কনস্ট্রাকশন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কনস্ট্রাকশন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:

নতুন বিল্ডিং  নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:

নতুন বিল্ডিং  নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়:
....................................................................................
১। যে কোন বিল্ডিং-এর নকশা তৈরি করার পূর্বেই স্ট্রাকচারাল নকশার বিধিগুলোর অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক স্ট্রাকচারাল নকশা না হলে ভূমিকম্পরোধক বিল্ডিং হবে না।
.
২। বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণক্ষমতা নির্ভুলভাবে নির্ণয়পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
.
৩। বিল্ডিং নির্মাণের সময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) তদারকি রাখতে হবে যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে।
.
৪। সঠিক অনুপাতে গুনগতমানের সিমেন্ট, রড, বালির ব্যবহার হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। কংক্রিটের চাপ বহন ক্ষমতা কোনো অবস্থাতেই ৩০০০ পিএসআই-এর নিচে নামানো যাবেনা । তার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে নির্মানাধীন সাইটে দায়িত্বে নিয়োজিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কিউব অথবা সিলিন্ডার টেস্ট করতে হবে। কংক্রিটের মিক্সাচারে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ঢালাইর পরে পানির ব্যবহার করে কংক্রিটের কিউরিং করতে হবে।
.
৫। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রড পরীক্ষাপুর্বক ব্যবহার করতে হবে। রডের বহন ক্ষমতা ৬০ হাজার পিএসআই-এর কাছাকাছি থাকতে হবে। স্ক্র্যাপ বা গার্বেজ থেকে প্রস্তুতকৃত রড ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে ।
.
৬। বিল্ডিং-এর প্ল্যান ও এলিভেশান দুই দিকই সামাঞ্জ্য থাকতে হবে।
.
৭। নির্ধারিত ডিজাইনের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ করবেন না। বিল্ডিং কোড অনুসারে এক্সপানশান ফাঁক রাখতে হবে।
.
৮। বেশি পরিমান সরু ও উঁচু বিল্ডিং-এর পাশ হঠাৎ করে কমাবেন না। যদি কমাতে হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইনামিক বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
৯। বিল্ডিং-এর উচ্চতা যদি ভবনের প্রস্থের ৪ (চার) গুণের অধিক হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইমানশন বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১০। সেটব্যাক বা হঠাৎ করে বিল্ডিং-এর পাশের মাপঝোপ কমানো যাবেনা। যদি কমাতেই হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক বিশ্লেষণ করে সাইট অ্যাফেক্ট জেনে ডিজাইন করতে হবে।
.
১১। জটিল কাঠামোগত প্লানের জন্য অবশ্যই ত্রিমাত্রিক ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১২। শেয়ার ওয়াল বা কংক্রিটের দেয়াল সঠিক স্থানে বসিয়ে ভূমিকম্পরোধ শক্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

১৩। সাপ্রতিক সময়ে যে হারে বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে, তা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হলেই ধ্বসে যাবে। সুতরাং বিম, কলাম ও স্ল্যাব বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরি করতে হবে।
.
১৪। দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারকে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে বিল্ডিং-এর প্ল্যান/ ডিজাইন করে ভূমিকম্প রোধক বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে।
.
১৫। নিচের তলা পার্কিং-এর জন্য খালি রাখতে হলে, ঐ তলার পিলারগুলো বিশেষভাবে ডিজাইন করতে হবে। প্রয়োজনমতো কংক্রিটের দেওয়াল দিয়ে পিলারগুলোতে বেষ্টনীবদ্ধ করতে হবে।
.
১৬। বিল্ডিং-এর বিমের থেকে পিলারের শক্তি বেশি করে ডিজাইন করতে হবে। কমপক্ষে ২০% বেশি করতে হবে।
.
১৭। মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ফাউন্ডেশন প্রকৌশলগতভাবে যাচাই বাছাই করে ডিজাইন করতে হবে।
.
১৮। ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়ালগুলো ভূমিকম্পের জন্য আদৌ নিরাপদ নয়। তাই এই দেয়ালগুলো ছিদ্রযুক্ত ইটের ভিতরে চিকন রড দিয়ে আড়াআড়ি ও লম্বালম্বিভাবে তৈরি করে লিন্টেলের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে। সবদিকে লিন্টেল দিতে হবে। বিশেষ করে দরজা বা জানালার খোলা জায়গায় চিকন রড দিয়ে ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়াল যুক্ত করতে হবে।
.
১৯। মনে রাখতে হবে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণে ভূমিকম্প-প্রতিরোধক নিয়মাবলি প্রয়োগ করলে, শুধুমাত্র ২-৩% নির্মাণ খরচ বৃদ্ধি পায়।

