নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:


নতুন বিল্ডিং  নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:
....................................................................................
১। যে কোন বিল্ডিং-এর নকশা তৈরি করার পূর্বেই স্ট্রাকচারাল নকশার বিধিগুলোর অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক স্ট্রাকচারাল নকশা না হলে ভূমিকম্পরোধক বিল্ডিং হবে না।
.
২। বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণক্ষমতা নির্ভুলভাবে নির্ণয়পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
.
৩। বিল্ডিং নির্মাণের সময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) তদারকি রাখতে হবে যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে।
.
৪। সঠিক অনুপাতে গুনগতমানের সিমেন্ট, রড, বালির ব্যবহার হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। কংক্রিটের চাপ বহন ক্ষমতা কোনো অবস্থাতেই ৩০০০ পিএসআই-এর নিচে নামানো যাবেনা । তার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে নির্মানাধীন সাইটে দায়িত্বে নিয়োজিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কিউব অথবা সিলিন্ডার টেস্ট করতে হবে। কংক্রিটের মিক্সাচারে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ঢালাইর পরে পানির ব্যবহার করে কংক্রিটের কিউরিং করতে হবে।
.
৫। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রড পরীক্ষাপুর্বক ব্যবহার করতে হবে। রডের বহন ক্ষমতা ৬০ হাজার পিএসআই-এর কাছাকাছি থাকতে হবে। স্ক্র্যাপ বা গার্বেজ থেকে প্রস্তুতকৃত রড ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে ।
.
৬। বিল্ডিং-এর প্ল্যান ও এলিভেশান দুই দিকই সামাঞ্জ্য থাকতে হবে।
.
৭। নির্ধারিত ডিজাইনের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ করবেন না। বিল্ডিং কোড অনুসারে এক্সপানশান ফাঁক রাখতে হবে।
.
৮। বেশি পরিমান সরু ও উঁচু বিল্ডিং-এর পাশ হঠাৎ করে কমাবেন না। যদি কমাতে হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইনামিক বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
৯। বিল্ডিং-এর উচ্চতা যদি ভবনের প্রস্থের ৪ (চার) গুণের অধিক হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইমানশন বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১০। সেটব্যাক বা হঠাৎ করে বিল্ডিং-এর পাশের মাপঝোপ কমানো যাবেনা। যদি কমাতেই হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক বিশ্লেষণ করে সাইট অ্যাফেক্ট জেনে ডিজাইন করতে হবে।
.
১১। জটিল কাঠামোগত প্লানের জন্য অবশ্যই ত্রিমাত্রিক ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১২। শেয়ার ওয়াল বা কংক্রিটের দেয়াল সঠিক স্থানে বসিয়ে ভূমিকম্পরোধ শক্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

১৩। সাপ্রতিক সময়ে যে হারে বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে, তা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হলেই ধ্বসে যাবে। সুতরাং বিম, কলাম ও স্ল্যাব বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরি করতে হবে।
.
১৪। দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারকে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে বিল্ডিং-এর প্ল্যান/ ডিজাইন করে ভূমিকম্প রোধক বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে।
.
১৫। নিচের তলা পার্কিং-এর জন্য খালি রাখতে হলে, ঐ তলার পিলারগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করতে হবে। প্রয়োজনমতো কংক্রিটের দেওয়াল দিয়ে পিলারগুলোতে বেষ্টনীবদ্ধ করতে হবে।
.
১৬। বিল্ডিং-এর বিমের থেকে পিলারের শক্তি বেশি করে ডিজাইন করতে হবে। কমপক্ষে ২০% বেশি করতে হবে।
.
১৭। মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ফাউন্ডেশন প্রকৌশলগতভাবে যাচাই বাছাই করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১৮। ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়ালগুলো ভূমিকম্পের জন্য আদৌ নিরাপদ নয়। তাই এই দেয়ালগুলো ছিদ্রযুক্ত ইটের ভিতরে চিকন রড দিয়ে আড়াআড়ি ও লম্বালম্বিভাবে তৈরি করে লিন্টেলের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে। সবদিকে লিন্টেল দিতে হবে। বিশেষ করে দরজা বা জানালার খোলা জায়গায় চিকন রড দিয়ে ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়াল যুক্ত করতে হবে।
.
১৯। মনে রাখতে হবে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণে ভূমিকম্প-প্রতিরোধক নিয়মাবলি প্রয়োগ করলে, শুধুমাত্র ২-৩% নির্মাণ খরচ বৃদ্ধি পায়।

সাইট ইঞ্জিনিয়ার দের প্রয়োজনীয় কিছু স্ট্রাকচারাল ধারনা



একজন Site ইঞ্জিনিয়ারকে অনেক স্ট্রাকচারাল বিষয়ে ধারনা রাখতে হয়।  তেমনই  স্ট্রাকচারাল কিছু বিষয় শেয়ার করা হলো। কোন ইনফরমেশন
সম্পর্কে মতামত থাকলে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।

▶️ Shear Key in Column:
=======================
ডিজাইনে মূলত দুটো কারণে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট এ (বিশেষ করে কলামে) Shear Key রাখা হয়
☑ কলামের Shear Resistance Capacity বৃদ্ধির জন্য।
☑ কলামের Adjacent Segment এর মধ্যে Displacement ঝুকি কমানোর জন্য।

✅Shear Key সচরাচর 2” থেকে 4” গভীরতার রাখা হয়, এটা রাখলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পরবর্তী ঢালাই এর পূর্বে গর্তটি যেন ভালভাবে #পরিষ্কার করা হয়।

✅ সবচেয়ে ভাল হবে ঢালাইয়ের পরের দিন যদি গর্তটি পলিথিন দিয়ে ডেকে দেওয়া যায়, যাতে তা সহজেই তুলে ফেলা যায়।

▶️ Column Casting Height:
=========================
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কন্ট্রাক্টরগন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য Full Height Column কাস্টিং করে ফেলেন, যা মোটেও উচিত নয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দুই বা ততোধিক লিফটে কলাম কাস্টিং করতে হবে, তা না করলে যা হতে পারে
✅ সেগ্রিগেশন, লেইটেন্স কিংবা ব্লিডিং এর ফলে সৃষ্ট ভয়েড বা হানিকম্ব কলামকে ভঙ্গুর ও দুর্বল করে ফেলতে পারে।
✅ Vertical ডিসপ্লেসমেন্ট (শল আউট) কিংবা Shutter ফেল করার সম্ভাবনা থাকে।
✅ ক্লিয়ার কভারের তারতম্যের কারণে Crack সহ নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

✅ একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আপনি কখনোই ভার্টিকাল ১.৫ মিটার বা ৫ ফুটের অধিক Column বা Wall Casting Allow করবেন না।

▶️ Lapping & Spacer:
====================
 Lapping এর ক্ষেত্রে যা লক্ষ্য রাখতে হবে

✅ Generally কম্পেশন জোনে Lapping 24D থেকে 44D এবং টেনশনে 30D থেকে 50D হয়ে থাকে।
বি.দ্র: এখানে হুক ছাড়া এবং হুক সহ মাপের কথা বলা হয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন কনসালটেন্টগন ল্যাপের ক্ষেত্রে বিভিন Code ফলো করেন, তবে ইন্ডিয়ান কনসালটেন্টদের মতে উভয় জোনের জন্য 50D দেওয়া যেতে পারে।

✅ খেয়াল রাখতে হবে কলাম কিংবা বিমের এক জায়গায় যেন 50% এর বেশি রডে ল্যাপ না পড়ে।

✅ কলামের ল্যাপিং জোন: L/2 বা Middle Portion এর মধ্যে ল্যাপ দিতে হবে, L/4 এর ভিতরে সর্বাধিক Stress উৎপন্ন হয় বলে এই Zone পরিহার করা উচিত।

✅ বিমের টপ বারের ল্যাপিং: Middle Third Span বা মধ্য তৃতীয়াংশে এর মধ্যে থাকবে, কারণ এই Zone এ Negative Moment থাকেনা।

✅ বিমের বটম বারের ল্যাপিং: One Third Span বা এক তৃতীয়াংশে বা L/3 এর মধ্যে থাকতে হবে, কারণ এই Zone Positive Moment থাকেনা।

✅ Spacer Bar এর ডায়া হবে 25mm [For Beam], 12mm [For Slab] এবং Spacing হবে সর্বাধিক 30” c/c। বিমের ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে Main Bar এবং Extra Bar এর মধ্যে গ্যাপ যেন ১” এর বেশি না হয়।

▶️ Beam Column Joint:
====================
প্রায় সব কনসালটেন্ট suggest করেন বিমের রডকে কলামের Vertical রডের ভিতর দিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রকৃতপক্ষে বিম ও কলামের Clear cover একই থাকে বলে তা মানা সম্ভব হয়না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিমের এক পার্শ্বের রডকে কলামের বাহিরে এবং অন্যপাশ ভিতরে দিয়ে নেওয়া হয়।

✅ বিম কলাম জয়েন্টে অবশ্যই যা করনীয়
☑ জয়েন্টের এই অংশটুকুতে কলামে কমপক্ষে দুটি Stirrup দিতে হবে।
☑ বিমের প্রথম স্টিরাপ কলাম ফেস থেকে অর্ধেক Spacing দূরুত্ব বা ২” পর থেকে শুরু করতে হবে।
☑ এই অংশের Casting অবশ্যই কলামের কংক্রিটের ডিজাইন স্ট্রেন্থ অনুযায়ী করতে হবে, কলামের কাস্টিং যে গ্রেডের তা মেইনটেন্ট করতে হবে এবং অন্যান্য অংশে ছাদের কংক্রিটের গ্রেড অনুযায়ী হবে, না হলে এই অংশ দুর্বল হবে।

বি.দ্র: যদিও অনেকে বিমের রডকে কলামের ভিতর দিয়ে নেওয়ার জন্য কলাম স্ট্রিপের কাছাকাছির স্টিরাপগুলো কিছুটা সরু রেখে মাঝের অংশে প্রশস্ত করে বিমের রড বাধার কথা বলেন যা প্রকৃতপক্ষে ডিজাইন সম্মত নয়, কারণ লোড ট্রান্সফারের জন্য বিম/কলাম/ছাদের রড straight হওয়া বাঞ্ছনীয় ।

▶️ Construction Joint:
====================
 বিভিন্ন কারণে আমাদেরকে ছাদ কিংবা বিমে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট রাখতে হয়, দেখা যায় অনেক সময়ই আমরা বিমের Edge  বরাবর ছাদের কাস্টিং শেষ করে দেই কিংবা কলামের Face বা গা ঘেষে বিমের casting শেষ করে রড রেখে দেই যা মোটেও উচিত নয়।

✅ কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট রাখার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
☑ ইহা অবশ্যই 2L/3 বা Middle third of span বা মধ্য তৃতীয়াংশ স্প্যান দুরুত্বের মধ্যে রাখতে হবে কারণ এই জোনে Shear Stress কম থাকে, কখনোই L/3 দুরুত্বের মধ্যে রাখা উচিত নয়।
☑ বিম বা ছাদের Construction জয়েন্ট Slope এ না রেখে Straight বা খাড়া রাখা বাঞ্ছনীয়, তবে Shear Key এর জন্য Grove রাখা উত্তম।
☑ অবশ্যই রডের ক্লিয়ার কভার এবং ল্যাপিং দৈর্ঘ্য নিশ্চিত করতে হবে।
☑ এই অংশে পানি লিকেজের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে বলে Vibrating & Water Proofing Admixture ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

▶️ Hooks & Stirrup:
====================
 ভূমিকম্প বান্ধব ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে হুকের বিকল্প নেই, স্টিরাপ বা Tie Ring তৈরির বেলায় এবং বিমের রডের L Bend বা মাটামের ক্ষেত্রে Development Length নিশ্চিত করতে হবে।

✅ লক্ষ্য রাখতে হবে

☑ বিম বা কলামের স্টিরাপে অবশ্যই 135 degree এ্যাংগেলে হুক দিতে হবে, হুকের দৈর্ঘ্য হবে 3D-6D [D means dia of Rebar], তবে ২" কম হতে পারবে না।
☑ বিমের রডের 90 Degree মাটাম বা L Bend এর দৈর্ঘ্য হবে 12D [where D means Dia of bar].

