কনস্ট্রাকশন কাজে সতর্কতা-না জানলেই নয়

কনস্ট্রাকশন কাজে সতর্কতা-না জানলেই নয়


কনস্ট্রাকশন কাজে কিছু নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করতে হয়

1. বালি ব্যবহারের পূর্বে ধুয়ে ছেঁকে নিতে হবে।

2. খোয়া ব্যবহারের পূর্বে ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে।

3. পানি, সিমেন্ট, বালি ও খোয়া/পাথরের মিশ্রণের অনুপাত ঠিক রাখতে হবে।

4. প্লাস্টারিং কখনো 1.5" এর বেশী হওয়া উচিত নয়।

5. প্লাস্টারিং-এর পূর্বে ইটগুলোর গা থেকে ময়লা পরিস্কার করে নিতে হবে।

6. যে যে স্থানে প্লাস্টারিং করা হবে, উক্ত স্থান ভালভাবে চিপিং করতে হবে।

7. ইটের দেওয়াল পানি দ্বারা ভালভাবে ও সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে। যাতে
দেওয়াল, প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।

8. design অনুযায়ী rod বাইন্ডিং করতে হবে।

9. clear cover ঠিক রাখতে হবে।ঢালাইয়ের সময় পায়ের চাপে বা ধাক্কায় ব্লকগুলো যেন সরে না যায়,সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

10. মশলা ঢালার পরে vibrato মেশিন দ্বারা ভালভাবে মশলা বসিয়ে নিতে হবে।

পাইল ক্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত

পাইল ক্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত
পাইল ক্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত 


১। পাইল ক্যাপ বিল্ডিং এর অতিগুরুত্ব পুর্ন অংশ।

২। পাইল ক্যাপ বিল্ডিং এর সকল লোড পাইলে স্থানান্তর করে।

৩। দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান এমন পাইল ক্যাপ কে বর্গাকার পাইল ক্যাপ দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বড় হলে তাকে আয়তাকার পাইল ক্যাপ বলা হয়।

৪। পাইল ক্যাপ এর পুরুত্ব মাটির বিয়ারিং ক্যাপাসিটির ও বিল্ডিং এর লোডের উপর নির্ভর করে।

৫। পাইল ক্যাপ এর রড সাধারন্ত সিঙ্গেল জালী হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে ডাবল জালী হয়।

৬। পাইল ক্যাপ এর রডে এল বা মাটাম লাগে।

৭। পাইল ক্যাপ ঢালায়ের আগে আমরা পাইলের মাথা ভেঙ্গে রড বের করি তারপর পাইল ক্যাপ এর নীচে বালি
দিয়ে ড্রেসিং লেভেলিং পানি দিয়ে কম্পেটিং পলিথিন সোলিং সিসি করে (সিসি করার সময় খেয়াল রাখতে
হবে য়েন পাইলের মাথার উপর না যায়) তার পর রড বাইন্ডিং করে সাটারিং করে ঢালায় করা হয়।

৮। পাইল ক্যাপ এর ঢালায়ের পুরুত্ব বেশী থাকায় ভালভাবে ভাইব্রেটিং করা উচিৎ যেন ভিতরে ভয়েড না থাকে।

৯। পাইল ক্যাপ ঢালায়ের সময় কলামের সেন্টার যেন কোন সমস্যা না হয়।

১০। ভালভাবে কিউরিং করতে হবে।

১১। সাটারিং খোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পাইল ক্যাপ এর কোন প্রকার ক্ষতি না হয়।

পাইল ক্যাপ চেক লিষ্ট
-------------------------------------------
• পাইলের উপর থেকে দুর্বল কংক্রিট সরিয়ে ফেলুন

• শাটার এর সকল ছিদ্র বা ফাকা বন্ধ করতে হবে

• সব সাইট শলে (সঠিক উলম্ব) রাখতে হবে

• সাটার এর সাপোর্ট ভালভাবে চেইক করতে হবে যাতে করে সাটার ঢালাই এর সময় খুলে না যায় বা ঢালাই মোটা না হয়

• সাটারে কংক্রিট ঢালার লেভেল মার্কিং করতে হবে

• কলামের রডের আনুভুমিক সাপোর্ট কংক্রিট লেভেল এর উপরে থাকতে হবে

• ক্লিয়ার কভার ভালমত চেইক করতে হবে

• রড বাধাই এর তারের কোন অংশ যেন কংক্রিট কভারের মধ্যে না যায় খেয়াল রাখতে হবে
• কলাম রিং নিচে, মাঝে ও উপরে দিতে হবে। কংক্রিট এর চার ইঞ্চ উপরে একটি রিং দিতে হবে।

• কলামের রড শলে (উলম্ব/খাড়া) রাখতে হবে

• কংক্রিট ঢালার পুর্বে ভালভাবে পরিস্কার করতে হবে।

কলাম ও বীমে ল্যাপিং এর পরিমাপ

কলাম ও বীমে ল্যাপিং এর পরিমাপ

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রডের কাজ অনুসারে ল্যাপিং.. খুবই ইম্পরট্যান্ট একটি টপিক