সাইট ইঞ্জিনিয়ার দের প্রয়োজনীয় কিছু স্ট্রাকচারাল ধারনা

সাইট ইঞ্জিনিয়ার দের প্রয়োজনীয়  কিছু স্ট্রাকচারাল ধারনা


একজন Site ইঞ্জিনিয়ারকে অনেক স্ট্রাকচারাল বিষয়ে ধারনা রাখতে হয়।  তেমনই  স্ট্রাকচারাল কিছু বিষয় শেয়ার করা হলো। কোন ইনফরমেশন
সম্পর্কে মতামত থাকলে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।

▶️ Shear Key in Column:
=======================
ডিজাইনে মূলত দুটো কারণে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট এ (বিশেষ করে কলামে) Shear Key রাখা হয়
☑ কলামের Shear Resistance Capacity বৃদ্ধির জন্য।
☑ কলামের Adjacent Segment এর মধ্যে Displacement ঝুকি কমানোর জন্য।

✅Shear Key সচরাচর 2” থেকে 4” গভীরতার রাখা হয়, এটা রাখলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পরবর্তী ঢালাই এর পূর্বে গর্তটি যেন ভালভাবে #পরিষ্কার করা হয়।

✅ সবচেয়ে ভাল হবে ঢালাইয়ের পরের দিন যদি গর্তটি পলিথিন দিয়ে ডেকে দেওয়া যায়, যাতে তা সহজেই তুলে ফেলা যায়।

▶️ Column Casting Height:
=========================
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কন্ট্রাক্টরগন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য Full Height Column কাস্টিং করে ফেলেন, যা মোটেও উচিত নয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দুই বা ততোধিক লিফটে কলাম কাস্টিং করতে হবে, তা না করলে যা হতে পারে
✅ সেগ্রিগেশন, লেইটেন্স কিংবা ব্লিডিং এর ফলে সৃষ্ট ভয়েড বা হানিকম্ব কলামকে ভঙ্গুর ও দুর্বল করে ফেলতে পারে।
✅ Vertical ডিসপ্লেসমেন্ট (শল আউট) কিংবা Shutter ফেল করার সম্ভাবনা থাকে।
✅ ক্লিয়ার কভারের তারতম্যের কারণে Crack সহ নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

✅ একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আপনি কখনোই ভার্টিকাল ১.৫ মিটার বা ৫ ফুটের অধিক Column বা Wall Casting Allow করবেন না।

▶️ Lapping & Spacer:
====================
 Lapping এর ক্ষেত্রে যা লক্ষ্য রাখতে হবে

✅ Generally কম্পেশন জোনে Lapping 24D থেকে 44D এবং টেনশনে 30D থেকে 50D হয়ে থাকে।
বি.দ্র: এখানে হুক ছাড়া এবং হুক সহ মাপের কথা বলা হয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন কনসালটেন্টগন ল্যাপের ক্ষেত্রে বিভিন Code ফলো করেন, তবে ইন্ডিয়ান কনসালটেন্টদের মতে উভয় জোনের জন্য 50D দেওয়া যেতে পারে।

✅ খেয়াল রাখতে হবে কলাম কিংবা বিমের এক জায়গায় যেন 50% এর বেশি রডে ল্যাপ না পড়ে।

✅ কলামের ল্যাপিং জোন: L/2 বা Middle Portion এর মধ্যে ল্যাপ দিতে হবে, L/4 এর ভিতরে সর্বাধিক Stress উৎপন্ন হয় বলে এই Zone পরিহার করা উচিত।