▶️ Groove Cutting in Column:
===========================
অনেক জায়গায় দেখা যায় Door Frame ফিটিংস এর জন্য কলামের এক পার্শ্ব কিংবা উভয় পার্শ্বেই গ্রুফ কেটে চৌকাঠ লাগানো হয় যা কম্প্রেশন মেম্বার কলামের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
✅ পরামর্শ এ ক্ষেত্রে আপনি দুইভাবে ফ্রেম লাগাতে পারেন;
☑ কলামের সাথে একটি পূর্ণ ইটের গাঁথুনি (কোবলা) দিয়ে লাগাতে পারেন।
☑ ফ্রেমকে কলামের সাথে ক্লাম্পের সাহায্যে ড্রিল করে আটকাতে পারেন। তবে আপনাকে প্রথমটাই সাজেস্ট করবো কারণ পরবর্তীতে ফ্রেমের টানে প্লাস্টার ফেটে ক্লাম্প বের হয়ে আসতে পারে।

প্রচলিত ইটের বিকল্প কনক্রিট ব্লক Concrete Block


বিভিন্ন ধরনের কনক্রিট এর ব্লক ব্যাবহার করা হয়ে থাকে, এগুলোর যেমন সাইজে ভিন্নতা তেমনি থাকে প্রপার্টিস এর। বিভিন্ন ধরনের কনক্রিট ব্লক এর প্রপার্টি,সুবিধা আলোচনা করা হলো।

০১.Concrete Hollow Block
=================≠=====
কনক্রিট হলো ব্লক Concrete Hollow Block বিভিন্ন ধরণের ভারবাহী বা অ-ভার বাহী দেয়াল নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়। বড় সাইজের এ কনক্রিট ব্লক ব্যবহারের ফলে সংযোগ সংখ্যা কমবে এবং মর্টার এর ব্যবহার কম হবে। হলো ব্লক ভাল অন্তরক হিসাবে কাজ করে এবং শব্দ, তাপ ও আদ্রতা প্রতিরোধক। ২০% সিমেন্ট এবং ৮০% বালি মিশিয়ে এই ব্লক তৈরী করা হয়।
.
কনক্রীট হলো ব্লক মূলত বিল্ডিং এর দেয়াল তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সমসাময়িককালে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে এ ধরনের পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। কনক্রীট ওয়াল ব্লক সমূহ চিরাচরিত ব্যবহার্য ইটের তুলনায় অনেক বেশী সাশ্রয়ী এবং এটি অনেক বেশি শ্রম, শক্তি ও সময় বাঁচায়।

সাইজ: ২৪০ মি.মি. x ১১৫ মি.মি. x ৯০ মি.মি.
ওজন: ৩.৯ কেজি

#সুবিধা:
=======
১.শব্দ, অগ্নি ও তাপ নিরোধক।
২.ইলেকট্রিক্যাল পাইপ বসানোর জন্য দেয়াল কাটা লাগে না।
৩.ইটের ন্যায় অধিক পানি শোষণ করে না।
৪.এই ব্লক গাঁথুনীর কাজে ব্যবহারের আগে ইটের মতো পানিতে ভেজাতে হয় না।
৫.কনক্রীটের ব্লকে নোনা ধরে না, ঘামে না, ড্যাম্প হয় না, ফাঁঙ্গাস পড়ে না বলে এটি দীর্ঘস্থায়ী।
৬.কনক্রীটের ব্লকে ইটের তুলনায় কম পুরুত্বের প্লাস্টারিং ব্যবহার করা হয়।
৭.বাড়ির ব্যক্তিগত ওজন ও নির্মাণ খরচ দুই-ই কমাবে।
৮.পরিবেশবান্ধব এবং ভূমিকম্প সহনশীল।
৯.কৃষি জমি ও বনজ সম্পদরে অপচয় রোধ।কোন জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট  করে না ।সারা বছর ব্যাপী উৎপাদন করা সম্ভব।শব্দ শোষন ক্ষমতা বেশিঅগ্নি ও তাপ নিরোদক অধকি র্কাযক্ষম।স্থায়ত্বিকাল ও কাঠামোগত ভারসাম্য বেশ ভাল।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বান্ধব কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়, নিচে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো

২.Compressed Stabilized Earth Block (CSEB)
========================================
ড্রেজিং সয়েলের সাথে ১০% সিমেন্ট মিশিয়ে চাপ প্রয়োগের (compression) মাধ্যমে Compressed Stabilized Earth Block (CSEB) তৈরি করা হয়।
.
#সুবিধা:
=========
কৃষি জমরি উপরভিাগরে মাটি ব্যবহার রোধ করণ।বনজ সম্পদ ব্যবহার রোধ।র্কাবন নর্গিমন হ্রাস করণ।নদ নদীর নাব্যতা রর্ক্ষাথে ড্রজেং সয়েলের সয়েলের ব্যবহার।পরিবেশ সুরক্ষা।দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় র্কমসংস্থানরে সুযোগ তৈরি করা।
.
৩.Compressed stabilized Earth Block (with jute fiber):
============================≠======≠=========
নদীর ড্রেজড সয়েলের সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট, বালি মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে ব্লক তৈরী করা হয়। এই ব্লকের অন্যান্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দেখা য়ায় যে, পরিবহন ও অন্যান্য কারণে এর শার্প কর্ণারগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয় যা প্লাস্টার বিহীন দেয়াল তৈরীর উপযোগিতা হারায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এর সাথে কিছু পরিমাণপাটের আঁশব্যবহার করা হয়। ফলে দেখা যায় যে প্রাপ্ত ব্লকের  শার্প কর্ণারগুলোর ক্ষয়হ্রাস পেয়েছে এবং এই ধরণের CSEB, destructive test -এ সম্পূর্ণভাবে চুর্ন বিচূর্ণ না হয়ে পরস্পর সংযুক্ত অবস্থায় থাকে যা ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে সহায়ক।
.
সুবিধা :
======
পাটের আঁশ ব্যবহার করে ইটরে গুনাগুন সুরক্ষা।বিশেষ করে ইটরে র্কনার গুলোতে ভাঙ্গন রোধ করা।
.
৪.Interlocking Block:
=================
নদীর ড্রেজড সয়েলের সাথে আনুপাতিক হারে সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে মেশিনে চাপ প্রয়োগ করে ইন্টারলকিং ব্লক তৈরি করা হয়। Alternate Interlocking Mechanism থাকার ফলে এই ব্লক দিয়ে কোন প্রকার মর্টার ছাড়াই ভারবাহী দেয়ালের গাঁথুনি করা সম্ভব। ইন্টারলকিং ব্লক নির্মিত দেয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর উলম্ব ছিদ্র বরাবর রড ব্যবহার পূর্বক মর্টার কাস্টিং করে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় আনুভূমিক বীম কাস্টিং করে একে Interlocking Blockহিসেবে ডিজাইন করা যায়।
.
সুবিধা:
=======
নির্মাণ  উপকরণরে সাশ্রয়কোন প্রকার র্মটার বহিীন নির্মাণ ।স্বল্প সময়ে নির্মাণ ।স্বল্প ব্যায় এ নিমাণ।         
.
 ৫.থার্মাল ব্লক:
==========
বাংলাদেশে গতানুগতিক তৈরী ইটের বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ইট তৈরিতে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি বহুল ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর পরিমাণ জ্বালানী প্রয়োজন হয় যা দেশের বনজ সম্পদ এবং কৃষি জমি হ্রাসের অন্যতম কারণ। অপরদিকে সিমেন্ট বালু দিয়ে তৈরি ইট ব্যয়বহুল ও ওজনে ভারী। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে এইচ বি আর আই এর গবেষণাগারে সিমেন্ট তৈরি ব্লকের মাঝে হালকা ওজনের পলিস্টাইরিন শীট ব্যবহার করে হালকা ও ব্যয় সাশ্রয়ী ইট তৈরি করা হচ্ছে।
.
সুবধিাসমূহঃ
==========
ওজনে হালকা ফলে ভূমকিম্পে সহনীয় ।তাপ নিরোধক হওয়ায় গ্রীস্মকালে  ও শীতকালে আরাম দায়ক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।শব্দ নিরধক গুনাগুন সম্পন্ন।পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব।

.
৬.ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল:
====≠=========≠===========
পলিস্টাইরিন শিটের দুই দিকে ফেরো সিমেন্ট প্রযুক্তি ((wire mesh এবং মর্টার ) ব্যবহার করে ফেরো-সিমেন্ট স্যান্ডউইচ প্যানেল (sandwich panel) তৈরি করা হয়। এই প্যানেল বিল্ডিং এর দেয়ালের পাশাপাশি ছাদেও ব্যবহার করা যায়। এর কাঠামো মেকানিকেল পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বলে তা অধিকতর সুষম, শব্দ ও তাপরোধী, ভারবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন। Sandwich Panel এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এই প্যানেল দিয়ে অল্প সময়ে প্রি-ফেব্রিকেটেড গৃহ নির্মাণ করা সম্ভব।
.
#সুবিধা :
=======
অধিকতর সুষম.শব্দ ও তাপরোধী.ভারবাহী ক্ষমতাসম্পন্ন.অল্প সময়ে প্রি-ফেব্রিকেটেড গৃহ নির্মান করা সম্ভব।


একটি প্রজেক্ট এর গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের হিসাব

গ্রেড বীমঃ-
ফুটিং এর পিলার এর উপর ভুমির সমান্তরাল করে যে বীম ঢালাই করা হয় তাকে গ্রেড বীম বলে।
গ্রেড বীমের উপর সুপার স্ট্রাকচার দেওয়াল নির্মান করা হয়। সাধারন ভাবে বলা যায়, সুপার স্ট্রাকচার দেওয়ালের নিচে যে বীম থাকে সেই বীম-ই গ্রেড বীম।

চিত্রে অনুসারে ,

একটি রুমের আকার=(২৫X২০) ফুট

[ এখানে,দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট এবং প্রস্থ ২০ ফুট ]

গ্রেড বীমের সাইজ= (১৮X১৬) ইঞ্ছি

[প্রস্থ=১৬/১২=১.৩৩ ফুট এবং উচ্চতা=১৮/১২= ১.৫ ফুট ]

এখানে, রুমের যে দৈর্ঘ্য দেওয়া আছে তা কলামদ্বয়ের মধ্যবর্তী
দুরুত্ব ।
বুঝতে সমস্যা হলে #প্ল্যান এর চিত্র দেখেন প্রথম কমেন্ট এ ( আশাকরি বুঝবেন )

গ্রেড বীমের দৈর্ঘ্য বের করার নিয়ম:
-----------------------------------------------------

১. দৈর্ঘের দিকে গ্রেড বীম আছে ২টা=২x ২৫ ফুট= ৫০ ফুট

২. প্রস্থের দিকে গ্রেড বীম আছে ২টা =২x২০ ফুট = ৪০ফুট

অতএব,গ্রেডবীমের মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে=৪০+৫০=৯০ফুট

কাজের পরিমাণ
-------------------------------

কাজের পরিমাণ =দৈর্ঘ্যxপ্রস্থxউচ্চতা
=৯০X ১.৩৩ X ১.৫ ঘনফুট =১৭৫.৫ ঘনফুট

গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের পরিমাণ=১৭৫.৫ ঘনফুট = ওয়েট ভলিউম

সাধারণত, লুজ/ড্রাই ভলিউম = ১.৫ × ওয়েট ভলিউম।
সুতরাং এখানে
লুজ/ড্রাই ভলিউম = ১.৫ × ১৭৫.৫ ঘনফুট = ২৬৩.২৫ ঘনফুট

সুতরাং সিমেন্ট, বালি , ও খোয়ার পরিমান
--------------------------------------------------------------
ধরি ,
সিমেন্ট, বালি , ও খোয়ার অনুপাত =১ঃ১.৫ঃ৩

সিমেন্ট =২৬৩.২৫ * (১/৫.৫)= ৪৭.৮৬ ঘনফুট =৩৮.২৯= ৩৯ ব্যাগ
বালু = ২৬৩.২৫ * (১.৫/৫.৫)= ৭১.৭৯ ঘনফুট
খোয়া =২৬৩.২৫ * (৩/৫.৫)= ১৪৩.৫৮ ঘনফুট =২০১০ টি ইট


কলাম কিকার কি ?

