সার্ভেয়িং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সার্ভেয়িং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কি কি বিষয় নীয়ে কাজ করে ?

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কি কি বিষয় নীয়ে কাজ করে ?
সংজ্ঞা:
ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন এবং রক্ষণাবেক্ষন এর প্রকৌশলী বিজ্ঞান।
প্রকৌশল জ্ঞান এর মা বলা হয়। সবচেয়ে পুরান, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয়।
এর ভাগগুলি নিচে দেয়া হলো:
1. মৃত্তিকা প্রকৌশল
2. স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল
3. পরিবহন প্রকৌশল
4. পানি সম্পদ প্রকৌশল
5. পরিবেশ প্রকৌশল
6. ভুমিকম্প প্রকৌশল
7. নগর উন্নয়ন বা নকশা

সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা পুরকৌশলী কি করে থাকে?
পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর
যেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের উল্লেখযোগ্য হলক স্ট্রাকচারাল, জিওটেক , ট্রান্সপোর্টসন, হাইড্রলিক,এনভায়রনমেনটাল , ইত্যাদি ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব এবং প্রয়োগ
সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। প্রকৌশল বিজ্ঞান এর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। পানি,বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্ন উপায় নিয়েও সজাগ।
***সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখাগুলি***
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধাণ ৭ টি শাখা আছে নিচে এগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল
****স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং****
বাড়ি,হোটেল, পার্ক, ব্রীজ, বিল্ডিং ইত্যাদির উপরে নিজস্ব ভার বা বাইরের ভার প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বাতাস,পানি,ভুমিকম্প,তাপমাত্রা ইত্যাদির প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য সিমেন্ট,বালি,রি-ইনফোর্সমেন্ট,কাঠ, অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে সঠিক ডিজাইন করা হলো এই শাখার কাজ।
এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং****
পরিবেশ তথা বাতাস এবং পানির দুষণ রোধ, বিশুদ্ধকরণ ইত্যাদি করা এই শাখার কাজ। বর্তমানে এটি একটি গুরুত্বপুর্ন শাখা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য, মল ইত্যাদি অপসারণ এবং বিশুদ্ধকরণ করা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই শাখাতে।
****জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং****
প্রায় সকল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাতেই এটি কাজে লাগে। কারণ বেশির ভাগ স্ট্রাকচার ভুমির উপর অবস্থিত। মাটি বা পাথরের এর উপর স্ট্রাকচার এর প্রভাব এবং এদের বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি। ভুগর্ভের সিপেজ,ভুমিকম্পের প্রভাব, স্থিতিশিলতা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাটি। বাধ, রিটেইনিং ওয়াল, ফাউন্ডেশন ইত্যাদির আংশিক ডিজাইন করা হয় এই শাখার মাধ্যমে।
****ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং****
পানি আমাদের জিবনে অনেক গুরুত্বপুর্ন এটা আমরা সবাই যেমন জানি, তেমনি এটাও ঠিক যে এটি অত্যান্ত্য সাধারণ একটি কথা। আবার এই পানি আমাদের মরণও ডেকে নিয়ে আসে। তাও আমরা জানি। পানি সম্পদ প্রকৌশল পানির ভৌত অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। বন্যা, শহরের-কারখানা-সেচ এর পানি সরবরাহ, নদি ভাঙ্গন রোধ, নদির শাষন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা এবং ডিজাইন করে থাকে। হাইড্রলিক পাওয়ার, বাধ, খাল, পানিধস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি।
****ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং****
কোন সমাজের বৈশিষ্ঠ্য বা গুন এর যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। কোন সমাজের উন্নয়ন অনেকটা প্রভাবিত হয় এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। মানুষ, মালামাল ইত্যাদি পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে গবেষনা, ডিজাইন, সমস্যা, সমাধান নিয়ে কাজ করে ট্র্যান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। অল্প রাস্তায় অধিক পরিবহন সুবিধা, দুর্ঘটনা কমানো, খরচ কমানো ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এই শাখাটি।
****কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং****
এই শাখাতে আলোচনা করা হয় যে কি ভাবে একটি কাঠামো গঠন করতে হবে। অর্থের ব্যবহার, সময়ের সংক্ষেপন, প্রয়োজনীয় মালামাল-যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যোগান, কাঠামো গঠনের পদ্ধতি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয় শাখাতে।
****আরবান এবং কম্যিনিটা প্লানিং****
নগরায়ণ এবং শহর পরিকল্পনা করা হয় মুলত একটি গোষ্ঠি নিয়ে কাজ করা। একটি গোষ্ঠি বা জোট এ কি কি লাগতে পারে এবং কিভাবে লাগাতে হবে তা নিয়ে গবেষণা করা হয় এই শাখাতে