✅ বিমের টপ বারের ল্যাপিং: Middle Third Span বা মধ্য তৃতীয়াংশে এর মধ্যে থাকবে, কারণ এই Zone এ Negative Moment থাকেনা।

✅ বিমের বটম বারের ল্যাপিং: One Third Span বা এক তৃতীয়াংশে বা L/3 এর মধ্যে থাকতে হবে, কারণ এই Zone Positive Moment থাকেনা।

✅ Spacer Bar এর ডায়া হবে 25mm [For Beam], 12mm [For Slab] এবং Spacing হবে সর্বাধিক 30” c/c। বিমের ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে Main Bar এবং Extra Bar এর মধ্যে গ্যাপ যেন ১” এর বেশি না হয়।

▶️ Beam Column Joint:
====================
প্রায় সব কনসালটেন্ট suggest করেন বিমের রডকে কলামের Vertical রডের ভিতর দিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রকৃতপক্ষে বিম ও কলামের Clear cover একই থাকে বলে তা মানা সম্ভব হয়না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিমের এক পার্শ্বের রডকে কলামের বাহিরে এবং অন্যপাশ ভিতরে দিয়ে নেওয়া হয়।

✅ বিম কলাম জয়েন্টে অবশ্যই যা করনীয়
☑ জয়েন্টের এই অংশটুকুতে কলামে কমপক্ষে দুটি Stirrup দিতে হবে।
☑ বিমের প্রথম স্টিরাপ কলাম ফেস থেকে অর্ধেক Spacing দূরুত্ব বা ২” পর থেকে শুরু করতে হবে।
☑ এই অংশের Casting অবশ্যই কলামের কংক্রিটের ডিজাইন স্ট্রেন্থ অনুযায়ী করতে হবে, কলামের কাস্টিং যে গ্রেডের তা মেইনটেন্ট করতে হবে এবং অন্যান্য অংশে ছাদের কংক্রিটের গ্রেড অনুযায়ী হবে, না হলে এই অংশ দুর্বল হবে।

বি.দ্র: যদিও অনেকে বিমের রডকে কলামের ভিতর দিয়ে নেওয়ার জন্য কলাম স্ট্রিপের কাছাকাছির স্টিরাপগুলো কিছুটা সরু রেখে মাঝের অংশে প্রশস্ত করে বিমের রড বাধার কথা বলেন যা প্রকৃতপক্ষে ডিজাইন সম্মত নয়, কারণ লোড ট্রান্সফারের জন্য বিম/কলাম/ছাদের রড straight হওয়া বাঞ্ছনীয় ।

▶️ Construction Joint:
====================
 বিভিন্ন কারণে আমাদেরকে ছাদ কিংবা বিমে কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট রাখতে হয়, দেখা যায় অনেক সময়ই আমরা বিমের Edge  বরাবর ছাদের কাস্টিং শেষ করে দেই কিংবা কলামের Face বা গা ঘেষে বিমের casting শেষ করে রড রেখে দেই যা মোটেও উচিত নয়।

✅ কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট রাখার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
☑ ইহা অবশ্যই 2L/3 বা Middle third of span বা মধ্য তৃতীয়াংশ স্প্যান দুরুত্বের মধ্যে রাখতে হবে কারণ এই জোনে Shear Stress কম থাকে, কখনোই L/3 দুরুত্বের মধ্যে রাখা উচিত নয়।
☑ বিম বা ছাদের Construction জয়েন্ট Slope এ না রেখে Straight বা খাড়া রাখা বাঞ্ছনীয়, তবে Shear Key এর জন্য Grove রাখা উত্তম।
☑ অবশ্যই রডের ক্লিয়ার কভার এবং ল্যাপিং দৈর্ঘ্য নিশ্চিত করতে হবে।
☑ এই অংশে পানি লিকেজের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে বলে Vibrating & Water Proofing Admixture ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

▶️ Hooks & Stirrup:
====================
 ভূমিকম্প বান্ধব ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে হুকের বিকল্প নেই, স্টিরাপ বা Tie Ring তৈরির বেলায় এবং বিমের রডের L Bend বা মাটামের ক্ষেত্রে Development Length নিশ্চিত করতে হবে।

✅ লক্ষ্য রাখতে হবে

☑ বিম বা কলামের স্টিরাপে অবশ্যই 135 degree এ্যাংগেলে হুক দিতে হবে, হুকের দৈর্ঘ্য হবে 3D-6D [D means dia of Rebar], তবে ২" কম হতে পারবে না।
☑ বিমের রডের 90 Degree মাটাম বা L Bend এর দৈর্ঘ্য হবে 12D [where D means Dia of bar].