Column kicker

কলাম কিকার কি   ?
---------------------------------------------

#কিকারঃ ফুটিং,স্ল্যাব ও বিমের উপর একটি কলাম রেডি করার পূর্বে তার নিচে স্বল্প উচ্চতার যে কলামটি ঢালাই করা হয়,তাকে কিকার বলে।

>> মূলত কলাম এর পজিশন,এলাইনমেন্ট,ফর্মওয়ার্ক ঠিক রাখার জন্য কিকার তৈরি করা হয়।
>> কাঠ/স্টিলের সাটারের সাথে ফর্মওয়ার্ক তৈরী করা হয়।

>> কিকারের উচ্চতা 3"-4" হয়।তবে স্টিল সাটার ব্যবহার করলে 6"-9" পর্যন্ত উচ্চতার কিকার তৈরী করা যায়।

>> সাটার লাগানের পূর্বে কলামের মূল রড,টাই ও ভিতরের সকল ময়লা স্টিল ব্রাস ও ফোর্স ওয়াটার দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

>> কিকার তৈরীর স্থানে কোন অবস্থাতেই পানি থাকবে না।

>> কলামের পজিসন ও এলাইনমেন্ট ঠিক রাখার জন্য পূর্ববর্তি ছাদ/বিমের কাষ্টিং এর পূর্বেই যদি কলামের মূল রডগুলোকে ভার্টিক্যাল রেখে পর্যাপ্ত পরিমানে টাই পরিয়ে নেয়া যায়,তবে clear cover সঠিক রাখতে সুবিধা হবে।

>> সাটার পরিস্কার করে সাটারটি 2:1 Ratio ফলো করে ডিজেল:লুব্রিক্যান্ট অয়েল মিশ্রণ দিয়ে মুছে নিতে হবে।এই প্রলেপটি যেনো পুরু না হয়।কারন,তাতে কংক্রিটের গুণগত মাণ নষ্ট হতে পারে।

>> সাটারের সাইটগুলোকে লিকপ্রূফ করতে জুট টেপ ও ফোম ব্যবহার করা হয়।এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন, এর Axis ঘুরে না যায়।

>> সাটার স্থাপন হয়ে গেলে Project/Site Engineer দ্বারা অবশ্যই অবশ্যই চেক করতে হবে যেঃ সাটারটি সুদৃঢ় ও ক্লিয়ার কভার ঠিক আছে কি না।

>> সাটার ঠিক রাখার জন্য GI তার & CC Block ব্যবহার করা হয়।

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?


কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?
==============================

কংক্রিট এর মধ্য ধারাবাহিকতা বা সমসত্ত্বতা যাচাই এর জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় যে, কংক্রিট এর কার্যউপযোগীতা কতটুকু। স্ল্যাম্প এর পরিমান অবশ্যই নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকবে।

স্ল্যাম্প পরীক্ষায় ব্যবহুত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
স্ল্যাম্প কৌণ (উপরের ব্যাস ১০০ মি:মি: x নিচের ব্যাস ২০০ মি:মি: x উচ্চতা ৩০০ মি:মি: )

ছোট কুর্ণী
গুলি-মুখ রড ( ৬০০ মি:মি: লম্বা x ১৬ মি:মি: সাইজ)

স্কেল
স্ল্যাম্প প্লেট (৫০০ মি:মি: x ৫০০মি:মি:)

স্ল্যাম্প পরীক্ষার ধাপগুলি:
১. কৌণটি পরিস্কার করতে হবে। পানি দিয়ে ভালভাবে মুছে স্ল্যাম্প প্লেট এর উপর রাখতে হবে। স্ল্যাম্প প্লেট অবশ্যই পরিস্কার, শক্ত , সমতল এবং অ-শোষণীয় হতে হবে।

২. পরীক্ষার জন্য প্রয়োনীয় পরিমান কংক্রিট নিতে হবে (যেই কংক্রিট পরীক্ষা করতে হবে তা থেকে)

৩. পাদানির উপর শক্তভাবে দাড়াতে হবে এবং তিন ভাগের একভাগ কংক্রিট দিয়ে ভরাট করতে হবে। ২৫ বার রড দিয়ে ভালভাবে গুতা দিতে হবে। গুতা সবসময় একই ভাবে দিতে হবে এবং তা হতে হবে বাইরের দিক থেকে মাঝার দিকে।

৪. আবার দ্বিতীয় ভাগ ভরাট করতে হবে এবং ৩ নং ধাপের মত করে রড দিয়ে গুতা দিতে হবে। বে খেয়ার রাখতে হবে যে এবার রড প্রথম ভাগের উপর পর্যন্ত যাবে, এর নিচে না।

৫. এবার বাকি অংশ ভরাট করতে হবে উবু-উবু করে এবং আগের মত রড দিয়ে গুতা দিতে হবে। তবে খেয়ার রাখতে হবে যে এবার রড দ্বিতীয় ভাগের উপর পর্যন্ত যাবে, এর নিচে না। উবু অংশ ফেলে দিয়ে মাথা কৌণ এর সমান করে দিতে হবে।

৬. গড়ানো পদ্ধতিতে রড দিয়ে উপরিতল সমান করতে হবে। স্ল্যাম্প প্লেট এর উপর কোন ময়লা থাকলে তা পরিস্কার করতে হবে। হাতল চাপদিয়ে ধরে পাদানি থেকে নেমে পড়তে হবে।

৭. সাবধানে কৌণটি সোজা উপরে ওঠাতে হবে যাতে করে এর ভেতরের কংক্রিট নড়ে না যায়।

৮. কৌণটি উল্টে ফেলে কংক্রিট এর পাথে রাখতে হবে। রডটি কৌণ এর উপ কংক্রিট এর দিকে মুখ করে বসাতে হবে।

৯. কংক্রিটটির সর্বোচ্চ তলা থেকে রড এর তলা পর্যন্ত মাপ নিতে হবে। কয়েকটি মাপের গড় নিতে হবে। এই গড় মাপটিই স্ল্যাম্প

সাইটে অপচয় রোধে করণীয়


সাইটে অপচয় রোধে করণীয়

*সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের জন্যে খুবই ইম্পরট্যান্ট >>
-------------------------------------------------------------------------------

1.সাইটে ড্রয়িং ও ডিজাইনের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।

2.সঠিক ভাবে মালামাল রিসিভ ও issue করতে হবে।

3.কাজের শেষে মালামাল গুলি সঠিক স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে।

4.স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

5.ব্রিক ওয়াল ও প্লাস্টারের স্থান অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।

6.আর,সি,সি সারফেস সমতল থাকতে হবে।

7.ব্রিক সারফেস সমতল থাকতে হবে।

8.কাটপিছ রড স্টোরে রাখতে হবে।

9.খালি সিমেন্ট ব্যাগ, খালি রং এর পট, পিভিসি পাইপ এর কাটপিছ ইত্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।

10.লাইট ও ফ্যান ইত্যাদি বিনা কারণে চালু রাখা যাবে না।

11.মিটার রিডিং এর জন্য ডেইলি রেজিস্টারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

12.অতিরিক্ত মালামাল মেঝের যেখানে সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। যেমন: ইট, বালি, সিমেন্ট ব্যাগ ইত্যাদি।

13.শেষ বেলার দিকে মর্টার বা কংক্রিট হিসেব করে বানাতে হবে যাতে অতিরিক্ত না হয়।

14.বার সিডিউল করে রড হিসাব করে কাটতে হবে।

15.মর্টার তৈরির সময় সামনে থাকতে হবে।

16.প্রতিদিনের ম্যাটেরিয়ালস এর হিসাব প্রতিদিন করতে হবে।

17গোডাউনের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে।

18.দক্ষ লোকবল দিয়ে কাজ করতে হবে।

অতত্রব অপচয় রোধে উপরোক্ত পয়েন্ট গুলো একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার কে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মেনে না চললে নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যা কোনভাবেই কাম্য না


রাস্তা নিয়ে বিস্তারিত


🚧 🚧 🚧 🚧 🚧 রাস্তা নিয়ে বিস্তারিত 🚧 🚧 🚧 🚧 🚧

১. রাস্তা নিয়ে সব ধরনের তথ্য
২.রাস্তায় বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল
২.রাস্তার এস্টিমেট

রাস্তা নিয়ে সব ধরনের তথ্য
-----------------------------------

🚧 বিটুমিন রাস্তা কাকে বলে?
উওরঃ যে সকল রাস্তার পেভমেন্ট তৈরির সময় বন্ধনী পদার্থ হিসাবে বিটুমিন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয় তাকে বিটুমিনের রাস্তা বলে।

🚧 বিটুমিনাস রাস্তার চরম শএু বলা হয় কাকে?
উওরঃ জমে থাকা পানিকে
ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 BST পূর্ণরুপ কি?
উওরঃ Bituminous surface treatment

🚧 পানিকে কেন বিটুমিনাস রাস্তার চরম শএু বলার কারণ কি?
উওরঃ বিটুমিনাস রাস্তায় পানি জমে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি বিটুমিনাস রাস্তার কাপের্টিং নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে রাস্তায় অনেক পটহোলস সৃষ্টি হয়। যার ফলে রাস্তা ব্যবহারের উপযোগিতা নষ্ট হয়।তাই পানিকে বিটুমিনাস রাস্তার চরম শএু বলা হয়।
ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 পটহোলস কাকে বলে?
উওরঃ রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হলে গর্তগুলোকে পটহোলস বলে।

🚧 বিটুমিনেরর রাস্তা নিমার্ণের ধাপসমূহ কি কি?
উওরঃ সাব-গ্রেড, সাব-বেইজ,প্রাইমকোট,ট্যাককোট,সিলকোট

🚧 সওজ পূর্ণরুপ কি?
উওরঃ সড়ক ও জনপথ

🚧 সড়ক ও মহাসড়ক ডিজাইনে কোন কোড অনুসরণ করতে হয়?
উওরঃ AASHO

🚧 বিটুমিনাস সড়কে গাড়ির গতি প্রতিরোধ করতে কি কি ব্যবহার করা হয়?
উওরঃ স্পিড-ব্রেকার,
ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 বিটুমিনাস রাস্তার ভিওি বলা হয় কোন স্তরকে?
উওরঃ সাব-গ্রেড স্তরকে

