাইলেস লেভেল আপনি স্প্রিরিট লেভেল দিয়েও চেক করতে পারেন, বড় স্পিরিট লেভেল হলে একাধিক টাইলের লেভেল এক সাথে চেক করতে পারেন।

√ যদি আপনি বৃহৎ এরিয়ার লেভেল চেক করতে চান তবে #গজ [থাই এ্যালুমিনিয়াম সেকশন] বা সূতা দিয়ে চেক করতে পারেন। ৭ ফিটের একটি স্ট্রেট গজ নিন, তাকে ফ্লোরের সাথে চেপে ধরুন, ফ্লোর যদি লেভেলে থাকে তবে গজের নিচে কোথাও ফাঁকা থাকবেনা, যদি ফাঁকা থাকে তবে বুঝবেন টাইল ঠিকভাবে বসানো হয় নি।

√ সূতা দিয়ে চেক করতে চাইলে ১০ ফুট দূরুত্বের দুটো টাইলস নির্ধারন করুন, এবার সেই দুই টাইলস থেকে সূতাটিকে ৫ মিলি উপরে তুলে টেনে ধরে রাখুন, নিজেই দেখতে পাবেন কোনটা উচু আর কোনটা উচু।

✅ স্লোপ:-
রুমের ভিতরে স্লোপের প্রয়োজন নেই, তবে বারান্দা এবং টয়লেটে কমপক্ষে ১/২” স্লোপ রাখুন যাতে খুব সহজেই পানি চলে যেতে পারে, সর্বপরি এগুলো যেন সবসময় #শুষ্ক থাকে।

✅ অপচয়:- টাইলের কাজে ওয়েস্টেজ একটু বেশিই হয়, তবে সেটাকে ৮% এর মধ্যে রাখতে চেষ্টা করবেন।

✅ কাজ চলাকালীন সময়ে টাইলসের উপর দিয়ে হাটা যাবে না, টাইলসকে #রাবারের হ্যামার ছাড়া আঘাত করতে দিবেন না। ওয়াল টাইসের ক্ষেত্রে লেভেল চেক করুন যেন, চারদিকের টাইলস একই লেভেলে থাকে, সর্বপরি টপে ১/২” বেশি গ্যাপ এভয়েড করুন।

✅ কালারে ভিন্নতা থাকলে তা আলাদা করুন, কাটিং এর জন্য Tiles Cutter মেশিন ব্যবহার করুন।
!-- G&R_320x50 -->

ভিত্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য

ভিত্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য
কাজের ভিন্নতার উপর নির্ভর করে এই ভিত্তির কিছু প্রকারভেদ রয়েছে । যার সংগাসহ এখানে দেয়া হলো

প্রথমেই চারটি অগভীর ভিত্তিঃ

১। স্প্রেড ফুটিং ঃ কাঠামোর বেইজকে ধাপে ধাপে চওড়া করে
কাঠামোর লোডকে অনেকখানি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে দেবার জন্য
যে ভিত্তি ব্যবহার করা হয়, তাই স্প্রেড ফুটিং ।





২। কম্বাইন্ড ফুটিং ঃ যখন দুই বা ততোধিক কলাম দ্বারা
একটি স্প্রেড ফুটিংকে সাপোর্ট দেয়া হয়, তখন তাকে কম্বাইন্ড ফুটিং বলে ।
মনে রাখার জন্য এভাবেও বলা যেতে পারে যে,
যখন দুই বা ততোধিক কলামের ফুটিং খুব কাছাকাছি হয়ে যাওয়ার ফলে
আলাদা আলাদা মাটি কাটা সম্ভব হয়না, তখনও কম্বাইন্ড ফুটিং ব্যবহার করা হয় ।

৩। স্ট্রাপ ফুটিং বা ক্যান্টিলিভার ফুটিং ঃ দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র কলামের ফুটিংগুলোকে যখন বীম দ্বারা সংযোগ করে একটি ফুটিং এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়
তখন তাকে স্ট্রাপ বা ক্যান্টিলিভার ফুটিং বলে ।

৪। ম্যাট বা র্যা ফট ভিত্তি ঃ যখন একটি কম্বাইন্ড ফুটিং কাঠামোর নিম্নস্থ সকল ক্ষেত্রগুলোকে আবৃত করে কাঠামোর মূল দেয়াল বা কলামকে
একত্রে সাপোর্ট প্রদান করে, তখনকার নির্মিত ভিত্তিকে ম্যাট বা র্যা ফট ভিত্তি বলে ।

ছোট আকারের ইট ব্যবহারের ফলে কি কি ধরনের সমস্যা এবং আর্থিক ক্ষতি হতে পারে দেখুন.

ছোট আকারের ইট ব্যবহারের ফলে কি কি ধরনের সমস্যা এবং আর্থিক ক্ষতি হতে পারে দেখুন.

১। গাঁথনী সমান হয় না, ফলে গাঁথনীর সময় একপাশ মেলালে আরেক পাশ মিলে না,
২। ইটের আকার ঠিক না থাকায় সব জোড়া মাঝখানে পড়েনা ,
৩। গাঁথনীর শল মিলাতে গিয়ে অতিরিক্ত মসলার

ব্যবহার করতে হয় ,
ইটের ক্ষেত্রে টাকা বাঁচাতে গিয়ে সিমেন্ট বালুতে তার চেয়ে বেশী টাকা ব্যয় হয় ,
৪। প্রচুর ইটের অপচয় হয়
৫। বেছে বেছে ব্যবহার করতে গিয়ে মিস্ত্রিদের সময় বেশী লাগে,
ফলে মিস্ত্রি খরচ বেড়ে যায় ।
৬। কাজ চলাকালীন সময় ক্রেতা সাইট পরিদর্শনে গেলে বিমুখ হয়ে যায়,
ফলে বিক্রির আশংকা কমে যায় ।

কাঠা, বিঘা ও একরের মাপ

কাঠা, বিঘা ও একরের মাপ
দূরত্বের এককঃ-
১ ইঞ্চ = ২.৫৪ সেন্টিমিটার
১ ফুট = ০.৩০৫ মিটার
১গজ = ০.৯১৪ মিটার
১ মাইল = ১.৬০৯ কিলোমিটার
১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিলোমিটার

১ সেন্টিমিটার = ০.৩৯ ইঞ্চ
১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চ = ৩.২৮ ফুট = ১.০৯৪ গজ
১ কিলোমিটার = ০.৬২ মাইল
১ ইঞ্চ (ইঞ্চ) = ১/৩৬ গজ = ১/১২ ফুট
 



১ ফুট (ফুট) = ১/৩ গজ
১ রড (রড) = ৫ ১/২ গজ
১ ফারলং (ফার) = ২২০ গজ = ১/৮ মাইল
১ মাইল (মাইল) = ১,৭৬০ গজ = ৫,২৮০ ফুট
১ নটিক্যাল মাইল = ৬,০৭৬.১ ফুট
১ মিলিমিটার (মিমি) = ১/১,০০০ মিটার
১ সেন্টিমিটার (সেমি) = ১/১০০ মিটার
১ ডেসিমিটার (ডেসি) = ১/১০ মিটার
১ ডেকামিটার (ডেকা) = ১০ মিটার
১ কিলোমিটার (কিমি) = ১০০০ মিটার