▶️ Groove Cutting in Column:
===========================
অনেক জায়গায় দেখা যায় Door Frame ফিটিংস এর জন্য কলামের এক পার্শ্ব কিংবা উভয় পার্শ্বেই গ্রুফ কেটে চৌকাঠ লাগানো হয় যা কম্প্রেশন মেম্বার কলামের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
✅ পরামর্শ এ ক্ষেত্রে আপনি দুইভাবে ফ্রেম লাগাতে পারেন;
☑ কলামের সাথে একটি পূর্ণ ইটের গাঁথুনি (কোবলা) দিয়ে লাগাতে পারেন।
☑ ফ্রেমকে কলামের সাথে ক্লাম্পের সাহায্যে ড্রিল করে আটকাতে পারেন। তবে আপনাকে প্রথমটাই সাজেস্ট করবো কারণ পরবর্তীতে ফ্রেমের টানে প্লাস্টার ফেটে ক্লাম্প বের হয়ে আসতে পারে।

কলাম কিকার কি ?

কলাম কিকার কি ?
Column kicker

কলাম কিকার কি   ?
---------------------------------------------

#কিকারঃ ফুটিং,স্ল্যাব ও বিমের উপর একটি কলাম রেডি করার পূর্বে তার নিচে স্বল্প উচ্চতার যে কলামটি ঢালাই করা হয়,তাকে কিকার বলে।

>> মূলত কলাম এর পজিশন,এলাইনমেন্ট,ফর্মওয়ার্ক ঠিক রাখার জন্য কিকার তৈরি করা হয়।
>> কাঠ/স্টিলের সাটারের সাথে ফর্মওয়ার্ক তৈরী করা হয়।

>> কিকারের উচ্চতা 3"-4" হয়।তবে স্টিল সাটার ব্যবহার করলে 6"-9" পর্যন্ত উচ্চতার কিকার তৈরী করা যায়।

>> সাটার লাগানের পূর্বে কলামের মূল রড,টাই ও ভিতরের সকল ময়লা স্টিল ব্রাস ও ফোর্স ওয়াটার দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

>> কিকার তৈরীর স্থানে কোন অবস্থাতেই পানি থাকবে না।

>> কলামের পজিসন ও এলাইনমেন্ট ঠিক রাখার জন্য পূর্ববর্তি ছাদ/বিমের কাষ্টিং এর পূর্বেই যদি কলামের মূল রডগুলোকে ভার্টিক্যাল রেখে পর্যাপ্ত পরিমানে টাই পরিয়ে নেয়া যায়,তবে clear cover সঠিক রাখতে সুবিধা হবে।

>> সাটার পরিস্কার করে সাটারটি 2:1 Ratio ফলো করে ডিজেল:লুব্রিক্যান্ট অয়েল মিশ্রণ দিয়ে মুছে নিতে হবে।এই প্রলেপটি যেনো পুরু না হয়।কারন,তাতে কংক্রিটের গুণগত মাণ নষ্ট হতে পারে।

>> সাটারের সাইটগুলোকে লিকপ্রূফ করতে জুট টেপ ও ফোম ব্যবহার করা হয়।এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন, এর Axis ঘুরে না যায়।

>> সাটার স্থাপন হয়ে গেলে Project/Site Engineer দ্বারা অবশ্যই অবশ্যই চেক করতে হবে যেঃ সাটারটি সুদৃঢ় ও ক্লিয়ার কভার ঠিক আছে কি না।

>> সাটার ঠিক রাখার জন্য GI তার & CC Block ব্যবহার করা হয়।

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?