🚧 ট্যাককোট প্রয়োগের সাথে সাথে কোন কোট তাড়াতাড়ি প্রয়োগ করতে হয়?
উওরঃ সিলকোট

🚧 আঞ্চলিক ও জাতীয় সড়ককে রাস্তায় সাইনবোর্ডে কি দ্বারা নির্দেশ করে?
উওরঃ আঞ্চলিক - R
জাতীয় - N
ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 রাস্তার বাকেঁ সুপার এলিভেশন দেওয়ার মূল কারণ কি?
উওরঃ রাস্তার বাকেঁ গাড়ি উল্টিয়ে যাওয়া প্রতিরোধের জন্য।

🚧 রোড মার্কিং কি রং ব্যবহার করা হয়?
উওরঃ থার্মো-প্লাস্টিক পেইন্ট

🚧 DBM পূর্ণরুপ কি?
উওরঃ Dense Bitumen Macadam

🚧 বিটুমিনাস সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য কি কি ব্যবস্হা রাখা হয়?
উওরঃ L- Drain, Catch pit,

🚧 বিটুমিনাস সড়কের দুই পাশ্বে এজিং দেয়া হয় কেন?
উওরঃ সড়কের প্রস্হ বা এলাইনমেন্ট ঠিক রাখার জন্য, সড়কের পাশ্ব ভাঙন প্রতিরোধ করা জন্য, সাব-বেইজ, ওয়ারিং কোটকে যথাস্হানে ধরে রাখতে।
ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 বিটুমিনাস সড়কের রাস্তায় কত ধরণের রোড মার্কিং থাকে?
উওরঃ ৩ ধরণের।

🚧 বিটুমিনাস সড়কের দুই পাশ্বে যে ঘাসের চাপড়া লাগানো হয় তাকে কি বলে?
উওরঃ টারফ

🚧 বিটুমিনাস সড়কে বামদিকে তীর চিহ্ন ও ডান দিকে তীর চিহ্ন দ্বারা কি বুঝানো হয়?
উওরঃ বামদিকে তীরচিহ্ন - শুধুমাএ বামদিকে চলুন
ডানদিকে তীর চিহ্ন - শুধুমাএ ডানদিকে চলুন।ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 বাংলাদেশের রাস্তায় তৈরীর করে থাকেন কোন ডির্পাটমেন্ট?
উওরঃ Roads & Highway Department.

🚧 বিটুমিন কি?
উওরঃ বিটুমিন কালো বা বাদামী বর্ণের বান্ধনী সম্পন্ন জৈব রাসায়নিক যৌগবিশেষ। যা রাস্তা তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।

🚧 বিটুমিনাস সড়কে মাটির ভারবহন ক্ষমতা জানার জন্য যে টেস্ট করা হয় তার নাম কি?
উওরঃ CBR test

🚧 ক্যাম্বার কি ও কেন দেওয়া হয়?
উওরঃ সড়কের আড়াআড়ি ঢালকে ক্যাম্বার বলে।
মূলত ক্যাম্বার দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সড়ক হতে তাড়াতাড়ি পানি নিষ্কাশনের জন্য।ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 বাংলাদেশে কোন গ্রডের বিটুমিন রাস্তায় ব্যবহার করা হয়?
উওরঃ ৮০/১০০

🚧 বিটুমিনাস সড়কে Break line, continuous line, Double continuous line দ্বারা কি বুঝানো হয়?
উওরঃ Break line- গাড়ি ওভার টেকিং করতে পারবে
Continuous line-গাড়ি ওভার টেকিং করতে পারবে না
Double Continuous line- গাড়ি ওভার টেকিং করা নিষিদ...ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 স্পিড-ব্রেকারেরর থেকে কম উচ্চতায় গাড়ির গতি প্রতিরোধের জন্য ৪, ৫ টি সড়কের আড়াআড়িতে দেওয়া হয় তার নাম কি?
উওরঃ রেম্বল স্ট্রিপ

🚧 ক্রাউন ও গ্রডিয়েন্ট কি?
উওরঃ ক্রাউনঃ সড়কের মাঝ বরাবরের উচুঁ জায়গাকে ক্রাউন বলে।
গ্রডিয়েন্ট ঃ সড়কের লম্বালম্বি ঢালকে গ্রডিয়েন্ট বলে।

🚧 বিটুমিনাস সড়কের সাইনবোর্ডে বৃওের মাঝে "X"
চিহ্ন দ্ধারা কি বুঝানো হয়?
উওরঃ গাড়ি থামানো নিষেধ।ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 বিটুমিনেরর কয়েকটি পরীক্ষার নাম কি কি?
উওরঃ Ductility, penetration, Bitumen content,Marshall stability

🚧 ক্যারেজ ওয়ে বলতে কি বুঝায়?
উওরঃ সড়কের দুই পাশ্বের শোল্ডারের মধ্যবতী যে পাকা অংশের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করে তাই হচ্ছে ক্যারেজ ওয়ে।ডিজাইন ইন্টিগ্রিটি

🚧 বিটুমিনাস সড়ক বাংলাদেশে এত জনপ্রিয় কেন?
উওরঃ নিমার্ণ খরচ কম,নিমাণ ও পুনঃমেরামত সহজ, নিমার্ণের পর খুব তাড়াতাড়ি ব্যবহার করা যায়

🚧 SSD ও PSD পূর্ণরুপ কি?
SSD- Stoping sight distance
PSD- Passing sight distance

বিটুমিনাস সড়কের ইনফরম্যাশন ও এস্টিমেট.
-----------------------------------------------
ইনফরমেশন
*****************
সড়কের দৈর্ঘ্য = ১৫০০'-০"
সড়কের প্রস্থে = ২০'-০"
সড়কের উচ্চতা = ১'-৬"
এজিং = ৩"
সাইট ড্রেসিং প্রস্থ = ১'-০"
বালি খোয়া মিক্র লেয়ার ১:১ উচ্চতা = ৬"
খোয়ার লেয়ার = ৪"

১. #মাটি কাটা = ১৫০০'-০"x২০'-০"x১'-৬"
= ৪৫০০০ ঘনফুট

২. #মাটি ড্রেসিং = ১৫০০'-০'x২০'-০"
= ৩০০০০ বর্গফুট

৩. #ইটের ফ্লাট সোলিং = ১৫০০'-০'x১৯'-৬"
= ২৯২৫০ বর্গফুট
[এখানে ১৯'-৬" আসলো এই ভাবে
দুই ধারে এজিং এর জন্য ৩" করে যদি বাদ দেওয়া হয় তবে প্রস্থ = ২০'-০"-৩"x২
= ১৯'-৬"]

৪. #হেরিং বোন বন্ড = ১৫০০'-০'x১৯'-৬"
= ২৯২৫০ বর্গফুট

৬.দুই ধারে ইটের এন্ড এজিং
= ১৫০০x২
= ৩০০০ ফুট

৭. #বালি খোয়া মিক্র লেয়ার ১:১
= ১৫০০'-০"x১৯'-৬"x৬"
= ১৪৬২৫ ঘনফুট

৮. #খোয়ার লেয়ার = ১৫০০'-০"x১৯'-৬"x৪"
= ৯৭৫০ ঘনফুট

৯. #বিটুমিনাস carpeting
= ১৫০০'-০'x১৯'-৬"
= ২৯২৫০ বর্গফুট

১০. #ট্যাক কোট = ১৫০০'-০'x১৯'-৬"
= ২৯২৫০ বর্গফুট

১১. #সিল কোট = ১৫০০'-০'x১৯'-৬"
= ২৯২৫০ বর্গফুট

১২.বালি দিয়ে রাস্তার উপরে #blinding
= ১৫০০'-০'x১৯'-৬"
= ২৯২৫০ বর্গফুট

১৩. সাইট #ড্রেসিং = ১৫০০'-০'x১'-০"x২
= ৩০০০ বর্গফুট



একটা বিল্ডিং এর সকল আইটেম মিলে ১০০% কিভাবে ভাগ করা হয়। তার সম্ভাব্য নমুনা।



একটা বিল্ডিং এর সকল আইটেম মিলে ১০০% কিভাবে ভাগ করা হয়। তার সম্ভাব্য নমুনা।

1. Structure = 35%
2. Brick work = 6%
3. Wood work = 5%
4. Metal work = 2%
5. Plambing and Sanitary = 6%
6. Electrical work = 7%
7. Plaster work = 4%
8. General Floor Tiles work = 6%
9. Toilet & Kit wall Tiles work = 3%
10. Aluminium work = 4%
11. EME (Lift, Generator, Substation) = 10%
12. Paint work = 3%
13. Others civil work = 6%
14. Utility connection & Bill = 3%
Total = 100%

STRUCTURE 35%
- Footing & Column Padestal = 20%
- Grade Beam, UGWR top Slab = 5%
- GF Column, Stair etc = 4%
- 1st Floor Slab = 9%
- Typical Floor Column (5x3%) = 15%
- 2nd floor slab to roof slab (5x8) = 40%
- Roof top = 7%
TOTAL = 100% (৩৫% যেভাবে আসবে।)

BRICK WORK 6%
- GF Brick work = 6%
- 1st floor Brick work = 18%
- 2nd floor Brick work = 18%
- 3rd floor Brick work = 18%
- 4th floor Brick work = 18%
- 5th floor Brick work = 18%
-Roof Top Brick work = 4%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

WOOD WORK 5%
- Door frame = 40%
- Main Door Shutter = 15%
- Partex Door Shutter = 35%
- Cat Door & Accessories = 10%
TOTAL = 100% (৫% যেভাবে হবে।)

METAL WORK 2%
- Window grill = 55%
- Verandah Railling = 20%
- Stair Railling = 10%
- Main gate, Gen-Sub, safety grill = 15%
TOTAL = 100% (২% যেভাবে হবে।)

PLAMBING & SANITARY 6%
- uPVC vertical line thru duct = 25%
- GI line work = 30%
- Fixture & Fittings = 40%
- Ground Floor = 5%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

ELECTRICAL - 7%
- Conduiting inside slab = 10%
- Conduiting on wall i/c MK box=15%
- Cabling work = 55%
- Switch-Socket = 20%
TOTAL = 100% (৭% যেভাবে হবে।)

PLASTER 4%
- Ceiling plaster = 20%
- Internal wall plaster = 50%
- Outside plaster/facing bricks = 30%
TOTAL = 100% (৪% যেভাবে হবে।)

GENERAL FLOOR TILES 6%
- General floor & Verandah = 75%
- Stair, typical lobby & lift wall = 20%
- GF lift lobby, wall, reception = 5%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

TOILET & KIT WALL TILES = 3%
- Bath wall = 60%
- Kitchen wall = 20%
- Bath floor = 9%
- Bath counter top = 4%
- Kitchen floor = 3%
- Kitchen counter top =4%
TOTAL = 100% (৩% যেভাবে হবে।)

ALUMINIUM WORK 4%
- Outer framing-window sliding= 40%
- Glass shutter-window sliding = 30%
- Verandah sliding = 20%
- Toilet high window = 5%
- Comnon area = 5%
TOTAL = 100% (৪% যেভাবে হবে।)

EME 10%
- Lift = 50%
- Generator = 25%
- Substation = 20%
- PABX, Fire extinguisher etc = 5%
TOTAL = 100% (১০% যেভাবে হবে।)

PAINT WORK = 3%
- Upto putty = 40%
- Internal wall&ceiling 1st coat= 20%
- Internal wall&ceiling 2nd coat= 15%
- Outside paint/ceramic Tites = 25%
TOTAL = 100% (৩% যেভাবে হবে।)

OTHERS CIVIL WORK = 6%
- Boundary wall = 30%
- Line terracing/Roof top paver= 15%
- LOGO, Gardening & others = 4%
- GF BBC = 14%
- GF pavement & footpath dev = 10%
- Lintel, F/slab, drop wall, counter slab = 20%
- Cable tray = 1%
- Sanitary duct cover, ceiling etc= 4%
- Reception desk, letter box = 2%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