কমপ্রেশন জোন
-----------------------
কলাম : ৪০ D
শেয়ার ওয়াল : ৪০ D
লিফ্ট ওয়াল : ৪০ D

টেনশন জোন
-------------------------
বীম : ৬০ D
স্ল্যাব : ৬০ D

কলামে ল্যাপিং
---------------------
কলামে সাধারনত ১৬, ২০, ২২, ২৫, ৩২ মিমি রড ব্যবহার হয়ে থাকে
তাহলে কলামে ল্যাপিং

১৬ মিমি = ৪০x১৬ = ৬৪০ মিমি ২'-২"
২০ মিমি = ৪০x২০ = ৮০০ মিমি ২'-৮"
২২ মিমি = ৪০x২২ = ৮৮০ মিমি ৩'-০"
২৫ মিমি = ৪০x২৫ = ১০০০ মিমি ৩'-৪"
৩২ মিমি = ৪০x৩২ = ১২৮০ মিমি ৪'-৩"

বীমের ল্যাপিং
-----------------------
বীমে সাধারনত ১৬, ২০, ২২, ২৫ মিমি রড ব্যবহার হয়ে থাকে
তা হলে বীমের ল্যাপিং
১৬ মিমি = ৬০x১৬ = ৯৬০ মিমি ৩'-২"
২০ মিমি = ৬০x২০ = ১২০০ মিমি ৪'-০"
২২ মিমি = ৬০x২২ = ১৩২০ মিমি ৪'-৫"
২৫ মিমি = ৬০x২৫ = ১৫০০ মিমি ৫'-০"

স্ল্যাবের ল্যাপিং
-----------------------
স্ল্যাবে সাধারনত ১০, ১২, মিমি রড
ব্যবহার হয়ে থাকে
তা হলে স্ল্যাবের ল্যাপিং
১০ মিমি = ৬০x১০ = ৬০০ মিমি ২'-০"
১২ মিমি = ৬০x১২ = ৭২০ মিমি ২'-৫"
তবে বাস্তবে কাজ করার সময় কম বেশী হতে পারে।


রড সম্পর্কে কিছু কথা

রড সম্পর্কে কিছু কথা


আপনার বাড়ী দাড়িয়ে থাকবে রডের কাঠামোর উপর । তাই ভালো রড বেচে নিতে ভুলবেন না ।এখন প্রশ্ন হচ্চে যে রড কিনছেন সেটা যে ভালো তা বুঝবেন কি করে ? ভালো রডের কিছু বৈশিষ্ট থাকে , সেগুলো সাধারন রডে থাকে না , বৈশিষ্টগুলো নিচে দেওয়া হল -

টেকসই আর মজবুত ঃ
রডে ইল্ড স্ট্রেংথ (yield strength) নামে একটা বৈশিষ্ট থাকে ।এটা হচ্চে রডের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ।যে রডে ইল্ড স্ট্রেংথ (yield strength) যত বেশি সে রড বাড়ী নির্মানের জন্য তত ভালো ।বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে ভালো রডে ৫০০ M.P.A (৭২,০০০ P.S.I ) ইল্ড স্ট্রেংথ থাকে ।
ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাড়িকে রক্ষা করার ব্যাপারে ও রড সাহায্য করে । যে রড কিনছেন সেটা আর্থকোয়েক রেজিস্ট্যান্ট কিনা তা আগে থেকে জেনে নেয়া ভালো ।

ভালো ঝা্লাই উপযোগিতা ঃ
সাধারন রডে ঝালই করার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ।এদের মধ্যে
একটা হচ্চে এমব্রিটল টেন্ডেন্সি বা রড ভঙ্গু্র হয়ে যাবার প্রবনতা । সাধারন রড ঝালাইয়ের পর ঠান্ডা হবার সময় বেকে যেতে পারে । এতে নির্মান কাজের অসুবিধা হয় । রড কিনার সময় অবশ্যই এমন রড বেছে নিবেন যেটাতে এই সমস্যা গুলো নেই ।
এমন রড বেচে নিন যেটাতে কার্বন কনটেন্ট কম আছে, এ ধরনের রড সাইজে বাট ওয়েল্ড বা ল্যাপ ওয়েল্ড করা যায় , যাতে আপনার নির্মানে সময় বাচবে ।

ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
ভালো রড থার্মো-মেকানিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্রসেস এ তৈরি করা হয় ।এ কারনে রডে ক্ষতিকারক টরসোনাল রেসিডিঊয়াল স্ট্রেস (torsional Residual stress)  থাকে না । এ ধরনের রডে ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে ।

ডাক্টিলিটি ঃ
আপনার বাড়ী নির্মানে যে কংক্ক্রিট ব্যবহার হবে সেটাকে দীর্ঘদিন মজবুত রাখার জন্য আপনার ডাক্টাইল রড প্রয়োজন,ভালো ও ডাক্টাইল রড কংক্ক্রিটে ফাটল ধরতে দেয় না ।আধুনিক কোয়েনচিং আ্যান্ড ট্যাম্পারিং প্রসেস অনুসারে তেরি করা রডে ডাক্টিলিটি বেশি থাকে ।রড কেনার সময় আপনি এটা ও জেনে নিতে পারেন যে রডের কার্বন কনটেন্ট কতখানি , কারন কম কার্বন কনটেন্ট এর রডে বেশি ডাক্টাইল হয় ।