কংক্রিটের স্লাম্প টেস্ট কি?
==============================

কংক্রিট এর মধ্য ধারাবাহিকতা বা সমসত্ত্বতা যাচাই এর জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় যে, কংক্রিট এর কার্যউপযোগীতা কতটুকু। স্ল্যাম্প এর পরিমান অবশ্যই নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকবে।

স্ল্যাম্প পরীক্ষায় ব্যবহুত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
স্ল্যাম্প কৌণ (উপরের ব্যাস ১০০ মি:মি: x নিচের ব্যাস ২০০ মি:মি: x উচ্চতা ৩০০ মি:মি: )

ছোট কুর্ণী
গুলি-মুখ রড ( ৬০০ মি:মি: লম্বা x ১৬ মি:মি: সাইজ)

স্কেল
স্ল্যাম্প প্লেট (৫০০ মি:মি: x ৫০০মি:মি:)

স্ল্যাম্প পরীক্ষার ধাপগুলি:
১. কৌণটি পরিস্কার করতে হবে। পানি দিয়ে ভালভাবে মুছে স্ল্যাম্প প্লেট এর উপর রাখতে হবে। স্ল্যাম্প প্লেট অবশ্যই পরিস্কার, শক্ত , সমতল এবং অ-শোষণীয় হতে হবে।

২. পরীক্ষার জন্য প্রয়োনীয় পরিমান কংক্রিট নিতে হবে (যেই কংক্রিট পরীক্ষা করতে হবে তা থেকে)

৩. পাদানির উপর শক্তভাবে দাড়াতে হবে এবং তিন ভাগের একভাগ কংক্রিট দিয়ে ভরাট করতে হবে। ২৫ বার রড দিয়ে ভালভাবে গুতা দিতে হবে। গুতা সবসময় একই ভাবে দিতে হবে এবং তা হতে হবে বাইরের দিক থেকে মাঝার দিকে।

৪. আবার দ্বিতীয় ভাগ ভরাট করতে হবে এবং ৩ নং ধাপের মত করে রড দিয়ে গুতা দিতে হবে। বে খেয়ার রাখতে হবে যে এবার রড প্রথম ভাগের উপর পর্যন্ত যাবে, এর নিচে না।

৫. এবার বাকি অংশ ভরাট করতে হবে উবু-উবু করে এবং আগের মত রড দিয়ে গুতা দিতে হবে। তবে খেয়ার রাখতে হবে যে এবার রড দ্বিতীয় ভাগের উপর পর্যন্ত যাবে, এর নিচে না। উবু অংশ ফেলে দিয়ে মাথা কৌণ এর সমান করে দিতে হবে।

৬. গড়ানো পদ্ধতিতে রড দিয়ে উপরিতল সমান করতে হবে। স্ল্যাম্প প্লেট এর উপর কোন ময়লা থাকলে তা পরিস্কার করতে হবে। হাতল চাপদিয়ে ধরে পাদানি থেকে নেমে পড়তে হবে।

৭. সাবধানে কৌণটি সোজা উপরে ওঠাতে হবে যাতে করে এর ভেতরের কংক্রিট নড়ে না যায়।

৮. কৌণটি উল্টে ফেলে কংক্রিট এর পাথে রাখতে হবে। রডটি কৌণ এর উপ কংক্রিট এর দিকে মুখ করে বসাতে হবে।

৯. কংক্রিটটির সর্বোচ্চ তলা থেকে রড এর তলা পর্যন্ত মাপ নিতে হবে। কয়েকটি মাপের গড় নিতে হবে। এই গড় মাপটিই স্ল্যাম্প

সাইটে অপচয় রোধে করণীয়

সাইটে অপচয় রোধে করণীয়

সাইটে অপচয় রোধে করণীয়

*সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের জন্যে খুবই ইম্পরট্যান্ট >>
-------------------------------------------------------------------------------

1.সাইটে ড্রয়িং ও ডিজাইনের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।

2.সঠিক ভাবে মালামাল রিসিভ ও issue করতে হবে।

3.কাজের শেষে মালামাল গুলি সঠিক স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে।

4.স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

5.ব্রিক ওয়াল ও প্লাস্টারের স্থান অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।