UTILITY CONNECTION & BILL = 3%
- DESA/DESCO = 35%
- TITAS = 20
- WASA = 15%
- Utility bills = 30%
TOTAL = 100%

কনক্রিট সিলিন্ডার প্রস্তুতি ও বুয়েটে টেস্ট



কনক্রিট সিলিন্ডার প্রস্তুতি ও বুয়েটে টেস্ট 

১. সিলিন্ডার সাইজঃ
---------------------------------
সাধারণত কনক্রীটের কমপ্রেসিভ স্ট্রেংথ পরীক্ষণের জন্য আমরা ৬” X ১২”সিলিন্ডার স্যাম্পল তৈরি করে থাকি।
তবে ৪”  X ৮”সিলিন্ডার স্যাম্পলও তৈরি করা যায়, যা ASTM Standard C31/C31M-03 দ্বারা স্বীকৃত।
লক্ষনীয় যে, ৪ ” X ৮” কনক্রীট সিলিন্ডার তৈরির সাথে বেশ কিছু উপকারিতা সন্নিহিত। 
যেমনঃ
�একটি ৬” X ১২” সিলিন্ডার তৈরিতে যে পরিমাণ কনক্রীট প্রয়োজন, তা দিয়ে তিনটিরও বেশী ৪ ” X ৮” কনক্রীট সিলিন্ডার তৈরি করাসম্ভব। অর্থাৎ, ৭০% কনক্রীট অপচয় রোধকরা যায় ও টেস্টের জন্যে প্রেরন করতে সহজ হয়।

ASTM Standard অনুসারে, ৬” X ১২” সিলিন্ডার ও ৪ ” X ৮” সিলিন্ডার পরীক্ষাকরে প্রাপ্ত কনক্রীট স্ট্রেংথে তেমন কোন পার্থক্যই নেই।
�বুয়েটে ৪ ” X ৮” কনক্রীট সিলিন্ডারের খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
তাই এসব বিচারে গতানুগতিক  ৬” X ১২” কনক্রীট সিলিন্ডারের পরিবর্তে ৪ ” X ৮” সিলিন্ডার তৈরি করাই বেশী সুবিধাজনক,  সাশ্রয়ী ।

২. কনস্ট্রাকশনসাইটে সিলিন্ডার প্রস্তুতির পূর্বশর্তঃ
------------------------------------------------------------------
�কাস্টিং এর পূর্বে যে স্থানে কনক্রীট মিক্স করা হয় (রেডী মিক্স কনক্রীটের ক্ষেত্রে, সাইটের যে স্থানে ডেলিভারী দেয়া হয়) সেখানেই সিলিন্ডার তৈরি করতে হবে।

� ড্রাম মিক্সারের ক্ষেত্রে মিশ্রণে প্রয়োজনীয় পানি পুরোপরি যোগ করার পরেই কেবল সিলিন্ডারে কনক্রীট নেয়া যাবে।

�একটি ব্যাচের মাঝামাঝি পর্যায়ে সিলিন্ডারে কনক্রীট নেয়া উচিত।

সিলিন্ডার তৈরির মৌল্ড গুলো অবশ্যই ওয়াটার লীক প্রুফ হতে হবে।

�শুধু তাই নয়, সিলিন্ডার তৈরি করারআগে কনক্রীটে কোর্স এগ্রিগেটের সর্বোচ্চ সাইজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ সাইজ ৬” X ১২” সিলিন্ডারের জন্য ২” (৫০মিলি ও ৪ ” X ৮” সিলিন্ডারের জন্য ১-১/৪” (৩১মিলি)হওয়া বাঞ্চনীয়।

৩. সিলিন্ডার কাস্টিংঃ
---------------------------------
সিলিন্ডার প্রস্তুতি এবং কনক্রীটের কমপ্যাকশন
------------------------------------------------------------------
সাধরণত সিলিন্ডারে কনক্রীট কমপ্যাকশনের জন্য রড কিংবা ভাইব্রেশন যে কোন পদ্ধতিই অবলম্বর করা যায়, তবে স্ল্যাম্প এর  পরিমাণ ১” (২৫মিলি) এর কম হলে ভাইব্রেটরব্যবহার করা উচিত।

�ট্যাম্পিং রডের একপ্রান্ত গোলাকার হওয়া বাঞ্চনীয়। সেই সাথে ভাইব্রেটর নজেল পাইপ  ৪ ” X ৮”  এর ক্ষেত্রে ২৫ মিলি এবং  ৬” X ১২”  এর ক্ষেত্রে ৩৭ মিলি এর বেশি হওয়া যাবে না

ট্যাম্পিং এর ক্ষেত্রে রডের গোলাকার প্রান্ত দিয়ে প্রতিটি লেয়ার এর উপর চারদিকে সমানভাবে কমপ্যাকশন করতে হবে। সর্বনিম্ন লেয়ারেএমনভাবে ট্যাম্পিং করতে হবে যেন ট্যাম্পিং রড নিচ পর্যন্ত পৌঁছায়। উপরের লেয়ার/লেয়ারগুলোর ক্ষেত্রে ট্যাম্পিং রড কমপ্যাকশন কালে নিচের লেয়ারের ভেতর আনুমানিক ২৫ মিলি প্রবেশ করতে হবে।
---------------------------------
ভাইব্রেটর চালানো অবস্থায় সিলিন্ডারে কনক্রীট নেয়া বাঞ্চনীয় নয়। প্রতিটি লেয়ার আলাদাভাবে ডাইব্রেটর দিয়ে কমপ্যাকশন করা উচিত। ডাইব্রেশনের গতি হবে অত্যন্ত ধীর এবং কোন ভাবেই ডাইব্রেটর নজেলটিকে মৌল্ড এর তলা বা সাইডে অধিক সময় রাখা চলবে না, অন্যথায় কিছু এয়ার ভয়েড থেকে যেতে পারে। প্রতি লেয়ারের মাঝামাঝি গভীরতা পর্যন্ত নজেল প্রবেশ করা যেতে পারে এবং শুধুমাত্র ততক্ষণই ভাইব্রেশন করা প্রয়োজন যতক্ষণ না একটি লেয়ারের উপরিভাগ সমতল হয়ে উঠবে। সাধারণত ১০ সেকেন্ডের বেশি ভাইব্রেশন করার প্রয়োজন হয় না। ভাইব্রেশন শেষে নজেলটিকে অত্যন্ত ধীরে উঠিয়ে আনতে হবে।

�সম্পূর্ণ সিলিন্ডার মোল্ড টি ভর্তি হয়ে গেলে ১০-১৫ বার মোল্ড এর বাইরে চারপাশে ভাইব্রেটরের নজেল বা ট্যাম্পিং রড দিয়ে মৃদু আঘাত করতে হবে, যাতে অরৎ াড়রফনা থাকতে পারে। সবশেষে মৌল্ড উপরিভাগের অতিরিক্ত কনক্রীট ফেলে দিয়ে সমান করে দিতে হবে।

�একটি কনক্রীটসিলিন্ডার উল্লেখিত নিয়মে সর্বমোট ১৫ মিনিটের মধ্যে কাস্টিং করা বাঞ্চনীয়।

৪. কনক্রীট সিলিন্ডারের পরীক্ষা-পূর্ব কিউরিং ও সংরক্ষণঃ
---------------------------------------------------------------------------------
� উপরে উল্লেখিত উপায়ে সিলিন্ডার সমূহকাস্টিং এরপরপরই সেগুলোর পরিচিতমূলক নাম সংরক্ষণ করা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে কাস্টিং তারিখ, লোকেশন (বীম, কলাম,পাইলক্যাপ ইত্যাদি) এবং ক্ষেত্রবিশেষে গ্রীড নাম্বার দিয়ে সিলিন্ডারসমূহকে কনক্রীট আধাশক্ত থাকা অবস্থাতেই সূক্ষ্ণ ধারালো কিছু দিয়ে এর উপরিভাগে স্থায়ী ফ্রগমার্ক তৈরী করা যেতে পারে।

সিলিন্ডার কাস্টিং এর অনতিবিলম্ব পরেই সেগুলোকে মৌল্ড এ রাখা অবস্থাতেই ৪৮ঘন্টা পর্যন্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শ হতে দূরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ছিদ্রহীনপ্লাস্টিক ব্যাগব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চুনমিশ্রিত পানিতে মৌল্ড সমেত সদ্য প্রস্তুতকৃত সিলিন্ডারগুলোকে ডুবিয়ে রাখাই যথাযথ।

�  এভাবে ৪৮ঘন্টা প্রাথমিক কিউরিং শেষে গড়ষফহতে সিলিন্ডারগুলো বের করে, তাদের গায়ে অনপনেয় কালি বা রং দিয়ে স্থায়ীমার্কিং করাউচিত।তবে মোল্ড হতে বের করার৩০মিনিটেরমধ্যে সিলিন্ডারগুলোকে চুনমিশ্রিত পানিতে (স্যাচুরেটেড)সম্পূর্ণ ডুবিয়ে রাখতে হবে।

৫. পরীক্ষণের জন্য বুয়েট এ প্রেরণ ঃ
------------------------------------------------------------------
� কিউরিং কৃত সিলিন্ডার সমূহকে নির্দিষ্ট টেস্টিং তারিখের কমপক্ষে ২/১ দিন পূর্বে বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের কনক্রীট ল্যাবরেটরিতে পৌঁছে দিতে হবে। তারিখ হবার বহুদিন পূর্বে সিলিন্ডারগুলো বুয়েটে সরবরাহ করা সমীচীন নয়।

�সিলিন্ডার গুলোকে একত্রে অভেদ্য কাপড়ে বা প্লাষ্টিকব্যাগে মুড়িয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন ব্যক্তির সই সমেত একটি ফরোয়ার্ডিং চিঠির এর উপর সিল-গালা করে বুয়েটে এ সরবরাহ করা উচিত, যাতে করে প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় থাকে। অন্যথায় সিলিন্ডারগুলো আনসীলড বলে গণ্য হবে।

�  সিলিন্ডারগুলোপরীক্ষনের আবেদন জানিয়ে ডিরেক্টর,বি.আর.টি.সি, বুয়েট বরাবর আবেদনপত্রে নিম্নোক্ত

বিষয়সমূহ উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরীঃ
------------------------------------------------------------------
(১)  কাস্টিং ডেট

(২)  লোকেশন (বীম, কলাম, রিটেইনিং ওয়ালইত্যাদি)

(৩)  গ্রীড নং (যদি থাকে)

(৪)  মিক্স অনুপাত

(৫)  এগ্রিগেট টাইপ (ব্রীক/স্টোন চিপস, সিঙ্গেলস)

(৬)  দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/প্রকৌশলীর ফোন নম্বর

(৭)  সিলিন্ডারের সংখ্যা ও সাইজ



ম্যাট ফাউন্ডেশন এর কাজে করনীয়

ম্যাট ফাউন্ডেশন এর কাজে করনীয়
---_---------------_-----------_---------------

ম্যাট ফুটিং:

যখন একটি কম্বাইন্ড ফুটিং কাঠামোর নিন্মস্থ সকল ক্ষেত্রফলকে আবৃত করে কাঠামোর মূল দেওয়াল বা কলামকে একত্রে সাপোর্ট প্রদান করে তখন তাকে ম্যাট বা র‍্যাফট ফুটিং বলে।