ধারাবাহিকতাঃ
আপনি একেবারে অনেক গুলো রড কিনবেন ,তাই এই সময় খেয়াল রাখা উচিত যে সবগুলো রড ই সমমানের কি না । ভালো রড উৎপাদনের সময় প্রতিবার কোয়েংচিং অ্যান্ড টেম্পারিং (Quenching & Tampering ) প্রসেস একই ভাবে অনুসরন করা হয় ।ফলে রডের উপাদানে ও পরিবর্তন হয় না ।তাই ভালো রডে মানের তারতম্য থাকে না ।

সম্পুর্ন সোজা ঃ

কনস্টাকশন সাইটে রড সোজা করা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং পরিশ্রমের কাজ । তাই কেনার সময় খৈয়াল রাখতে হবে রড সোজা আছে কি না ।

সাশ্রয়ঃ

আপনার বেচে নেওয়া রডে যদি ইল্ড স্টেংথ ,ডাক্টিলিটি ,আর ঝালাই ক্ষমতা বেশি থাকে , তাহলে নির্মানের সময় আপনার খরচ কমে আসবে , শ্রমিকদের সময় বাচবে ,পরিশ্রম কম হবে ।

প্লাষ্টার এস্টিমেট

প্লাষ্টার এস্টিমেট

প্লাষ্টার এস্টিমেট

=================================
আমরা বাস্তবে তিন প্রকার প্লাষ্টার করে থাকি
.
১.সিলিং ও ঢালায় সার্ফেস= ০.৫০"
২.রাহিরের ওয়াল ০.৭৫"
৩.ভিতরের ওয়াল ১.০০"

 ১৫০০ বর্গফুটের প্লাষ্টার এস্টিমেট
_========================
প্লাষ্টারের পুরুত্ব = ০.৭৫"
অনুপাত (১:৪)
প্লাষ্টারের ভেজা মসলার পরিমান
= ১৫০০x(০.৭৫÷১২)
= ৯৩.৭৫ ঘনফুট
শুকনা মসলার পরিমান = ৯৩.৭৫x১.৫
= ১৪০.৬৩
অনুপাতের যোগফল = (১+৪)=৫

সিমেন্ট = (১৪০.৬৩x১÷৫)÷১.২৫
= ২২.৫০ ব্যাগ

বালি = (১৪০.৬৩x৪÷৫)
= ১১২.৫০ ঘনফুট


Retrofitting কি?

Retrofitting কি?


Retrofitting


Retrofitting  হচ্ছে নির্মিত স্ট্রাকচার এর ক্যাপাসিটি বাড়ানো। সাধারনত পুরনো স্ট্রাকচার যা লোড নিতে পারছেনা বা ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ   এরকম বিল্ডিং এ রেট্রোফিটিং করা হয়।

Option of Retrofittting

বর্তমানে স্ট্রাকচার এর স্ট্রেন্থ বাড়ানোর জন্যে FRP  ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
FRP-Fiber Reinforced Polymer....

৩ ধরনের FRP রেট্রোফিটিং প্রচলিত

1.CFRP- CARBON Fiber Reinforced Polymer
2.GFRP-GLASS  Fiber Reinforced Polymer
3.AFRP-ARAMID  Fiber Reinforced Polymer

এই তিন ধরনের রেট্রোফিটিং এর মধ্যে #CFRP  সবচেয়ে বেশী ব্যাবহত হয়।

কেন CFRP????
১.CFRP ব্যাবহারে কলামের স্ট্রেংথ অনেক গুন বেড়ে যায়। লোড ক্যারিং ক্যাপাসিটি বাড়ে।

২.CFRP শিয়ার ক্যাপাসিটি বাড়ায়

৩.ডাকটিলিটি বাড়ায়

৪.কলামের সেকশন বাড়েনা

ইত্যাদি।।।।।।

কিভাবে করা হয়???

১.পারশিয়াল
২.ফুল

পারশিয়াল CFRP রেট্রোফিটিং

পারশিয়াল CFRP র‍্যাপিং এর ক্ষেত্রে কলাম কে পারশিয়ালি CFRP দিয়ে মোড়ানো হয়।
বিভিন্ন ধরনের পারশিয়াল র‍্যাপিং করা হয়।।
৫০%
৭৫% ইত্যাদি।।।।

ফুল CFRP রেট্রোফিটিং

ফুল CFRP রেট্রোফিটিং এর ক্ষেত্রে কলাম কে CFRP দিয়ে পুরোপুরি মোড়ানো হয়।।।
এক্ষেত্রে কস্টিং বেড়ে যায়।।

বাংলাদেশে কয়েক জায়গায় JICA এ অধীনে CFRP রেট্রোফিটিং এর কাজ হচ্ছে।