6.আর,সি,সি সারফেস সমতল থাকতে হবে।

7.ব্রিক সারফেস সমতল থাকতে হবে।

8.কাটপিছ রড স্টোরে রাখতে হবে।

9.খালি সিমেন্ট ব্যাগ, খালি রং এর পট, পিভিসি পাইপ এর কাটপিছ ইত্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।

10.লাইট ও ফ্যান ইত্যাদি বিনা কারণে চালু রাখা যাবে না।

11.মিটার রিডিং এর জন্য ডেইলি রেজিস্টারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

12.অতিরিক্ত মালামাল মেঝের যেখানে সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। যেমন: ইট, বালি, সিমেন্ট ব্যাগ ইত্যাদি।

13.শেষ বেলার দিকে মর্টার বা কংক্রিট হিসেব করে বানাতে হবে যাতে অতিরিক্ত না হয়।

14.বার সিডিউল করে রড হিসাব করে কাটতে হবে।

15.মর্টার তৈরির সময় সামনে থাকতে হবে।

16.প্রতিদিনের ম্যাটেরিয়ালস এর হিসাব প্রতিদিন করতে হবে।

17গোডাউনের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকতে হবে।

18.দক্ষ লোকবল দিয়ে কাজ করতে হবে।

অতত্রব অপচয় রোধে উপরোক্ত পয়েন্ট গুলো একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার কে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মেনে না চললে নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যা কোনভাবেই কাম্য না


কনক্রিট সিলিন্ডার প্রস্তুতি ও বুয়েটে টেস্ট

কনক্রিট সিলিন্ডার প্রস্তুতি ও বুয়েটে টেস্ট


কনক্রিট সিলিন্ডার প্রস্তুতি ও বুয়েটে টেস্ট 

১. সিলিন্ডার সাইজঃ
---------------------------------
সাধারণত কনক্রীটের কমপ্রেসিভ স্ট্রেংথ পরীক্ষণের জন্য আমরা ৬” X ১২”সিলিন্ডার স্যাম্পল তৈরি করে থাকি।
তবে ৪”  X ৮”সিলিন্ডার স্যাম্পলও তৈরি করা যায়, যা ASTM Standard C31/C31M-03 দ্বারা স্বীকৃত।
লক্ষনীয় যে, ৪ ” X ৮” কনক্রীট সিলিন্ডার তৈরির সাথে বেশ কিছু উপকারিতা সন্নিহিত। 
যেমনঃ
�একটি ৬” X ১২” সিলিন্ডার তৈরিতে যে পরিমাণ কনক্রীট প্রয়োজন, তা দিয়ে তিনটিরও বেশী ৪ ” X ৮” কনক্রীট সিলিন্ডার তৈরি করাসম্ভব। অর্থাৎ, ৭০% কনক্রীট অপচয় রোধকরা যায় ও টেস্টের জন্যে প্রেরন করতে সহজ হয়।

ASTM Standard অনুসারে, ৬” X ১২” সিলিন্ডার ও ৪ ” X ৮” সিলিন্ডার পরীক্ষাকরে প্রাপ্ত কনক্রীট স্ট্রেংথে তেমন কোন পার্থক্যই নেই।
�বুয়েটে ৪ ” X ৮” কনক্রীট সিলিন্ডারের খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
তাই এসব বিচারে গতানুগতিক  ৬” X ১২” কনক্রীট সিলিন্ডারের পরিবর্তে ৪ ” X ৮” সিলিন্ডার তৈরি করাই বেশী সুবিধাজনক,  সাশ্রয়ী ।

২. কনস্ট্রাকশনসাইটে সিলিন্ডার প্রস্তুতির পূর্বশর্তঃ
------------------------------------------------------------------
�কাস্টিং এর পূর্বে যে স্থানে কনক্রীট মিক্স করা হয় (রেডী মিক্স কনক্রীটের ক্ষেত্রে, সাইটের যে স্থানে ডেলিভারী দেয়া হয়) সেখানেই সিলিন্ডার তৈরি করতে হবে।

� ড্রাম মিক্সারের ক্ষেত্রে মিশ্রণে প্রয়োজনীয় পানি পুরোপরি যোগ করার পরেই কেবল সিলিন্ডারে কনক্রীট নেয়া যাবে।