ম্যাট ফাউন্ডেশন এর কাজের সময় যেসব জিনিস খেয়াল রাখতে হবে।।।

১. ড্রইং অনুযায়ী নির্দিষ্ট পুরুত্বের C.C. Casting করতে হবে।

২. ৫ থেকে ৭দিন কিউরিং করতে হবে।

৩. Double Net ব্যাবহার করা হলে, নিচের নেটে লং বার নিচে  শর্ট বার উপরে, উপরের নেটে শর্ট বার নিচে লং বার উপরে।

৪. দুইটি নেট ব্যাবহার করলে এদের মাঝে রিইনফোর্সমেন্ট চেয়ার ব্যাবহার করা শ্রেয়।

৫. ল্যাপিং এর ক্ষেত্রে ড্রয়িং অনুসরন করতে হবে।

৬. প্রত্যেক পার্শ্বে ক্লিয়ার কভার ৩'' অথবা ড্রয়িং ফলো করতে হবে।

৬. বারগুলোর ডায়া এবং স্পেসিং চেক দিতে হবে।

৭. পাইলের রড বের হয়ে থাকলে তা কেটে দিতে হবে অথবা বেসমেন্ট রডের সাথে বেকে দিয়ে কাস্টিং এ যেতে হবে।

৮. R.C.C. Wall  থাকলে ওয়াল এর রড গুলো বা মাটাম ড্রয়িং অনুযায়ী চেক করতে হবে। ওয়াল এ দুইটি লেয়ার এ রড ব্যাবহার করার জন্য সেপারেটর দিতে হবে। অবশ্যই ফেসবার ব্যাবহার করতে হবে।

৯. কাস্টিং কংক্রিটের Max Stress ১:১.৫:৩ অনুপাতে  ৩৫০০PSI এ প্রয়োগ করতে হবে।

১০. ঢালাই এর ২৪ ঘন্টা পর থেকে কিউরিং শুরু করতে হবে।

স্ল্যাব এর শাটারিং এর পরিমান নির্নয়


একটি স্ল্যাব এর জন্যে শাটারিং এর পরিমান নির্নয়
শাটারিং এর ধরন – কাঠের শাটারিং
ধরি,
স্ল্যাবের লেন্থ = 50 feet.
স্ল্যাবের প্রস্থ = 30 feet.
টোটাল এরিয়া = Length x Width
= 50 feet x 30 feet.
= 1500 sft.

শাটারিং দরকার
---------------------------------
১। Plywood:
প্লাই-উডের সাধারন সাইজ= 8’x4′ ও থিকনেস= 12 mm.
প্লাই-উড দরকার = এরিয়া x 0.02 (Thumb rule)
= 1500 x 0.02 = 30 no’s
২.কাঠের কাঠামো
কাঠের কাঠামো সাইজ= 3″x3″
কাঠের কাঠামো দরকার = Covered area x Thumb rule = 1500 x 0.04 = 600 rft
৩. Nails ( তার-কাটা/পেরেক )
তার-কাটা/পেরেক দরকার= এরিয়া x 0.02 = 1500 x 0.02 = 30 kg.
৪। বিম এর নিচের কাঠামো
বিম এর নিচের কাঠামোর থিকনেস= 1.5″
বিম এর নিচের কাঠামোর দরকার= এরিয়াx 0.24 = 1500 x 0.24 = 360 rft.
৫. কাঠের গুড়ি বা বাশ
বিম এর জন্য কাঠের গুড়ি বা বাশ দরকার = বিম এর নিচের কাঠামো এরিয়া x 0.5
= 360 x 0.5 = 180 no’s
ছাদ এর জন্য কাঠের গুড়ি বা বাশ দরকার = বিম এর নিচের কাঠামো এরিয়া x 0.16 = 1500 x 0.16
= 1500 x 0.16 =240 no’s
৬. ক্ল্যাম্প :
ক্ল্যাম্প দরকার = এরিয়া x 0.08
=1500 x 0.08 = 120 no’s
৭। তেল
শাটারিং এর তেল = এরিয়া x 0.006 = 1500 x 0.006 = 9 liters

কনস্ট্রাকশন কাজে সতর্কতা-না জানলেই নয়



কনস্ট্রাকশন কাজে কিছু নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করতে হয়

1. বালি ব্যবহারের পূর্বে ধুয়ে ছেঁকে নিতে হবে।

2. খোয়া ব্যবহারের পূর্বে ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে।

3. পানি, সিমেন্ট, বালি ও খোয়া/পাথরের মিশ্রণের অনুপাত ঠিক রাখতে হবে।

4. প্লাস্টারিং কখনো 1.5" এর বেশী হওয়া উচিত নয়।

5. প্লাস্টারিং-এর পূর্বে ইটগুলোর গা থেকে ময়লা পরিস্কার করে নিতে হবে।

6. যে যে স্থানে প্লাস্টারিং করা হবে, উক্ত স্থান ভালভাবে চিপিং করতে হবে।

7. ইটের দেওয়াল পানি দ্বারা ভালভাবে ও সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে। যাতে
দেওয়াল, প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।

8. design অনুযায়ী rod বাইন্ডিং করতে হবে।

9. clear cover ঠিক রাখতে হবে।ঢালাইয়ের সময় পায়ের চাপে বা ধাক্কায় ব্লকগুলো যেন সরে না যায়,সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

10. মশলা ঢালার পরে vibrato মেশিন দ্বারা ভালভাবে মশলা বসিয়ে নিতে হবে।

পাইল ক্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত

পাইল ক্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত 


১। পাইল ক্যাপ বিল্ডিং এর অতিগুরুত্ব পুর্ন অংশ।

২। পাইল ক্যাপ বিল্ডিং এর সকল লোড পাইলে স্থানান্তর করে।

৩। দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান এমন পাইল ক্যাপ কে বর্গাকার পাইল ক্যাপ দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বড় হলে তাকে আয়তাকার পাইল ক্যাপ বলা হয়।

৪। পাইল ক্যাপ এর পুরুত্ব মাটির বিয়ারিং ক্যাপাসিটির ও বিল্ডিং এর লোডের উপর নির্ভর করে।

৫। পাইল ক্যাপ এর রড সাধারন্ত সিঙ্গেল জালী হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে ডাবল জালী হয়।

৬। পাইল ক্যাপ এর রডে এল বা মাটাম লাগে।

৭। পাইল ক্যাপ ঢালায়ের আগে আমরা পাইলের মাথা ভেঙ্গে রড বের করি তারপর পাইল ক্যাপ এর নীচে বালি
দিয়ে ড্রেসিং লেভেলিং পানি দিয়ে কম্পেটিং পলিথিন সোলিং সিসি করে (সিসি করার সময় খেয়াল রাখতে
হবে য়েন পাইলের মাথার উপর না যায়) তার পর রড বাইন্ডিং করে সাটারিং করে ঢালায় করা হয়।

৮। পাইল ক্যাপ এর ঢালায়ের পুরুত্ব বেশী থাকায় ভালভাবে ভাইব্রেটিং করা উচিৎ যেন ভিতরে ভয়েড না থাকে।

৯। পাইল ক্যাপ ঢালায়ের সময় কলামের সেন্টার যেন কোন সমস্যা না হয়।

১০। ভালভাবে কিউরিং করতে হবে।

১১। সাটারিং খোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পাইল ক্যাপ এর কোন প্রকার ক্ষতি না হয়।

পাইল ক্যাপ চেক লিষ্ট
-------------------------------------------
• পাইলের উপর থেকে দুর্বল কংক্রিট সরিয়ে ফেলুন

• শাটার এর সকল ছিদ্র বা ফাকা বন্ধ করতে হবে

• সব সাইট শলে (সঠিক উলম্ব) রাখতে হবে

• সাটার এর সাপোর্ট ভালভাবে চেইক করতে হবে যাতে করে সাটার ঢালাই এর সময় খুলে না যায় বা ঢালাই মোটা না হয়

• সাটারে কংক্রিট ঢালার লেভেল মার্কিং করতে হবে

• কলামের রডের আনুভুমিক সাপোর্ট কংক্রিট লেভেল এর উপরে থাকতে হবে

• ক্লিয়ার কভার ভালমত চেইক করতে হবে

• রড বাধাই এর তারের কোন অংশ যেন কংক্রিট কভারের মধ্যে না যায় খেয়াল রাখতে হবে
• কলাম রিং নিচে, মাঝে ও উপরে দিতে হবে। কংক্রিট এর চার ইঞ্চ উপরে একটি রিং দিতে হবে।

• কলামের রড শলে (উলম্ব/খাড়া) রাখতে হবে

• কংক্রিট ঢালার পুর্বে ভালভাবে পরিস্কার করতে হবে।

কলাম ও বীমে ল্যাপিং এর পরিমাপ


আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রডের কাজ অনুসারে ল্যাপিং.. খুবই ইম্পরট্যান্ট একটি টপিক

কমপ্রেশন জোন
-----------------------
কলাম : ৪০ D
শেয়ার ওয়াল : ৪০ D
লিফ্ট ওয়াল : ৪০ D

টেনশন জোন
-------------------------
বীম : ৬০ D
স্ল্যাব : ৬০ D

কলামে ল্যাপিং
---------------------
কলামে সাধারনত ১৬, ২০, ২২, ২৫, ৩২ মিমি রড ব্যবহার হয়ে থাকে
তাহলে কলামে ল্যাপিং

১৬ মিমি = ৪০x১৬ = ৬৪০ মিমি ২'-২"
২০ মিমি = ৪০x২০ = ৮০০ মিমি ২'-৮"
২২ মিমি = ৪০x২২ = ৮৮০ মিমি ৩'-০"
২৫ মিমি = ৪০x২৫ = ১০০০ মিমি ৩'-৪"
৩২ মিমি = ৪০x৩২ = ১২৮০ মিমি ৪'-৩"

বীমের ল্যাপিং
-----------------------
বীমে সাধারনত ১৬, ২০, ২২, ২৫ মিমি রড ব্যবহার হয়ে থাকে
তা হলে বীমের ল্যাপিং
১৬ মিমি = ৬০x১৬ = ৯৬০ মিমি ৩'-২"
২০ মিমি = ৬০x২০ = ১২০০ মিমি ৪'-০"
২২ মিমি = ৬০x২২ = ১৩২০ মিমি ৪'-৫"
২৫ মিমি = ৬০x২৫ = ১৫০০ মিমি ৫'-০"

স্ল্যাবের ল্যাপিং
-----------------------
স্ল্যাবে সাধারনত ১০, ১২, মিমি রড
ব্যবহার হয়ে থাকে
তা হলে স্ল্যাবের ল্যাপিং
১০ মিমি = ৬০x১০ = ৬০০ মিমি ২'-০"
১২ মিমি = ৬০x১২ = ৭২০ মিমি ২'-৫"
তবে বাস্তবে কাজ করার সময় কম বেশী হতে পারে।


রড সম্পর্কে কিছু কথা



আপনার বাড়ী দাড়িয়ে থাকবে রডের কাঠামোর উপর । তাই ভালো রড বেচে নিতে ভুলবেন না ।এখন প্রশ্ন হচ্চে যে রড কিনছেন সেটা যে ভালো তা বুঝবেন কি করে ? ভালো রডের কিছু বৈশিষ্ট থাকে , সেগুলো সাধারন রডে থাকে না , বৈশিষ্টগুলো নিচে দেওয়া হল -

টেকসই আর মজবুত ঃ
রডে ইল্ড স্ট্রেংথ (yield strength) নামে একটা বৈশিষ্ট থাকে ।এটা হচ্চে রডের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ।যে রডে ইল্ড স্ট্রেংথ (yield strength) যত বেশি সে রড বাড়ী নির্মানের জন্য তত ভালো ।বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে ভালো রডে ৫০০ M.P.A (৭২,০০০ P.S.I ) ইল্ড স্ট্রেংথ থাকে ।
ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাড়িকে রক্ষা করার ব্যাপারে ও রড সাহায্য করে । যে রড কিনছেন সেটা আর্থকোয়েক রেজিস্ট্যান্ট কিনা তা আগে থেকে জেনে নেয়া ভালো ।