ভিত্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য

ভিত্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য
কাজের ভিন্নতার উপর নির্ভর করে এই ভিত্তির কিছু প্রকারভেদ রয়েছে । যার সংগাসহ এখানে দেয়া হলো

প্রথমেই চারটি অগভীর ভিত্তিঃ

১। স্প্রেড ফুটিং ঃ কাঠামোর বেইজকে ধাপে ধাপে চওড়া করে
কাঠামোর লোডকে অনেকখানি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে দেবার জন্য
যে ভিত্তি ব্যবহার করা হয়, তাই স্প্রেড ফুটিং ।





২। কম্বাইন্ড ফুটিং ঃ যখন দুই বা ততোধিক কলাম দ্বারা
একটি স্প্রেড ফুটিংকে সাপোর্ট দেয়া হয়, তখন তাকে কম্বাইন্ড ফুটিং বলে ।
মনে রাখার জন্য এভাবেও বলা যেতে পারে যে,
যখন দুই বা ততোধিক কলামের ফুটিং খুব কাছাকাছি হয়ে যাওয়ার ফলে
আলাদা আলাদা মাটি কাটা সম্ভব হয়না, তখনও কম্বাইন্ড ফুটিং ব্যবহার করা হয় ।

৩। স্ট্রাপ ফুটিং বা ক্যান্টিলিভার ফুটিং ঃ দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র কলামের ফুটিংগুলোকে যখন বীম দ্বারা সংযোগ করে একটি ফুটিং এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়
তখন তাকে স্ট্রাপ বা ক্যান্টিলিভার ফুটিং বলে ।

৪। ম্যাট বা র্যা ফট ভিত্তি ঃ যখন একটি কম্বাইন্ড ফুটিং কাঠামোর নিম্নস্থ সকল ক্ষেত্রগুলোকে আবৃত করে কাঠামোর মূল দেয়াল বা কলামকে
একত্রে সাপোর্ট প্রদান করে, তখনকার নির্মিত ভিত্তিকে ম্যাট বা র্যা ফট ভিত্তি বলে ।

কাঠা, বিঘা ও একরের মাপ

কাঠা, বিঘা ও একরের মাপ
দূরত্বের এককঃ-
১ ইঞ্চ = ২.৫৪ সেন্টিমিটার
১ ফুট = ০.৩০৫ মিটার
১গজ = ০.৯১৪ মিটার
১ মাইল = ১.৬০৯ কিলোমিটার
১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিলোমিটার

১ সেন্টিমিটার = ০.৩৯ ইঞ্চ
১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চ = ৩.২৮ ফুট = ১.০৯৪ গজ
১ কিলোমিটার = ০.৬২ মাইল
১ ইঞ্চ (ইঞ্চ) = ১/৩৬ গজ = ১/১২ ফুট
 



১ ফুট (ফুট) = ১/৩ গজ
১ রড (রড) = ৫ ১/২ গজ
১ ফারলং (ফার) = ২২০ গজ = ১/৮ মাইল
১ মাইল (মাইল) = ১,৭৬০ গজ = ৫,২৮০ ফুট
১ নটিক্যাল মাইল = ৬,০৭৬.১ ফুট
১ মিলিমিটার (মিমি) = ১/১,০০০ মিটার
১ সেন্টিমিটার (সেমি) = ১/১০০ মিটার
১ ডেসিমিটার (ডেসি) = ১/১০ মিটার
১ ডেকামিটার (ডেকা) = ১০ মিটার
১ কিলোমিটার (কিমি) = ১০০০ মিটার