�একটি ব্যাচের মাঝামাঝি পর্যায়ে সিলিন্ডারে কনক্রীট নেয়া উচিত।

সিলিন্ডার তৈরির মৌল্ড গুলো অবশ্যই ওয়াটার লীক প্রুফ হতে হবে।

�শুধু তাই নয়, সিলিন্ডার তৈরি করারআগে কনক্রীটে কোর্স এগ্রিগেটের সর্বোচ্চ সাইজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ সাইজ ৬” X ১২” সিলিন্ডারের জন্য ২” (৫০মিলি ও ৪ ” X ৮” সিলিন্ডারের জন্য ১-১/৪” (৩১মিলি)হওয়া বাঞ্চনীয়।

৩. সিলিন্ডার কাস্টিংঃ
---------------------------------
সিলিন্ডার প্রস্তুতি এবং কনক্রীটের কমপ্যাকশন
------------------------------------------------------------------
সাধরণত সিলিন্ডারে কনক্রীট কমপ্যাকশনের জন্য রড কিংবা ভাইব্রেশন যে কোন পদ্ধতিই অবলম্বর করা যায়, তবে স্ল্যাম্প এর  পরিমাণ ১” (২৫মিলি) এর কম হলে ভাইব্রেটরব্যবহার করা উচিত।

�ট্যাম্পিং রডের একপ্রান্ত গোলাকার হওয়া বাঞ্চনীয়। সেই সাথে ভাইব্রেটর নজেল পাইপ  ৪ ” X ৮”  এর ক্ষেত্রে ২৫ মিলি এবং  ৬” X ১২”  এর ক্ষেত্রে ৩৭ মিলি এর বেশি হওয়া যাবে না

ট্যাম্পিং এর ক্ষেত্রে রডের গোলাকার প্রান্ত দিয়ে প্রতিটি লেয়ার এর উপর চারদিকে সমানভাবে কমপ্যাকশন করতে হবে। সর্বনিম্ন লেয়ারেএমনভাবে ট্যাম্পিং করতে হবে যেন ট্যাম্পিং রড নিচ পর্যন্ত পৌঁছায়। উপরের লেয়ার/লেয়ারগুলোর ক্ষেত্রে ট্যাম্পিং রড কমপ্যাকশন কালে নিচের লেয়ারের ভেতর আনুমানিক ২৫ মিলি প্রবেশ করতে হবে।
---------------------------------
ভাইব্রেটর চালানো অবস্থায় সিলিন্ডারে কনক্রীট নেয়া বাঞ্চনীয় নয়। প্রতিটি লেয়ার আলাদাভাবে ডাইব্রেটর দিয়ে কমপ্যাকশন করা উচিত। ডাইব্রেশনের গতি হবে অত্যন্ত ধীর এবং কোন ভাবেই ডাইব্রেটর নজেলটিকে মৌল্ড এর তলা বা সাইডে অধিক সময় রাখা চলবে না, অন্যথায় কিছু এয়ার ভয়েড থেকে যেতে পারে। প্রতি লেয়ারের মাঝামাঝি গভীরতা পর্যন্ত নজেল প্রবেশ করা যেতে পারে এবং শুধুমাত্র ততক্ষণই ভাইব্রেশন করা প্রয়োজন যতক্ষণ না একটি লেয়ারের উপরিভাগ সমতল হয়ে উঠবে। সাধারণত ১০ সেকেন্ডের বেশি ভাইব্রেশন করার প্রয়োজন হয় না। ভাইব্রেশন শেষে নজেলটিকে অত্যন্ত ধীরে উঠিয়ে আনতে হবে।

�সম্পূর্ণ সিলিন্ডার মোল্ড টি ভর্তি হয়ে গেলে ১০-১৫ বার মোল্ড এর বাইরে চারপাশে ভাইব্রেটরের নজেল বা ট্যাম্পিং রড দিয়ে মৃদু আঘাত করতে হবে, যাতে অরৎ াড়রফনা থাকতে পারে। সবশেষে মৌল্ড উপরিভাগের অতিরিক্ত কনক্রীট ফেলে দিয়ে সমান করে দিতে হবে।