ভালো ঝা্লাই উপযোগিতা ঃ
সাধারন রডে ঝালই করার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ।এদের মধ্যে
একটা হচ্চে এমব্রিটল টেন্ডেন্সি বা রড ভঙ্গু্র হয়ে যাবার প্রবনতা । সাধারন রড ঝালাইয়ের পর ঠান্ডা হবার সময় বেকে যেতে পারে । এতে নির্মান কাজের অসুবিধা হয় । রড কিনার সময় অবশ্যই এমন রড বেছে নিবেন যেটাতে এই সমস্যা গুলো নেই ।
এমন রড বেচে নিন যেটাতে কার্বন কনটেন্ট কম আছে, এ ধরনের রড সাইজে বাট ওয়েল্ড বা ল্যাপ ওয়েল্ড করা যায় , যাতে আপনার নির্মানে সময় বাচবে ।

ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
ভালো রড থার্মো-মেকানিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্রসেস এ তৈরি করা হয় ।এ কারনে রডে ক্ষতিকারক টরসোনাল রেসিডিঊয়াল স্ট্রেস (torsional Residual stress)  থাকে না । এ ধরনের রডে ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে ।

ডাক্টিলিটি ঃ
আপনার বাড়ী নির্মানে যে কংক্ক্রিট ব্যবহার হবে সেটাকে দীর্ঘদিন মজবুত রাখার জন্য আপনার ডাক্টাইল রড প্রয়োজন,ভালো ও ডাক্টাইল রড কংক্ক্রিটে ফাটল ধরতে দেয় না ।আধুনিক কোয়েনচিং আ্যান্ড ট্যাম্পারিং প্রসেস অনুসারে তেরি করা রডে ডাক্টিলিটি বেশি থাকে ।রড কেনার সময় আপনি এটা ও জেনে নিতে পারেন যে রডের কার্বন কনটেন্ট কতখানি , কারন কম কার্বন কনটেন্ট এর রডে বেশি ডাক্টাইল হয় ।

ধারাবাহিকতাঃ
আপনি একেবারে অনেক গুলো রড কিনবেন ,তাই এই সময় খেয়াল রাখা উচিত যে সবগুলো রড ই সমমানের কি না । ভালো রড উৎপাদনের সময় প্রতিবার কোয়েংচিং অ্যান্ড টেম্পারিং (Quenching & Tampering ) প্রসেস একই ভাবে অনুসরন করা হয় ।ফলে রডের উপাদানে ও পরিবর্তন হয় না ।তাই ভালো রডে মানের তারতম্য থাকে না ।

সম্পুর্ন সোজা ঃ

কনস্টাকশন সাইটে রড সোজা করা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং পরিশ্রমের কাজ । তাই কেনার সময় খৈয়াল রাখতে হবে রড সোজা আছে কি না ।

সাশ্রয়ঃ

আপনার বেচে নেওয়া রডে যদি ইল্ড স্টেংথ ,ডাক্টিলিটি ,আর ঝালাই ক্ষমতা বেশি থাকে , তাহলে নির্মানের সময় আপনার খরচ কমে আসবে , শ্রমিকদের সময় বাচবে ,পরিশ্রম কম হবে ।

প্লাষ্টার এস্টিমেট


প্লাষ্টার এস্টিমেট

=================================
আমরা বাস্তবে তিন প্রকার প্লাষ্টার করে থাকি
.
১.সিলিং ও ঢালায় সার্ফেস= ০.৫০"
২.রাহিরের ওয়াল ০.৭৫"
৩.ভিতরের ওয়াল ১.০০"

 ১৫০০ বর্গফুটের প্লাষ্টার এস্টিমেট
_========================
প্লাষ্টারের পুরুত্ব = ০.৭৫"
অনুপাত (১:৪)
প্লাষ্টারের ভেজা মসলার পরিমান
= ১৫০০x(০.৭৫÷১২)
= ৯৩.৭৫ ঘনফুট
শুকনা মসলার পরিমান = ৯৩.৭৫x১.৫
= ১৪০.৬৩
অনুপাতের যোগফল = (১+৪)=৫

সিমেন্ট = (১৪০.৬৩x১÷৫)÷১.২৫
= ২২.৫০ ব্যাগ

বালি = (১৪০.৬৩x৪÷৫)
= ১১২.৫০ ঘনফুট


Retrofitting কি?



Retrofitting


Retrofitting  হচ্ছে নির্মিত স্ট্রাকচার এর ক্যাপাসিটি বাড়ানো। সাধারনত পুরনো স্ট্রাকচার যা লোড নিতে পারছেনা বা ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ   এরকম বিল্ডিং এ রেট্রোফিটিং করা হয়।

Option of Retrofittting

বর্তমানে স্ট্রাকচার এর স্ট্রেন্থ বাড়ানোর জন্যে FRP  ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
FRP-Fiber Reinforced Polymer....

৩ ধরনের FRP রেট্রোফিটিং প্রচলিত

1.CFRP- CARBON Fiber Reinforced Polymer
2.GFRP-GLASS  Fiber Reinforced Polymer
3.AFRP-ARAMID  Fiber Reinforced Polymer

এই তিন ধরনের রেট্রোফিটিং এর মধ্যে #CFRP  সবচেয়ে বেশী ব্যাবহত হয়।

কেন CFRP????
১.CFRP ব্যাবহারে কলামের স্ট্রেংথ অনেক গুন বেড়ে যায়। লোড ক্যারিং ক্যাপাসিটি বাড়ে।

২.CFRP শিয়ার ক্যাপাসিটি বাড়ায়

৩.ডাকটিলিটি বাড়ায়

৪.কলামের সেকশন বাড়েনা

ইত্যাদি।।।।।।

কিভাবে করা হয়???

১.পারশিয়াল
২.ফুল

পারশিয়াল CFRP রেট্রোফিটিং

পারশিয়াল CFRP র‍্যাপিং এর ক্ষেত্রে কলাম কে পারশিয়ালি CFRP দিয়ে মোড়ানো হয়।
বিভিন্ন ধরনের পারশিয়াল র‍্যাপিং করা হয়।।
৫০%
৭৫% ইত্যাদি।।।।

ফুল CFRP রেট্রোফিটিং

ফুল CFRP রেট্রোফিটিং এর ক্ষেত্রে কলাম কে CFRP দিয়ে পুরোপুরি মোড়ানো হয়।।।
এক্ষেত্রে কস্টিং বেড়ে যায়।।

বাংলাদেশে কয়েক জায়গায় JICA এ অধীনে CFRP রেট্রোফিটিং এর কাজ হচ্ছে।

ইমার্জেন্সি এস্টিমেট



অনেক সময় হয়ত ইমার্জেন্সি তে এস্টিমেট করা লাগতে পারে, হয়ত সাইটে লেবার রা আপনার কাছে হুট করে জিগাস করল "স্যার আর কয় লোড মসলা বানাবো"।
এই অবস্থাতেই আপনাকে একটা গ্রহনযোগ্য হিসাব দিতে হবে ????
সেটার জন্যে আবার একদম খাতা কলম নিয়ে ঘন্টা ধরে হিসাব করতে গেলে সমস্যা ,দেখা যাবে আপনি হিসাব করতে করতে কাজ ই শেষ । তাই সল্প সময়ে ,শর্ট-কাটে ও নির্ভুল ভাবে হিসাব করতে হবে।

#যে জিনিস গুলো খেয়াল রাখতে হবে....

>কিসের ঢালাই হচ্ছে (ধরলাম স্ল্যাব)
> স্লাবটির পুরুত্ব কত ইঞ্চি।
> সিমেন্ট বালি ও খোয়ার অনুপাত কত ।
> পাথরের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে নাকি ইটের
>কতটুকু জায়গা ঢালাই এর বাকী আছে

#কিভাবে করবেন

#ডাটা

ধরলাম
> একটা ফ্লোর স্লাব ঢালাই হচ্ছে আপনার সাইটে।
>স্লাবটির পুরুত্ব ৮ ইঞ্চি।
>অনুপাত (১:২:৪)। পাথরের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে
> ১০০% সিলেট বালি
> সারাদিন যথারীতি ঢালাই চলছে। বিকাল বেলা
>স্লাবটিতে আর ১০ ফুট বাই ৬ ফুট জায়গা ঢালাই দেয়া বাকি আছে।
>তখন জানতে চাইলো স্যার আর কয় লোড মসলা বানাবো?

#সমাধান

অনুপাত 1:2:4 ।
তাই প্রতি ব্যাচ মিশ্রণে শুষ্ক মসলার আয়তন হবে
= (1+2+4)×1.25 = 8.75 Cft.
আর শুষ্ক মিশ্রণে পানি মিশালে তার আয়তন 1.5 গুণ কমে যাবে। সেটা তখন হবে ভেজা আয়তন = 8.75÷1.5 = 5.833 Cft.

মানে হলো যে, 1:2:4 অনুপাতে এক বস্তা সিমেন্টের সাথে বালি ও খোয়ার মিশ্রণে 5.833 Cft. কংক্রিট পাওয়া যায়।

এখন অবশিষ্ট ঢালাই দিতে হবে এরুপ স্লাবের আয়তন বাকি আছে
= 1×10'-0"×6'-0"×0'-8" = 40.20 Cft
= 40.00 Cft (প্রায়)।

তাহলে এখনো কংক্রিট মিক্সার করতে হবে
= 40.00÷5.833 = 6.85 ব্যাচ।
= 7.00 লোড বা ব্যাচ।

তবে স্লাবে যেহেতু রড কিছু আয়তন দখল করে নিয়েছে। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি 6.50 লোড কংক্রিট তৈরি করতে বলতে পারেন।

টাইলস এর সাইজ, প্রকারভেদ ও ব্রান্ডসমূহ, টাইলসের কার্য পদ্ধতি,পূর্ব ও পরবর্তী করণীয়সমূহ।




ফ্লোর ফিনিশিং হিসেবে টাইলস আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় 👌, টাইলস ছাড়াও অন্যান্য ফ্লোর ফিনিশিংগুলো হচ্ছে;
▪️Cement Sand Plaster Flooring [Neat Finishing], ▪️Mosic Flooring▪️Vinyl Flooring▪️Quartzite▪️Slate▪️Terrazzo▪️Sandstone/ Kotta Stone Flooring।
এ ছাড়া বর্তমানে Epoxy Paint Flooring এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে, বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে।

আর টাইলস হিসেবে সবার প্রথম পছন্দ Homogeneous/ Porcelain Tiles, তবে Marble কিংবা Granite ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা খুব ব্যয়বহুল। Ceramic Tiles সাধারনত ব্যবহৃত হয় Wall Tiles হিসেবে ব্যবহার হয়, এ ছাড়াও গ্রাউন্ড ফ্লোরে Parking Tiles ও রাস্তায় Paving Tiles ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

✅ Tiles size:-
বাজারে বিভিন্ন সাইজের টাইলস পাওয়া যায়, তন্মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সাইজগুলো হলো;
Floor Tiles: ১২"x১২", ১৬"x১৬", ২০"x২০", ২৪"x২৪", ৩২"x৩২", ২৪"x৪৮" ইত্যাদি।
Wall Tiles: ৮"x১২", ১০"x১৩", ১০"x১৬", ১২"x১৮", ১২"x২০", ১২"x২৪", ১২"x৪৮" ইত্যাদি।
তবে Marble/ Granite চাইলে আপনার পছন্দের মাপ অনুযায়ী নিতে পারবেন।

✅ Brand of Tiles:-
বাজারে চায়না, মালয়েশিয়া কিংবা স্পেনসহ বহু নামী দামী কোম্পানী ও ব্রান্ডের টাইলস পাওয়া যায়, তবে দেশী টাইলসের মধ্যে ▪️RAK ▪️DBL▪️AKIJ▪️MIR▪️Fu-Wang▪️China-Bangla (CBC)▪️Great Wall▪️Star Ceramic▪️Mirpur Ceramic▪️X Monica ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
-----------------------------------------------------------------------------
Tiles কাজের পূর্বে করনীয়:-
✅ Checking:-
প্রথমেই চেক করে নিতে হবে Sanitary, Electric, Gas line Wearing, TV/ Internet Line, Door Frame ইত্যাদির কাজ শেষ হয়েছে কিনা কিংবা কোন সমস্যা রয়েছে কিনা?