�একটি কনক্রীটসিলিন্ডার উল্লেখিত নিয়মে সর্বমোট ১৫ মিনিটের মধ্যে কাস্টিং করা বাঞ্চনীয়।

৪. কনক্রীট সিলিন্ডারের পরীক্ষা-পূর্ব কিউরিং ও সংরক্ষণঃ
---------------------------------------------------------------------------------
� উপরে উল্লেখিত উপায়ে সিলিন্ডার সমূহকাস্টিং এরপরপরই সেগুলোর পরিচিতমূলক নাম সংরক্ষণ করা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে কাস্টিং তারিখ, লোকেশন (বীম, কলাম,পাইলক্যাপ ইত্যাদি) এবং ক্ষেত্রবিশেষে গ্রীড নাম্বার দিয়ে সিলিন্ডারসমূহকে কনক্রীট আধাশক্ত থাকা অবস্থাতেই সূক্ষ্ণ ধারালো কিছু দিয়ে এর উপরিভাগে স্থায়ী ফ্রগমার্ক তৈরী করা যেতে পারে।

সিলিন্ডার কাস্টিং এর অনতিবিলম্ব পরেই সেগুলোকে মৌল্ড এ রাখা অবস্থাতেই ৪৮ঘন্টা পর্যন্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শ হতে দূরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ছিদ্রহীনপ্লাস্টিক ব্যাগব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চুনমিশ্রিত পানিতে মৌল্ড সমেত সদ্য প্রস্তুতকৃত সিলিন্ডারগুলোকে ডুবিয়ে রাখাই যথাযথ।

�  এভাবে ৪৮ঘন্টা প্রাথমিক কিউরিং শেষে গড়ষফহতে সিলিন্ডারগুলো বের করে, তাদের গায়ে অনপনেয় কালি বা রং দিয়ে স্থায়ীমার্কিং করাউচিত।তবে মোল্ড হতে বের করার৩০মিনিটেরমধ্যে সিলিন্ডারগুলোকে চুনমিশ্রিত পানিতে (স্যাচুরেটেড)সম্পূর্ণ ডুবিয়ে রাখতে হবে।

৫. পরীক্ষণের জন্য বুয়েট এ প্রেরণ ঃ
------------------------------------------------------------------
� কিউরিং কৃত সিলিন্ডার সমূহকে নির্দিষ্ট টেস্টিং তারিখের কমপক্ষে ২/১ দিন পূর্বে বুয়েট পুরকৌশল বিভাগের কনক্রীট ল্যাবরেটরিতে পৌঁছে দিতে হবে। তারিখ হবার বহুদিন পূর্বে সিলিন্ডারগুলো বুয়েটে সরবরাহ করা সমীচীন নয়।

�সিলিন্ডার গুলোকে একত্রে অভেদ্য কাপড়ে বা প্লাষ্টিকব্যাগে মুড়িয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন ব্যক্তির সই সমেত একটি ফরোয়ার্ডিং চিঠির এর উপর সিল-গালা করে বুয়েটে এ সরবরাহ করা উচিত, যাতে করে প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় থাকে। অন্যথায় সিলিন্ডারগুলো আনসীলড বলে গণ্য হবে।

�  সিলিন্ডারগুলোপরীক্ষনের আবেদন জানিয়ে ডিরেক্টর,বি.আর.টি.সি, বুয়েট বরাবর আবেদনপত্রে নিম্নোক্ত

বিষয়সমূহ উল্লেখ করা অত্যন্ত জরুরীঃ
------------------------------------------------------------------
(১)  কাস্টিং ডেট

(২)  লোকেশন (বীম, কলাম, রিটেইনিং ওয়ালইত্যাদি)

(৩)  গ্রীড নং (যদি থাকে)

(৪)  মিক্স অনুপাত

(৫)  এগ্রিগেট টাইপ (ব্রীক/স্টোন চিপস, সিঙ্গেলস)

(৬)  দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/প্রকৌশলীর ফোন নম্বর

(৭)  সিলিন্ডারের সংখ্যা ও সাইজ