✅ Cleaning:-
এরপর বাসুলা ⛏ [Axe] দিয়ে #চিপিং করে ফ্লোর থেকে সকল আগলা/ লুজ ময়লা তুলে ফেলে Wire Brush ও ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বিশেষ করে স্কার্টিং/ ওয়াল টাইল লাগানোর পূর্বে দেওয়াল থেকে শ্যাওলা বা লুজ মর্টার ফেলে দিয়ে পানি সহকারে তারের ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

✅ Watering Spraying:-
টাইলের কাজ শুরুর একদিন পূর্বে ফ্লোর কিংবা ওয়ালকে পর্যাপ্ত #ভিজিয়ে নিতে হবে যেন তা মর্টারের পানিকে শুষে নিতে না পারে। তবে Wall কে হালকা কিছুটা শুষ্ক রাখতে হবে, না হলে লাগানোর সময় টাইলস ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
-----------------------------------------------------------------------------
কার্যপদ্ধতি:-
✅ Leveling:-
√ Stair/ Lift এর ফ্লোর থেকে লেভেল পাইপ/ লেভেল মেশিনের সাহায্যে Unit/ Flat এর রুমগুলোতে লেভেল মার্ক করে নিতে হবে, তারপর কোন রুমে কতটুকু মর্টার লাগবে তা চেক করে নিয়ে সব রুমের জন্য একটা টপ লেভেল ফিক্সড করে নিতে হবে যেন ঐ নির্দিষ্ট লেভেল থেকে সব জায়গাতে টাইলসের টপ পর্যন্ত একই #মাপ পাওয়া যায়।
√ Wall Tiles এর ক্ষেত্রে ওয়াল এর টপ থেকে মেপে নিয়ে লেভেলিং এবং উলম্ব শল করে নিচ থেকে কাজ শুরু করতে হবে, শর্টপিচ লাগলে তা নিচেই দিতে হবে।
√ Door Seal দিয়ে থাকলে Individual Flat wise লেভেল নিতে পারেন, তবে Toilet এর লেভেল রুম থেকে আলাদা হবে, দরজার পাল্লার নিচে যেন কমপক্ষে ১/২” ফাঁকা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

✅ Mortar:-
Tiles তিন ভাবে লাগানো যায়;
√ Tiles Adhesive: বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির রেডিমেইড এ্যাডহেসিভ পাওয়া যায়, বাহিরের কান্ট্রিগুলোতে সাধারনত এই এ্যাডহেসিভ দিয়েই টাইলস লাগানো হয়।
√ Cement Concrete: আমাদের দেশে সাধারনত এই পদ্ধতিতে টাইল লাগানো হয়না, এই পদ্ধতিতে বিদ্যমান ফ্লোরের উপর হালকা পূরুত্বের সিমেন্ট কংক্রিটের মসলার [ড্রাই টাইপের] উপর টাইলস বসানো হয়।
√ Cement Sand Mortar: যা আমরা সবচেয়ে বেশি করে থাকি, মসলা মূলত হওয়া দরকার প্লাস্টারের মত, তবে আমাদের দেশের মিস্ত্রিরা নরম মর্টার দিয় কাজ করতে অভ্যস্ত না বিধায় মসলাকে কিছুটা ড্রাই রাখে [#দোরসা টাইপ]। Wall Tiles এর জন্য অবশ্য মসলা পেষ্ট হওয়া বাধ্যতামূলক [প্লাস্টারের মত]।

✅ Mixing Ratio:-
√ Floor Tiles 1:4 থেকে 1:3
√ Wall Tiles 1:3/ থেকে 1:2

✅ Mortar Laying:-
√ মর্টার যেভাবেই বানানো হোকনা কেন, খেয়াল রাখতে হবে ড্রাই সিমেন্ট স্যান্ড মর্টারের সব জায়গাতে যেন #পানি পৌঁছাতে পারে। মসলা লেইং এর পূ্র্বে ফ্লোরের উপর এবং লেভেল অনুযায়ী মসলা ড্রেসিং এর পর মসলার উপর সিমেন্টের তরল গ্রাউটিং ঢেলে দিতে হবে [যতটুকু এরিয়াতে মর্টার ফেলা হবে], তার উপর টাইলস বসাতে হবে।

√ ওয়াল টাইলসের জন্য মসলাকে প্লাস্টারের প্রস্তুত করে টাইলসের পিছনে লেপে দিয়ে ওয়ালের সাথে আটকাতে হবে, বিশেষ বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে টাইলসের পিছনে যেন ফাঁকা না থাকে। ফাঁকা আছে কিনা বুঝার জন্য টাইলসের উপর হালকা #আঘাত করুন, ভয়েড থাকলে বুঝতে পারবেন।

√ মর্টারের থিকনেস সাধারণত ৩/৪” থেকে ১” হয়ে থাকে, তবে লেভেল/স্লোপ কিংবা বড় আকারের টাইলসের জন্য সেটা ১.৫” ও হতে পারে, তবে ফ্লোরে বেশি পুরুত্বের ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট স্টোন কাস্টিং করে নেওয়াই উত্তম।

✅ Tiles Laying:-
√ প্রথমে রুমের চার কর্নারে চারটি পায়া [Temporary Pier] করে নিতে হবে, এবার পায়াগুলোর লেভেলের সাথে মিল রেখে যে কোন এক সাইড থেকে টাইস লাগিয়ে আসতে হবে, শর্টপিচ লাগলে সেটা প্রান্তের দিকে লাগাতে হবে। সবচেয়ে ভাল হবে যদি রুমের তিনদিকেই এক সারি টাইল বসিয়ে সে অনুযায়ী মাঝের টাইলগুলো বসানো যায়। খেয়াল রাখতে হবে প্রতি টাইলসের মাঝে যেন ২/৩ মিলির বেশি #গ্যাপ না থাকে এবং টাইলের কর্নারগুলো একই লেভেলে থাকে।

√ Wall Tiles এর বেলায় প্রথমে উলম্বভাবে শল ও লেভেলিং করে নিচে এক লাইন টাইলস বসিয়ে নিতে হবে, এবার পায়ার সাথে মিল রেখে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টাইসগুলো যেন Horizontal ভাবে লেভেলে থাকে, কর্নারের টাইলকে ভি-কাটিং [#চোস] করে লাগাতে হবে। কাজ শেষে টাইলসগুলোকে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে।

√ সিরামিক টাইলসকে অবশ্যই কাজের পূর্বে পর্যাপ্ত ভিজিয়ে নিতে হবে।

✅ Curing:-
কিউরিং এর ক্ষেত্রে ভাল হবে যদি ফ্লোরকে পানিতে ডুবিয়ে কিউরিং করা যায়, কারণ টাইলস পানি অপ্রবেশ্য বিধায় সহজে শোষন করে না, সে ক্ষেত্রে জয়েন্টগুলোতে এমনভাবে পানি মারতে হবে যেন তা ভিতরে পৌঁছে।

✅ Pudding:-
কিউরিং পিরিয়ড শেষ হলে তা শুকানোর পর জয়েন্টগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে টাইলসের কালারের সাথে মিল রেখে পুডিং করে দিতে হবে এবং পুডিং করার পর তাও #কিউরিং করতে হবে। পুডিং কে ভালভাবে চেপে লাগাতে হবে যেন ভিতরে ঢুকতে পারে।

✅ Cleaning:-
সব শেষে রুমের রং এর কাজ শেষ হলে Flat এ উঠার দুই এক দিন পুর্বে Hessian Cloth, Vixol দিয়ে ফ্লোরকে ধুয়ে পরিষ্কার করে তালা মেরে দিতে হবে, এবার আপনার কাজ শেষ।
................................................................................................
কিছু সতর্কতা:-
✅ গ্রাউটিং:-
যদি আপনি ড্রাই মর্টার ব্যবহার করেন তবে খেয়াল রাখবেন মসলাকে ড্রেসিং করার পর এর উপর যে তরল #গ্রাউটিং দেওয়া হয় তা যেন মর্টারের সর্বত্র প্রবেশ করতে পারে। মসলার উপরের গ্রাউটিং নিচে পৌঁছানোর জন্য ড্রাই মর্টারগুলোকে কিছুটা গর্ত/ কেটে দিন, তবে লক্ষ্য রাখবেন ভিতরে যেন #ভয়েড না থাকে।

✅ টাইলস সারফেস লেভেলিং:-
√ টাইলের উচুনিচু চেক করার জন্য চার টাইলসের জয়েন্টে হাত দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন কোন টাইলস উচু কিংবা নিচু রয়েছে কিনা?

√ জয়েন্টে Up/Down বুঝার জন্য একটি টাইলসকে যে কোন জয়েন্টে খাড়াভাবে ধরুন, দেখুন তা দুই পাশ্বের দুটো টাইলের সাথে মিলে যাচ্ছে কিনা, কিংবা একটির সাথে মিললে অন্যটি থেকে ফাঁকা থাকে কিনা?

√ টাইলেস লেভেল আপনি স্প্রিরিট লেভেল দিয়েও চেক করতে পারেন, বড় স্পিরিট লেভেল হলে একাধিক টাইলের লেভেল এক সাথে চেক করতে পারেন।

√ যদি আপনি বৃহৎ এরিয়ার লেভেল চেক করতে চান তবে #গজ [থাই এ্যালুমিনিয়াম সেকশন] বা সূতা দিয়ে চেক করতে পারেন। ৭ ফিটের একটি স্ট্রেট গজ নিন, তাকে ফ্লোরের সাথে চেপে ধরুন, ফ্লোর যদি লেভেলে থাকে তবে গজের নিচে কোথাও ফাঁকা থাকবেনা, যদি ফাঁকা থাকে তবে বুঝবেন টাইল ঠিকভাবে বসানো হয় নি।

√ সূতা দিয়ে চেক করতে চাইলে ১০ ফুট দূরুত্বের দুটো টাইলস নির্ধারন করুন, এবার সেই দুই টাইলস থেকে সূতাটিকে ৫ মিলি উপরে তুলে টেনে ধরে রাখুন, নিজেই দেখতে পাবেন কোনটা উচু আর কোনটা উচু।

✅ স্লোপ:-
রুমের ভিতরে স্লোপের প্রয়োজন নেই, তবে বারান্দা এবং টয়লেটে কমপক্ষে ১/২” স্লোপ রাখুন যাতে খুব সহজেই পানি চলে যেতে পারে, সর্বপরি এগুলো যেন সবসময় #শুষ্ক থাকে।

✅ অপচয়:- টাইলের কাজে ওয়েস্টেজ একটু বেশিই হয়, তবে সেটাকে ৮% এর মধ্যে রাখতে চেষ্টা করবেন।

✅ কাজ চলাকালীন সময়ে টাইলসের উপর দিয়ে হাটা যাবে না, টাইলসকে #রাবারের হ্যামার ছাড়া আঘাত করতে দিবেন না। ওয়াল টাইসের ক্ষেত্রে লেভেল চেক করুন যেন, চারদিকের টাইলস একই লেভেলে থাকে, সর্বপরি টপে ১/২” বেশি গ্যাপ এভয়েড করুন।

✅ কালারে ভিন্নতা থাকলে তা আলাদা করুন, কাটিং এর জন্য Tiles Cutter মেশিন ব্যবহার করুন।
!-- G&R_320x50 -->

Popular Posts